কালোজিরার ১৫টি উপকারিতা - রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা - মধু ও কালোজিরার উপকারিতা
মহাঔষধি গুন সম্পন্ন এই কালোজিরার বীজের মধ্যে আল্লাহপাক রেখেছেন অসাধারণ এবং বিস্ময়কর উপকারিতা। নবীজি বলেছেন-তোমরা কালোজিরার এই কালো দানা ব্যবহার করবে কেননা এতে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের সমাধান রয়েছে(ইবনে মাজাহ, হাদিস ৩৪৪৮)। তাই আজকে আমরা কালোজিরার উপকারিতা এবং রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।
সূচিপত্রঃ কালোজিরার উপকারিতা - রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা - মধু ও কালোজিরার উপকারিতা
কালোজিরার উপকারিতা
কালোজিরা গুলো এক ধরনের বীজ এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Nigella Sativa.
কালোজিরার উপকারিতা অনেক বেশি। হাদীস শরীফেও একে মহাঔষধ বলা রয়েছে। আবু হুরায়রা
(রা) হতে বর্ণিত রাসূলউল্লাহ (সা) কালোজিরা সম্পর্কে বলেছে - কালোজিরা হলো
'সাম' ছাড়া সকল রোগের ঔষধ(সাম অর্থ মৃত্যু) সহিহ বুখারী হাদিস ৫৬৮৮। এই হাদিস
থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে এই ছোট পোষ্টের মধ্যে কালোজিরার উপকারিতা লিখে শেষ করার
মতন নয় , তবুও কালোজিরার উল্লেখযোগ্য কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো আজকে আমরা
জানবো মহাঔষধি গুনেভরা কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে। আপনার যদি কালোজিরা উপকারিতা
সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে এই পোস্টটির এই অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে
নিন কালোজিরার উপকারিতা গুলো।
মাথা ব্যথা দূর করেঃ মাথাব্যথা বা বা মাইগ্রেন দূর সাহায্য করে
কালোজিরা। নিয়মিত কালোজিরা খেলে অথবা মাথাব্যথা সময় কালোজিরা তেল মালিশ করলে
মাথা ব্যথা দূর হয়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার বিভিন্ন ধরনের খাবার
থাকলেও এর মধ্যে অন্যতম এবং দ্রুত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে আশ্চর্যজনক কাজ
করে কালোজিরা। নিয়মিত কালোজিরা খেলে এটি আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল প্রবাহকে
ঠিক রাখে এবং যার ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
লিভার ভালো রাখেঃ নিয়মিত কালোজিরা খেলে লিভার সুস্থ থাকে। এবং কালোজিরা
বিহারের বিভিন্ন ধরনের অসুখ এবং ক্যান্সার রোধ করে।
হার্টের সমস্যা দূর করতেঃ হার্টের সমস্যা দূর করতেও কালোজিরা চমৎকার কাজ
করে , হার্টের যে কোন সমস্যা দূর করার জন্য মধু এবং কালোজিরা খেলে অনেক ভালো
উপকার করা যায়। হার্টের সমস্যার ক্ষেত্রে কালোজিরার মালিশও অনেক উপকার
করে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করেঃ নিয়মিত কালোজিরা খেলে অথবা কালোজিরার তেল শরীরে মেখে সূর্যের তাপে কিছুক্ষণ থাকলে এটি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক ভালো সাহায্য করে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃ শরীরের শর্করার মাত্রা কমাতে কালোজিরা তেল অত্যন্ত কার্যকরী যার ফলে কালোজিরা তেল খেলে শরীরের শর্করার মাত্রা কম হয় যার ফলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শ্বাসকষ্ট সারাতেঃ শ্বাসকষ্টের রোগীরা , শ্বাসকষ্ট সারাতে কালোজিরা
খাওয়ার অভ্যাস করুন। কালোজিরা শ্বাসকষ্ট জনিত যেকোনো রোগ সারাতে অত্যন্ত ভালো
কাজ করে। কালোজিরা ,মধু দুধ অথবা চায়ের সাথে মিশিয়ে খেলে দ্রুত হাঁপানি রোগ
থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা সারাতেঃ যাদের মাসিক নিয়মিত হয় না তারা
কালোজিরা অথবা কালোজিরা তেল , কাঁচা হলুদ অথবা আতপ চালের পানির সাথে মিশিয়ে
খাওয়ার অভ্যাস করুন এতে আপনার নিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর হবে।
ত্বক ভাল রাখতেঃ নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করলে এটি ত্বকের তারণ্য
