ক্যালসিয়াম - ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার - ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম
শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান গুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম। হাড় ও দাঁত গঠনের পাশাপাশি শরীরের আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী সম্পাদন করতে অবদান রাখে ক্যালসিয়াম, এবং শরীরের ক্যালসিয়াম এর অভাব হলে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। এ কারণে আজকে আমরা জানবো ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার , ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম এবং এর পাশাপাশি আরো জেনে নেব ক্যালসিয়াম ফসফেট এর সংকেত সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ক্যালসিয়াম - ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার - ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম
- ক্যালসিয়াম কি
- ক্যালসিয়ামের কাজ কি
- ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার
- ক্যালসিয়াম জাতীয় ফল
- ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগ
- ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম
- ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর উপকারিতা
- ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- ক্যালসিয়াম ফসফেট এর সংকেত
ক্যালসিয়াম কি
ক্যালসিয়ামের কাজ কি অথবা ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে কি কি রোগ হয় সে বিষয়গুলো জানার আগে প্রথমে আমরা ক্যালসিয়াম সে সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নেব।এটি আর নতুন বলার অপেক্ষা রাখে না ,আমরা ছোট বড় অনেকেই জানি যে মানবদেহ গঠনের জন্য অথবা সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানবদেহে ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের শরীরের হাড় গঠন, দাঁত মজবুত এবং শরীরের রক্ত জমাট বাধার মতন গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে ক্যালসিয়াম। আর যখনই আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয় তখনই নানা রকম হাড়ের সমস্যায় ভুগতে হয়।
এছাড়া ,ক্যালসিয়াম হল এক ধরনের ক্ষারীয় ধাতব মৌলিক পদার্থ এবং এই ক্যালসিয়ামের সংকেত হল (Ca)। কোন বাতাসের সঙ্গে মিশে গাঢ় অক্সাইড - নাইট্রাইট এর স্তর তৈরি করা। পৃথিবীতে যতগুলো ভূত্বকের উপাদান রয়েছে তার মধ্যে ক্যালসিয়ামের অবস্থান পঞ্চম। আর ধাতুর দিক থেকে এর অবস্থান নির্ণয় করতে গেলে বলতে হয় অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার পরেই এই ক্যালসিয়ামের অবস্থান।
ক্যালসিয়ামের কাজ কি
ক্যালসিয়াম কি এই সম্পর্কে আমরা প্রাথমিক জ্ঞান বা ধারণা পেয়ে গেছি এবার
আমাদের জানতে হবে ক্যালসিয়াম এর কাজ সম্পর্কে। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে
বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন
করেছে। আরে কারণে ক্যালসিয়ামের কাজ কি অথবা শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা
সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখতে হবে। ক্যালসিয়ামের কাজ কি বা ক্যালসিয়ামের
প্রয়োজনীয়তা কি সে বিষয়ে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে বিষয় কি জেনে নিতে
পারেন। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে সেগুলো
হলো,
- হাড় গঠনের সহায়তা করে
- দাঁত শক্ত করে
- হাড় ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে
- হার্টবিট স্বাভাবিক রাখে
- মাংসপেশী ও স্নায়ু গঠনে সহায়তা করে
- রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে
- হরমনের মাত্রা ঠিক রাখতে
- ব্রেন থেকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বার্তা পাঠাতে সহায়তা করে ক্যালসিয়াম
- বাত টাইপের রোগ গুলোর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে
ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার
উপরের আলোচনা গুলো থেকে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। এ কারণে আমাদের শরীরে কোনভাবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি করতে দেওয়া উচিত নয়। আর ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে। তাই এবার আমরা ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গুলো সম্পর্কে জানবো। চলুন তাহলে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
ছোলা বা মটনঃ দৈনিক কিছু পরিমাণ ছোলা বা মটর খাদ্য তালিকায় যুক্ত করার
মাধ্যমেও আমরা শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি এর ঘাটতি পূরণ করতে পারি, কারণ
ছোলা বা মটর এর মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে, এক কাপ ছোলা
বা মটর এর মধ্যে থেকে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া সম্ভব।
দই ঃ দই খাবার মধ্যে দিয়ে আমরা শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে
পারি কারণ ২ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
দুধঃ দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে থেকেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম
পাওয়া যায়। এক গ্লাস গরুর বা ছাগলে দুধ থেকে দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদার
প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম পূরণ করা সম্ভব। তবে যারা করতে পারেন না বা দুধ খেলে
সমস্যা বেড়ে যায় তাদের এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচত। এক্ষেত্রে আপনারা দুধের
পরিবর্তে দই খেতে পারেন। দই খেলে আপনার গ্যাসের সমস্যাও দূর হবে এবং
ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও পূরণ হবে।
