আম খাওয়ার ১৪টি বিশেষ উপকারিতা - আম খাওয়ার অপকারিতা
স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় হওয়ায় আমকে বলা হয় ফলের রাজা। শুধু কি স্বাদ আর গন্ধের কারণেই আমকে ফলের রাজা বলা হয় ? না, আমকে রাজা বলার আরো বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। আমের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ ,এর উপকারিতা , সারাদেশে এর চাহিদা ইত্যাদির কথা বিবেচনা করে আমাকে ফলের রাজা বলা হয়। তবে আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই আম খাওয়ার উপকারিতা এবং আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেনা
আমে খাওয়ার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ অনেক থাকলেও আমের মধ্যে কিছু অপকারীতাও লুকিয়ে আছে। আমের অপকারিতা সম্পর্কে না জানলে অনেক সময় আমরা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হতে পারি। তাই আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে আমের অপকারিতা নিয়েও আলোচনা করব। এবং আরো জানাবো কিভাবে আপনি আম সংরক্ষণ করতে পারেন।
আম সম্পর্কে পুরো পোস্টে জুড়ে যা থাকছে ঃআমের উপকারিতা - আমের অপকারিতা - আমের পুষ্টিগুন - আম সংরক্ষণ পদ্ধতি।
- আমকে ফলের রাজা বলার কারণ
- আমের পুষ্টিগুণ
- আমের উপকারিতা
- আমের অপকারিতা
- আম খেলে কোন কোন রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়
- আম উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান
- আমের সেরা জাতগুলোর নাম
- আম সংরক্ষণের পদ্ধতি
আমকে ফলের রাজা বলার কারণ
আমরা ছোট থেকে বড় সবাই জানি যে, আমকে ফলের রাজা বলা হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানি না, আমাকে ফলে যা যা বলার কারণ । আমাকে ফলের রাজা বলার যথেষ্ট কারণ রয়েছে , তার মধ্যে কিছু কারণ আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। প্রথমত, আমাকে ফলের রাজা বলার কারণ হচ্ছে-অন্যান্য ফলের তুলনায় আমের রং , স্বাদ ও গন্ধে মানুষ বেশি আকৃষ্ট হয় ।
আমাদের দেশের প্রায় সব মানুষই এই ফলটি পছন্দ করে। হাতে গোনা দু ,একজন ছাড়া এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যে নাকি আম পছন্দ করে না ।আমের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি এবং ভিটামিনের ঘাটতির একটি বড় অংশ পূরণ করতে পারি । আমের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারি।
আরো পড়ুনঃ বেসনের উপকারিতা
আমের মৌসুমে এর দাম হাতের নাগালে থাকার কারণে ধনী-গরিব সকলেই এই ফল কিনতে পারি এবং এর মাধ্যমে আমাদের শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে পারি। রপ্তানির ক্ষেত্রেও দেশে উৎপাদিত আম পিছিয়ে নেই , আমরা আমাদের দেশে আমের চাহিদা পূরণ করেও প্রায ৫০০ টন আম বিদেশে রপ্তানি করতে পারি। এবং এই রপ্তানির মাধ্যমে আমাদের দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। দেশ জুড়ে ছোট বড় সকলের কাছে কাচা এবং পাকা আমের বেশ ভালো থাকার কারণে, আমকে ফলের রাজা বলা হয়।
আমের পুষ্টিগুণ
আমের পুষ্টি গুণের কথা বলতে গেলে বলতে হয় বিভিন্ন পুষ্টি এবং ভিটামিন এ ভরপুর
আমাদের দেশের অতি পরিচিত ও সকলের কাছে প্রিয় একটি ফল হল আম। আসুন তাহলে
জেনে নেওয়া যাক আমের ভিতরে কোন কোন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আমের পুষ্টি উপাদান
গুলোর মধ্যে রয়েছে,
- খনিজ লবণ
- শ্বেতসার
- ভিটামিন
- মিনারেল
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- এনজাইম
- কোরাটিনোইডস
- ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
- ভিটামিন সি ,এ ও ই
- টারটারিক এসিড
- ম্যালিক এসিড
- সাইট্রিক এসিড
- পটাশিয়াম
- আলফা ক্যারোটিন
- বিটা ক্যারোটিন
- বিটাক্রিপ্টোক্সানথিন
আম খাওয়ার উপকারিতা
আম আমাদের দেশের অতি পরিচিত , ভীষণ জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য একটি ফল।
আমের আম খাওয়ার উপকারিতা অনেক । আমের ভেতরে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের
শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি এবং ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। আসুন তাহলে
দেরি না করেই আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- আম আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী একটি ফল, আম ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে বেশ কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আম খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ত্বক মসৃণ হয়। ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর করতে আম সাহায্য করে।
- ত্বকের গোড়া পরিষ্কার করতে পাকা আম বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আর পাকা আম যেহেতু ত্বকের গোড়া পরিষ্কার রাখে সেই কারণে আম খেলে আমাদের নাকের উপরের অংশে এবং মুখে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়ে যায়। মুখের কালো দাগও দূর হয়।
