পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয় - পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
ছোট বড় সকলের মধ্যেই খুব কম একটি সমস্যা হল পেটের গ্যাস। মাঝে আছে অথবা কোন ভারী খাবার খাওয়ার পরে গ্যাস হওয়া খুব স্বাভাবিক হলেও যদি পেটে গ্যাসের সৃষ্টি নৃত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায় তাহলে অবশ্যই এর বিষয়ে সিরিয়াস ভাবে চিন্তাভাবনা করা উচিত। আজকে আমরা জানবো পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে এবং পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয় সেই বিষয়ে।
এই পোস্টের আলোচনার মধ্যে দিয়ে আপনি জেনে নিতে পারবেন পেটের গ্যাস কমানোর উপায়, পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয় এবং পেটের গ্যাস কমানোর খাবার ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের তথ্য। পেটের গ্যাস অত্যন্ত কমন এবং সাধারণ একটি বিষয় হলেও এই গ্যাসের কারণে অনেক সময় পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। গ্যাসের কারণে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয় ওই কারণে আজকে আমরা জেনে নেব পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয় এই বিষয়টি। চলুন তাহলে আর দেরি না করে পেটের গ্যাস সম্পর্কিত বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আলোচনায় যা থাকছেঃ পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয় - পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
- পেটে গ্যাস হয় কেন
- পেটে গ্যাস হওয়ার লক্ষণ
- পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয়
- পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
- পেটের গ্যাস কমানোর খাবার
- গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
- বাচ্চাদের পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
পেটে গ্যাস হয় কেন
পেটে গ্যাস হওয়া এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ব্যাপার , ছোট-বড় - নারী পুরুষ
সকলের ক্ষেত্রেই পেটে গ্যাস হওয়ার সমস্যাটি দেখা যায়। অত্যন্ত স্বাভাবিক কি
ব্যাপার হলেও আমরা কিন্তু অনেকেই জানিনা পেটে গ্যাস হয় কেন বা এর পেছনে কারণ কি।
যদি পেটে গ্যাস হয় কেন এই বিষয়টি জানা থাকলে তাহলে খুব সহজেই আমরা
এই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকতে পারি। পেটে গ্যাস
হওয়ার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ, তবে মূলত পাকস্থলীতে থাকা গ্যাস্ট্রিক
গ্ল্যান্ড থেকে এসিড নিঃসরণের জন্য পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
এই কারণটি ছাড়াও পেটে গ্যাস হওয়ার পেছনে আরেকটি যেই অন্যতম কারণ রয়েছে সেটি হল
, আমরা একসাথে বেশি খাবার খেলে সব খাবারগুলো একসাথে পাকিস্থলী হজম করতে পারেনা।
পাকস্থলী একসাথে সব খাবার হজম করতে না পারায় কিছু খাবার অপরিপাক থেকেই
ক্ষুদ্রান্তে জমা হয়। আর আমাদের ক্ষুদ্রান্তে রয়েছে বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়া এই
ব্যাকটেরিয়া গুলো অপরিপাক সেই খাবারগুলো খেতে শুরু করে, এক ক্ষুদ্রান্তে থাকা
ব্যাকটেরিয়া গুলোর আয়ু খুব কম হওয়ায় খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে এরা মারা যায়
এবং মারা যাওয়া এই ব্যাকটেরিয়া গুলো থেকে পরবর্তীতে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়।
শুধুমাত্র অতিরিক্ত খাবার খেলেই নয় দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে বা খাবার না খেলেও পেটে
গ্যাসের সৃষ্টি সমস্যা তৈরি হয়।
শরীরে যদি কোন কারণে বেশি বাতাস ঢোকে তাহলে ফেটে গেছে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে
,যেমন -কোন শক্ত খাবার বা শক্ত কোন কিছু চিবানোর সময় এর সাথে প্রচুর বাতাস
আমাদের পেটের মধ্যে ঢোকে , এবং এই অতিরিক্ত বাতাস গুলো পরবর্তীতে গ্যাস
আকারে শরীর থেকে বের হয়। অনেক সময়, আমাদের হজম শক্তি কম হওয়ার কারণে বিভিন্ন
ধরনের রিচ ফুড গুলো এবং যেসব খাবারের ফাইবার কম থাকে সেই খাবারগুলো দ্রুত
হজম হয় না, আর হজম না হওয়ার কারণে পেটে গ্যাস তৈরি হয়।
পেটে গ্যাস হওয়ার লক্ষণ
যে কারণে পেটে গ্যাস হোক না কেন , পেটে গ্যাস হওয়ার লক্ষণ গুলো জানা থাকলে খুব
সহজেই বোঝা যাবে যে , ফেটে গ্যাসের সমস্যা হয়েছে এবং এটি দূর করার জন্য বিভিন্ন
ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। পেটে গ্যাস হলে যেসব লক্ষণের মাধ্যমে বোঝা যায়
সেগুলো জন্য আপনাদের জানানোর জন্য নিচে পেটে গ্যাস হওয়ার লক্ষণ গুলো এক এক
করে তুলে ধরা হলো।
- পেট ভারী হয়ে থাকা ও ফুলে থাকা
- বদ হজম এবং পেট ফাঁপা
- বমি ভাব অথবা বমি হওয়া
- ক্ষুধা না লাগা
- পেটে ব্যথা
- পেট ও বুক জ্বালা করা
- ডায়রিয়া হতে পারে
- মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে
পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয়
সঠিক খাদ্য অভ্যাস এবং সঠিক ভাবে খাবার গ্রহণ না করার ফলে অথবা আরো বিভিন্ন
কারণে পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বয়স ভেদে যেকোনো বয়সী মানুষদের
ক্ষেত্রেই পেটের গ্যাস হওয়া কমন একটি সমস্যা। হঠাৎ বা অল্প স্বল্প গ্যাসের
ক্ষেত্রে বড় ধরনের বা মারাত্মক কোন ক্ষতি না হলেও অতিরিক্ত গ্যাস হলে এটি শরীরের
জন্য জটিলতা বা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। গ্যাসের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য
আমাদের জেনে রাখা উচিত পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয়। পেটের গ্যাস নিয়ে
সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আজকে আপনাদের জানাবো পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয়।
পেটে গ্যাস হলে বেশ কিছু ছোট বড় শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন আপনাকে হতে হবে,
পেটে গ্যাস হলে ছোট এসব সমস্যা হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে - মাথা ঘোরা , বমি
হওয়া , ডায়রিয়া হওয়া , বুক জ্বালাপোড়া , পেট ব্যথা , মাথা ব্যথা ,ঢেকুর
ওঠা এবং মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
এলার্জি দূর করতে নিম পাতার উপকারিতা
তবে পেটে গ্যাস হওয়া যদি নিত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায় তাহলে পেটে গ্যাস
হলে কি কি সমস্যা হয় সে বিষয়ে সকলের জানা দরকার এবং সতর্ক হওয়া দরকার। যদি পেটে
সব সময় বা অতিরিক্ত গ্যাস থাকে তাহলে এর থেকে সৃষ্টি হতে পারে।
- রক্তশূন্যতা
- উচ্চ রক্তচাপ
- আলসার
- ক্যান্সার
- হার্ট অ্যাটাক
- ফুসফুসের সমস্যা
পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
গ্যাস সকলেরই কম বেশি হয়ে থাকলেও যাদের একটু বয়স বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই
সমস্যাটি অতিরিক্ত মাত্রায় দেখা যায় । গ্যাস যেহেতু সকলের মধ্যে একটি কমন
সমস্যায় এই কারণে আজকে আমরা পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে জানব। যেকোনো
সময় এবং যেকোনো ধরনের খাবার খাওয়ার পরে আপনার গ্যাস হতে পারে এই জন্য জেনে রাখা
ভালো পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো। পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো জানা থাকলে
আপনি খুব দ্রুত পেটের গ্যাস কমিয়ে ফেলতে পারবেন এবং এর কারণে কোন বিব্রত কর
পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না , তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক পেটের
গ্যাস কমানোর উপায় গুলো।
হাঁটাহাঁটি করাঃ আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে বা অতিরিক্ত প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার
কারণে আমাদের শারীরিক পরিশ্রম অত্যন্ত কম হয় আর এটি হল ফেটে গ্যাস হওয়ার অন্যতম
একটি কারণ। তাই যখন পেটে গ্যাসের সমস্যার সৃষ্টি হবে তখন চুপচাপ এক জায়গায় বসে
না থেকে একটু হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করুন। হাটাহাটি বা হালকা শারীরিক ব্যায়াম
করলে এটি শরীরের গ্যাস জমতে বাধা দেয় এবং গ্যাস বের হতে সাহায্য করে ।
কুসুম গরম পানিতে গোসল করুনঃ শুনতে একটু অবাক করার মতন লাগলেও , পেটে গ্যাসের
সমস্যা দূর করতে হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে অনেকটাই উপসম মিলে। প্রথম গরম
পানিতে গোসল করলে এটি পেটের ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে এবং ফেটে গ্যাস জমতে
বাধা দেয়।
আরো পড়ুনঃ মহাঔষধি গুন সম্পন্ন কালোজিরার উপকারিতা