চিজ বা ছানাঃ খাদ্য তালিকায় বা ছানা জাতীয় খাবার যুক্ত করলে আপনি সেখান থেকে পেতে পারেন প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন প্লিজ অথবা ছানা জাতীয় খাবার গুলো মাত্রাতিরিক্ত খেলে শরীরে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
সবুজ শাকসবজিঃ ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস হলো সবুজ শাকসবজি। বিভিন্ন ধরনের
সবুজ মধ্যে থেকে আপনি পেতে পারেন ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের উপায়। এসব সবুজ
শাকসবজি গুলোর মধ্যে রয়েছে পাতাকপি, ব্রকলি , ফুলকপি ইত্যাদি।
ডিমঃ নিয়মিত ডিম খাওয়ার মধ্যে দিয়েও আপনি ক্যালসিয়ামের ঘাটটির একটি বড় অংশ
পূরণ করে নিতে পারবেন, কারণ ডিমও ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস।
সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছগুলো ,বিশেষ করে স্যামন জাতীয় মাছ গুলোর মধ্যে
প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য
আপনি খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ যুক্ত করতে পারে।
ডাল জাতীয় খাবারঃ ডাল জাতীয় খাবার গুলো থেকেও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা
শরীরের দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে
সয়াবিন , রাজমা এবং ছোলা ও মুগ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।
তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ডাল জাতীয় খাবার গুলো যুক্ত করুন।
এছাড়াও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গুলো হল মিষ্টি কুমড়া ,শিম , কচুর লতি
, কলার মোচা , সজনে ডাঁটা , মটরশুটি , ঢেঁড়স , টমেটো , মিষ্টি আলু , লেটুস
পাতা লেটুস পাতা , পেঁয়াজ , রসুন , লাল শাক, পালং শাক , মেথি শাক ,বিট।
ক্যালসিয়াম জাতীয় ফল
শুধুমাত্র শাকসবজি , ডাল বা দুগ্ধ জাতীয় খাবারই ক্যালসিয়ামের উৎস নয়।
বিভিন্ন ফলমূল থেকেও আমরা ক্যালসিয়াম পেতে পারি। এই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফলমূল
গুলোর মাধ্যমেও আমরা আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে নিতে
পারি। আপনার যদি জানা না থাকে ক্যালসিয়াম জাতীয় ফল বা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল
কোনগুলো তাহলে, এই বিষয়টি আপনাকে এখনই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোন কোন ফল গুলোর
মাধ্যমে আমরা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারি চলুন এবার সেই ফলগুলোর নামের
তালিকা জেনে নেয়া যাক। ক্যালসিয়াম জাতীয় ফলগুলো হলো,
- কমলা লেবু
- জলপাই
- আপেল
- আলুবোখারা
- লিচু
- আনারস
- পেঁপে
- আম
- স্ট্রবেরি
- বড়ই
- পাতিলেবু
- বিভিন্ন ধরনের বাদাম
- কলা
- আঙ্গুর
- খেজুর
- আখরোট
- পেয়ারা
- কাঁঠাল
ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগ
এবার আমরা আলোচনা করব ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে। আপনি কি
সঠিকভাবে জানেন ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগ কোনগুলো বা ক্যালসিয়ামের অভাব থেকে
কোন কোন রোগ হতে পারে? অনেকেই হয়তো জানেন না ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগ
সম্পর্কে, অনেকেই হয়তো ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগ গুলো সম্পর্কে জানেন না, যারা
জানেন না তাদেরকে আজকে জানাবো ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগগুলো সম্পর্কে। তাহলে আর
বেশি দেরি না করে চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
হাইপো ক্যালসেমিয়াঃ ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগটিকে বলা হয় 'হাইপো ক্যালসেমিয়া'। হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া এবং হার ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া হল এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
অস্টিওপেনিয়া অস্টিওপরোসিসঃ ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি জনিত এই রোগ দুটির কারণে শরীর হাট থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয় এবং হাড়কে পাতলা করে তোলে।
রিকেটসঃ শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে রিকেটস রোগ হতে
দেখা যায়, এতে শিশুদের শরীরের হাড় অত্যন্ত নরম এবং হয়ে যায় এবং চুল অধিকারে
পড়তে থাকে।
আরো পড়ুনঃ এডিনয়েড হলে করণীয়
এ রোগ গুলো ছাড়াও ক্যালসিয়ামের অভাবে আরো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা বা
বিভিন্ন ধরনের অসুখ হয়ে থাকে। তার মধ্যে ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত বিশেষ কিছু
রোগের নাম নিচে দেওয়া হল,
- হাড় মোটা হয়ে যাওয়া এবং বেঁকে যাওয়া
- ত্বকের চুলকানি বা একজিমা হওয়া
- শরীরের রক্ত সহজে জমাট বাঁধে না
- ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
- দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা , শিশুদের ক্ষেত্রে দেরিতে দাঁত ওঠার সমস্যা হতে পারে।
- দুর্বলতা এবং খিদা কমে যাওয়া
- হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া
- প্রেসার বেড়ে যাওয়া
- বুকের ব্যথা করা
- ঘুম কমে যাওয়া
- বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা থাকা
- হার্টবিট কম বেশি হওয়া বা হার্টবিট এর তারতম্য দেখা দেওয়া
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম
অনেক সময় খাবারের মাধ্যমে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ না হলে ক্যালসিয়াম জাতীয়
ট্যাবলেট গুলো গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে
হয়। তবে মেডিসিন যে ধরনেরই হোক না কেন সেটি গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই রেজিস্টার
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত। এবার আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া
হবে কিছু ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম । ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম
গুলো জানানোর সাথে সাথে এ বিষয়েও সতর্ক করা হচ্ছে , যে এই ট্যাবলেট গুলো
গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ বা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে নিন। ক্যালসিয়াম
ট্যাবলেট এর নাম গুলো হল,
- Ostocal D
- Coralcal D
- Coralcal DX
- Rocal D
- Merincal D
- Klindical D
- calbo D
- sandocal D
- Acical ID
- Ostogen D
- Fasical D
- Caltex 750
- Bony D
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর উপকারিতা
আপনার যদি শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি জনিত সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই
ক্যালসিয়াম এর ট্যাবলেট গুলো আপনার জন্য গ্রহণ করা জরুরী। আমরা উপরের আলোচনাতে
আগেই জেনেছি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থেকে শরীরে কি ধরনের সমস্যা এবং কি কি সমস্যা
হতে পারে। তাই আপনার শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের হাট থাকে তবে অবশ্যই সেগুলো পূরণ
করার জন্য জাতীয় ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত। তবে অবশ্যই যে কোনো ঔষধ সেবনের
পূর্বে ডাক্তারি পরামর্শ নিন এবং অবশ্যই ওষুধের উপকারিতা অপকারিতা
সম্পর্কে আগেই ভালোভাবে জেনে নিন। এবার আমরা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর উপকারিতা
সম্পর্কে আলোচনা করবো। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর উপকারিতা বলে জানতে হলে নিচের
অংশের চোখ রাখুন।
আরো পড়ুনঃ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর সবচাইতে বড় উপকারিতা হলো , এর মাধ্যমে শরীরে
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা যায়। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সেবনের ফলে হার মজবুত
, দাঁত মজবুত এবং দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। এছাড়াও
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট গ্রহণের ফলে যেটি শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে না
সুতরাং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি জনিত যে সমস্ত রোগ গুলো -বুকে ব্যথা করা , অবসাদ
এবং ক্লান্তি , শরীরে চুলকানি , ত্বকের শুষ্কতা , রক্ত জমাট না বাধা
, ব্লাড প্রেসার হাই হওয়া , হাড় মোটা হয়ে যাওয়া এবং বেঁকে যাওয়া ,
মেয়েদের বন্ধ্যাত্ব , হাত পা অবশ হওয়া ইত্যাদি রোগ গুলোর
ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আপনার শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে তবে অবশ্যই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট
গুলো শরীরের জন্য উপকারী তবে, কোন কারণে যদি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বিনা কারণে
অথবা অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায় তাহলে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে আপনাকে বেশ কিছু সমস্যার বা জটিলতার সম্মুখীন
হতে হবে। এই কারণে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারি
পরামর্শ মত তাদের গ্রহণ করুন এবং এর পার্থক্য প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে
জেনে নিন। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আপনি যদি
না জানেন , তাহলে চিন্তিত বা উত্তীর্ণ হওয়ার কোন কারণ নেই , কারণ এখনই
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর পার্থক্য সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এবং আপনি জেনে নিতে
পারবেন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো।
- ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বেশি সেবনের ফলে কিডনিতে পাথর এর সৃষ্টি হতে পারে
- ফুলে যেতে পারে হাত-পা
- কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে
- বদহজম বা পেটে এসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে
- কোন কোন ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও হতে পারে
- বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে
- ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে
এছাড়াও আপনি যদি থাইরয়েডের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে কোনভাবেই ভিটামিন ডি
ট্যাবলেট ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা উচিত নয়। আর আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে
থাকেন তাহলেও ক্যালসিয়াম জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে তারপরে ক্যালসিয়াম জাতীয় ট্যাবলেট গুলো গ্রহণ করুন।
ক্যালসিয়াম ফসফেট এর সংকেত
ক্যালসিয়াম ফসফেট হল , এক ধরনের অজৈব যৌগ । এবং এই ক্যালসিয়াম ফসফেট এর গঠনের
মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম আয়ন এবং ফসফেট আয়ন ।অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের
ক্যালসিয়াম ফসফেট এর সংকেত জানার দরকার পড়ে, তাই আজকে আমরা এই পোস্টের
মাধ্যমে ক্যালসিয়াম ফসফেট সংকেতটিও জেনে নেব। ক্যালসিয়াম ফসফেট এর সংকেত
হলো - Ca3(Po4)2
মন্তব্য, আশা করছি এই পোস্টটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই
আপনার আশানুরূপ প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে গেছেন। এই পোস্টে আপনাদেরকে
ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম এবং
ক্যালসিয়াম এর অভাবে কি কি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে সব বিষয়ে ভালোভাবে
জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনুভব
করেন তাহলে এই অসুখগুলোর হাত থেকে রেহাই পেতে অবশ্যই শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী
ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন এবং সুস্থ জীবন যাপন করুন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url