- প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ পাওয়া যায় পাকা আমের আর এই খনিজ লবণ, আমাদের চুল , নখ ও দাঁত মজবুত করে।
- আমের উপকারিতা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোরটিনোইডস এর উপকারিতা। আমের ভেতরে প্রায় ২৫ রকমের ভিন্ন ভিন্ন কোরটিনোইডস ব্যাকটেরিয়া আছে। আর এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে ঠিক রাখে।
- আমাদের শরীরে ভিটামিন এ এর ঘাটতির প্রায় ২৫% পূরণ করতে পারে পাকা আম। আমরা যদি প্রতিদিন এক কাপ করে আম খেতে পারি, তাহলে আমাদের শরীরের ভিটামিনের এ এর ঘাটতি একটি বড় অংশ পূরণ করতে পারব।
- আমি প্রচুর ভিটামিন সি আছে, কাঁচা আমের ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি থাকে।
- আমাদের শরীরের স্থুলতা কমাতে সাহায্য করে।
- আম আমাদের শরীরের ক্ষয় রোধ করে
- আমের মধ্যে থাকা বিভিন্ন এসিড যেমন, টারটারিক এসিড , ম্যালিক এসিড এবং সাইট্রিক এসিড আমাদের শরীরের ক্ষার বা অ্যালকালাই ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- আমাদের শরীরকে সতেজ রাখে। যাদের ঘুম আসে না বা ঘুমের সমস্যা আছে তারা আম খেলে তাড়াতাড়ি ঘুম আসার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
- আমের মধ্যে থাকা এনজাইম আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- আম খাওয়ার উপকারিতার মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আমে থাকা উপাদান গুলো আমাদের শরীরে স্নায়ু গুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
- আমাদের শরীরের এলকোলি নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
- আম আমাদের চোখ ভালো রাখতে এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আমের অপকারিতা
এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমের পুষ্টিগুণ এবং আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। আমি
প্রচুর পুষ্টিগুণ এবং আমের উপকারিতা অনেক হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আম আমাদের
শরীরের ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে ,তাই আম খাওয়ার
অউপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জেনে রাখা ভালো । যে যে ক্ষেত্রে আম
খাওয়া আমাদের শরীরে উপকারের চাইতে ক্ষতি বা অপকার হতে পারে এই বিষয়গুলো
নিয়ে এবার আপনাদের সাথে আলোচনা করব, আসুন তবে আমের অপকারিতা গুলো জেনে
নেওয়া যাক,
আরো পড়ুনঃ বেসনের ব্যবহার
- যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে আম বেশ কিছু সমস্যা তৈরি করতে পারে, এলার্জির জন্য আম খেলে চোখে জ্বালা , হাঁচি হওয়া , ঠান্ডা লেগে যাওয়া এমনকি পেট ব্যথা হতে পারে।
- আমরা অনেক সময় আম চিবিয়ে না খেয়ে জুস করে খাই। এতে আমের মধ্যে থাকা ফাইবার গুলো নষ্ট হয়ে যায় আর এ কারণে জুস করে আম খেলে উপকার না হয়ে উল্টা হজমের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
- যাদের আর্থ্রাইটিস বাতিল সমস্যা আছে , তাদের ক্ষেত্রে আম এড়িয়ে চলাই ভালো কারণ , আম এ ধরনের বাতের ব্যথা আরো বাড়িয়ে দেয়।
- বেশি বেশি আম খেলে এটি আমাদের হজম শক্তির ওপর প্রভাব ফেলে । অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমের অপকারিতা অনেক বেশি । ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রাকৃতিক সুগার যেটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের আম খেতে হলে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ মত নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে খেতে হবে।
- যারা শরীরের স্থুলতা কমাতে চান তাদের খুব কম পরিমাণে আম খাওয়া উচিত। কারণ আমি রয়েছে প্রচুর শর্করা ও প্রোটিন যেগুলো স্থূলতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যারা স্থুলতায় ভুবেন তাদের উচিত আম একদম কম খাওয়া অথবা সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা।
আম খেলে কোন কোন রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়
আমের মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো আমাদের কে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা
করে। আম খেলে কোন কোন রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, এবার আপনাদেরকে সেগুলো
জানাবো। আসুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নি আম খেলে কোন কোন রোগের হাত থেকে
রক্ষা পাওয়া যায়
- আমাদের শরীরকে বিভিন্ন স্কিম ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে আম। স্কিন ক্যান্সারের বিপরীতে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে পাকা আম।
- আম খেলে হার্টবিট সচল থাকে
- আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে
- কিছু আমের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো আমাদেরকে মারাত্মক ও মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে। এই ক্যান্সার গুলোর মধ্যে রয়েছে স্তন ক্যান্সার , কোলন ক্যান্সার , পোস্টেড ক্যান্সার ইত্যাদি।
- আম আমাদের দাঁত, চুল ও নখের ঘুঙ্গুর ভাব দূর করে এগুলোকে শক্ত এবং মজবুত করতে সাহায্য করে।
- পরিমিত পরিমানে আম খেলে এটি আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- আম খেলে হিট স্ট্রোক করা সম্ভব না কম থাকে।
- আমি থাকা ভিটামিন সি আমাদের শরীরে অভ্যন্তরে কোভিড 19 বা করোনা সাথে লড়াই করার মতন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
আম উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান
আমাদের দেশে প্রায় সব এলাকাতেই প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এবং এই আম আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করেও বিদেশে রপ্তানি করা হয়। বিশ্বের সেরা দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম ।
আমের সেরা জাতগুলোর নাম
আমাদের দেশে প্রায় একশ প্রজাতির বিভিন্ন জাতের আম পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে
সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় জাতের আমগুলো হল,
- ল্যাংড়া
- খিরসা পাত
- হাড়িভাঙ্গা
- লক্ষণ ভোগ
- ফজলি
- গৌরমতি
- আশ্বিনা
- আম্রপালি
- রানিপচাঁদা
- মোহনভোগ
- গোবিন্দ ভোগ
- বৃন্দাবনী
- হিমসাগর
- গোল্লাছুট
- রাখাল ভোগ
- খিরমোহন
- দিলশাদ
- তোতাপুরী
- সিন্দুরী ফজলি
এগুলো ছাড়াও আমের আরও বেশ কিছু জাত রয়েছে , কিন্তু উপরিক্ত আমের এই
জাতগুলো আমাদের দেশে খুব জনপ্রিয় এবং এই আমগুলো প্রায় সকলেই খেতে
পছন্দ করে।
আম সংরক্ষণের পদ্ধতি
আম আমরা সারা বছর পাই না, আমাদের দেশে প্রায় ৬ মাস আমের মৌসুমী চলে সেজন্য কিছু
পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরা বাকি ছয় মাসের জন্য আম সংরক্ষণ করে রাখতে পারি।
বর্তমানে আমাদের প্রায় সকলের ঘরেই ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের রেফ্রিজারেটর রয়েছে ।
এই রেফ্রিজারেটরের মধ্যে আমরা পরবর্তী ছয় মাসের জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কাঁচা
এবং পাকা আম সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে জানলে পুরো এক বছর
পর্যন্ত ভালোভাবে আম সংরক্ষণ করা সম্ভব। চলুন তাহলে কাঁচা পাকা আম সংরক্ষণের কিছু
পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক,
- ছোট বা মাঝারি টুকরো করে আম কেটে নিয়ে এবার একটি এয়ার টাইট বক্সে ঢাকনা লাগিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।
- জিপ লক ব্যাগের মাধ্যমে আম সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে পাকা আম টুকরো করে জিপ লক ব্যাগের মধ্যে ঢুকান, স্ট্র এর সাহায্যে জিপ লক ব্যাগের ভেতর থেকে সম্পূর্ণ বাতাস বের করে ফেলুন। এবার জিপ লক ব্যাগ সম্পন্ন ভালো হবে বন্ধ করে ফ্রিজে রেখে দিন।
- ব্লেন্ড করে ফ্রিজে আম সংরক্ষণ করতে পারেন, প্রথমে আম ব্লেন্ড করে নিন এরপর একটি ট্রেতে করে ডিপ ফ্রিজে প্রাই ১০-১২ ঘন্টার জন্য রেখে দিন। এরপর থেকে বের করে বরফগুলো আলাদা করে আমগুলো একটি জিপ লক ব্যাগ টাইট বক্সে করে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন।
- আপনি চাইলে গোটা গোটা আম্মু সংরক্ষণ করতে পারেন। গোটা আম সংরক্ষণের জন্য আম ভালোভাবে ধুয়ে সেটিকে খবরের কাগজে মুড়িয়ে প্লাস্টিক ব্যাগ বা প্লাস্টিকের জিপার ব্যাগের মাধ্যমে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।
- কাঁচা আম আচার বানিয়ে ভালো মানের সরিষা তেলে ডুবিয়ে অনেকদিন ধরে সংরক্ষণ করা যায়।
- এছাড়া কিছুদিনের জন্য কাঁচাআম সংরক্ষণ করতে চাইলে, হলুদ লবণ মাখিয়ে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে সরিষার তেলের ভেতরে ডুবিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।
- জ্যাম ,জেলি ,জুস , মোরব্বা , আমসত্ত্ব ইত্যাদি বানানোর মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে পারি।
- আপনি চাইলে আমের কিউব আইস করেও আম সংরক্ষণ করতে পারেন, এর জন্য আপনাকে প্রথমে আমগুলোকে ছোট ছোট কেউবা করে কেটে নিতে হবে এরপর ডিপ ফ্রিজে আইস করে নিতে হবে। আমের কিউবগুলো আইস হয়ে গেলে এগুলোকে বের করে, একটি জিপার ব্যাগে ঢুকিয়ে তারপর এই ব্যাগটি একটি এয়ার টাইট বক্সের মধ্যে রেখে ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখতে হবে।
- আম খাওয়ার উপকারিতা যেহেতু অনেক বেশি সেই জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে আম সংরক্ষণ করে সারা বছর আমরা আমের এই উপকারিতা গুলো পেতে পারি।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url