মাসাজ করুনঃ আপনার যদি পেটে গ্যাস হয়েছে বলে মনে হয় তাহলে স্টমাক বা পাকস্থলী আশেপাশে হালকাভাবে মাসাজ করুন, গোল গোল করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পুরো পেটে মাসাজ করলে পায়ুদারের মধ্যে দিয়ে গ্যাস বের করে দিতে এই মাথার অত্যন্ত ভালো কাজ করে এবং যার ফলে সহজেই গ্যাস কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়াও পেটে গ্যাস হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং যেসব খাবারগুলোতে দ্রুত
পেটের গ্যাস সারাতে সাহায্য করে সেই খাবারগুলো খেতে পারেন। পেটের গ্যাস থেকে
মুক্ত থাকতে হলে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ফাইবার যুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
কারণ ফাইবার যুক্ত খাবার দ্রুত হজম হয় এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
পেটের গ্যাস কমানোর খাবার
পেটের গ্যাসের অস্বস্তিতে ভোগের মেয়ে এমন লোক খুঁজে পাওয়া অসম্ভ হবে।তবে পেটে
গ্যাস হলে , এই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য খুব বেশি কিছু করার
প্রয়োজন পড়বে না , যদি আপনার জানা থাকে পেটের গ্যাস কমানোর খাবার গুলো
সম্পর্কে। আপনাদের এবার জানাবো পেটের গ্যাস কমানোর খাবার গুলোর নাম। আপনার যদি
জানা না কোন কোন খাবার গুলো পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে তাহলে সেই খাবার
গুলোর নামের তালিকা এখনই জেনে নিন। আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে পেটে গ্যাস
কমানোর খাবার গুলোর নামের তালিকা নিতে দেওয়া হল।
- শসা
- পেঁপে
- কলা
- কমলা
- আনারস
- তরমুজ
- লবঙ্গ
- দারুচিনি
- পুদিনা পাতা
- আদা
- হলুদ
- জিরা
- মৌরি
- ডাবের পানি
- এলোভেরা
- রসুন
- লেবুর শরবত
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পেতে গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এপ্লাই করতে পারেন।
পেটে গ্যাস সৃষ্টি হওয়ার কারণগুলো যদি জানা থাকে তাহলে আমরা পেটে গ্যাস হওয়ার
আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে পারি কিন্তু তারপরেও কোন কারনে যদি গ্যাসের সমস্যা
তৈরি হয় তাহলে গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলুন। কারণ
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে
পারে পেটের গ্যাস দূর করতে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক পেটে গ্যাসের সমস্যা
দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো,
প্রচুর পানি পান করুনঃ পেটে যদি গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয় তাহলে প্রচুর পরিমাণে
পানি পান করা উচিত কারণ পানি গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। পেটে গ্যাস না হলেও
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত কারণ পানি আমাদের খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে
যার ফলে দ্রুত খাদ্য হজম হয় এবং পেটে গ্যাসের সমস্যার সৃষ্টি হয়না।
তেল এবং মসলাদার খাবার কম খাওয়াঃ পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে কোনোভাবেই তেল ও
মসলাদার খাবার খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে গ্যাসের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে শারীরিক
জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এমনিতেও গ্যাসের সমস্যা এড়িয়ে চলার জন্য কোন অবস্থাতেই
অতিরিক্ত তেল এবং অতিরিক্ত মসলাদার খাবার গ্রহণ করা মোটেও উচিত নয় কারণে জাতীয়
খাবার গুলো দ্রুত হজম হয় না যার ফলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করে।
হাঁটাহাঁটি বা শরীর চর্চাঃ হালকা শারীরিক ব্যায়াম অথবা নিয়মিত হাটাহাটি করলে
গ্যাসের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকা যায়। এই কারণে আমাদের উচিত পেটে গ্যাসের
সমস্যা দেখা দিলে চুপচাপ শুয়ে বসে না থেকে হাটাহাটি করা। শরীরচর্চা বা হাটাহাটি
করলে পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি গ্যাসের ব্যথা দূর করতেও সাহায্য
করে।
টক দইঃ গ্যাসের সমস্যা দূর করতে এবং পেট ঠান্ডা রাখতে টক দইয়ের ভূমিকা অনেক বেশি
। টক দই খাবার পরিপাকে অর্থাৎ খাদ্য হজমে সহায়তা করে। যার ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার
সম্ভাবনা কম থাকে এবং গ্যাস হলে সেই গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
কলাঃ কলা পেটের গ্যাস কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফল। কলা খেলে পেট পরিষ্কার
থাকে এবং কলার ভেতরে ফাইবার থাকায় এটি খাদ্য হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য
দূর করতে সাহায্য করে।
এলোভেরাঃ এলোভেরা রস হজম শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এলোভেরা
রসের মধ্যে থাকা উপাদান গুলো পেটে এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে
অ্যালোভেরার রস খেলে দ্রুত গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।
আরো পড়ুনঃ
রসুন খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নিন
আদা , রসুন ও জিরাঃ পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে , আমাদের রান্নার কাজে
ব্যবহৃত নিত্য প্রয়োজনীয় এবং অতি পরিচিত মসলাগুলো যেমন আদা, রসুন ও জিরা
অত্যন্ত দ্রুত গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য আদা
চা অথবা জিরা পানি কিংবা রসুন কুচির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগারঃ পেটের গ্যাস কমানোর জন্য আরেকটি অত্যন্ত দুর্দান্ত কার্য করি
পানীয় হলো অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। নিয়মিত যদি অন্ততপক্ষে দুইবার খাওয়ার
আধঘন্টা পূর্বে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে এটি আপনার পেটে
গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
এগুলো ছাড়াও পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনি খেতে পারেন
ঠান্ডা দুধ কারণ ঠান্ডা দূর এসিডিটি বা গ্যাস দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
পেটের গ্যাস দূর করার ক্ষেত্রে আরো যে খাবারগুলো খেতে পারেন সেগুলো হল শসা ,
লবঙ্গ ও দারুচিনির গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে , পুদিনা পাতার রস দ্রুত গ্যাস দূর
করতে অত্যন্ত কার্যকরী পাশাপাশি লেবুর রস পেটের গ্যাস দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকরী
ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাচ্চাদের পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
বিভিন্ন সময় পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে বাচ্চারাও রেহাই পায় না।শিশু বা ছোট
বাচ্চারা যদি একাধিক বার ঢেকুর উঠায় , বায়ু ত্যাগ করে , শিশুদের যদি তলপেট শক্ত
মনে হয় , অস্থিরতা এবং কান্নাকাটি করে তাহলে প্রাথমিকভাবে বুঝে নিতে হবে বাচ্চার
পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়েছে। আপনি যদি বুঝতে পারেন বাচ্চার পেটে গ্যাস হয়েছে
তাহলে বাচ্চাদের পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো অনুসরণ করুন। তবে সর্বপ্রথমে যে
কাজটি করতে হবে বাচ্চার পেটের গ্যাস কমানোর জন্য বাচ্চার পেটের গ্যাস কমানোর
উপায় গুলো জানতে হবে। এবার আপনাদেরকে বাচ্চাদের পেটের গেস্ট কমানোর উপায় গুলো
জানাবো।
- শিশুর পেটে আলতো ভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন , এতে করে পেটের গ্যাস পায়ুপথের দিক দিয়ে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করুন।
- শিশুর পেটে গ্যাস হলে হালকা কুসুম গরম পানি খাওয়ান এবং হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করানোর চেষ্টা করুন , এই পদ্ধতিতে শিশুর পেট ও শরীর ঠান্ডা করতে এবং গ্যাস কমাতে সাহায্য করবো।
- এই অবস্থাতে শিশুকে চুপচাপ শুয়ে না রেখে তার হাত-পা নাড়াচাড়া করানোর চেষ্টা করুন , এটি শিশুর শরীর থেকে গ্যাস বের হতে ফলদ্বায়ক হবে।
- যাদের পেটের সমস্যা আর জন্য সোজাভাবে কোলে নিয়ে পিঠের উপরে হালকা থাবা দিতে থাকে এতে পেটে জমে থাকা গ্যাস বের হতে সহজ হবে।
- এই পদ্ধতি গুলো এপ্লাই করার পরেও যদি কোন ভাবে বাচ্চার পেটের গ্যাস না কমে তাহলে , খাওয়ান অথবা দ্রুত রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ করুন।
উপরিক্ত পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে এতক্ষণে নিশ্চয়ই পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা
হয় এবং পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়েছে। যদি পেটে
গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে পেটে গ্যাসর সমস্যা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো
এপ্লাই করার মাধ্যমে দ্রুত গ্যাস কমিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছি।
Nice One