ধরে রাখতে সাহায্য করে। কালোজিরার মধ্যে রয়েছে এসেনসিয়াল দুইটি ফ্যাটি
এসিড লিনোলেইক ক এবং লেনোলেনি্ক যা ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর এবং উজ্জ্বল
রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও কালোজিরার পেস্ট এবং মধু ভালোভাবে মিক্স করে ত্বকে
লাগালে, ত্বক সুন্দর হয়।
ব্রণের সমস্যা দূর করতেঃ ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য কালোজিরার পেস্ট এর সাথে সামান্য অ্যাপেল ফিডার ভিনেগার মিশিয়ে ব্রণের উপরে লাগালে, খুব দ্রুত ব্রণ সেরে যায়।
ওজন কমাতেঃ শরীরের অতিরিক্ত মেদ বা ওজন কমানোর জন্য কালোজিরা মোক্ষম
ভূমিকা পালন করতে পারে। অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুই
চামচ টক দের সাথে এক চামচ কালোজিরা ভালোভাবে মিশিয়ে খেয়ে নিন তবে যাদের ঠান্ডা
লাগা জনিত অসুবিধা রয়েছে তারা রাত্রেবেলা টক দই না খেয়ে দই ও কালোজিরা
সকালে খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ কমলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
চুলের যত্নেঃ চুলের যত্নে ও কালোজিরা অনেক উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে
যদি নিয়মিত কালোজিরার খাওয়া হয়। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে চুল
পড়া রোধ করে এবং কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে চুল পরিপূর্ণ পুষ্টি পায় যার
ফলে চুল পড় থেকে শুরু করে চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর হয় এবং চুলের
গোড়া শক্ত হয়।
ডায়রিয়া সারাতেঃ ডায়রিয়া রোগ সারাতে স্যালাইন অথবা বিভিন্ন ঔষধের
পাশাপাশি কালোজিরা অথবা কালোজিরা তেল খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
সর্দি কাশি সারাতেঃ কালোজিরা মধ্যে যে আশ্চর্য গুন গুলো রয়েছে তার মধ্যে
সর্দি কাশি সারানোর উপকারিতাও মেলে। কালোজিরার সাথে তুলসীর রস এবং
মধুর একসাথে খেলে সর্দি কাশি দুর হয়। এছাড়াও ঠান্ডা লাগা জনিত
কারণেই যাবে যাদের নাক বন্ধ থাকে তারা একটি নরম কাপড়ে কালোজিরা নিয়ে সেটির
ঘ্রাণ মিলে সহজেই নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা দূর হয়।
বুকের দুধ বাড়াতেঃ যারা ব্রেস্ট ফিড বা বুকের দুধ তাদের বুকে দুধ বাড়াতে কালোজিরা খান।কারণ কালোজিরা বুকের দুধ বাড়াতে অত্যন্ত উপকারী।
এগুলো ছাড়াও কালোজিরা নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে কালোজিরার উপকারিতা হিসেবে সমস্যা দূর হবে , স্বাস্থ্য ভালো থাকবে , রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ,দাঁত ব্যথা দূর হবে , অনিদ্রা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে , কিডনির পাথর এবং গলব্লাডারের পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না, স্নায়বিক উত্তেজনা গুলো দূর হবে , শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটাতে
রসুন ও কালোজিরার খাওয়ার উপকারিতা
আজকে আপনাদের জানাবো রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্ক। মসলা হিসেবে রসুনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে আর কালোজিরার স্বাস্থ্য উপকারিতা বা উপকারিতার কথা নতুন করে আর বলার কিছু নেই। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না রসুন ও কালোজিরা খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়, তাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা গুলো। রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা গুলো হল,
- যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে
- যৌন অক্ষমতা দূর করে
- বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- বাত এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে
- কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
- হার্ট ভালো রাখুন
- ডাইবেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
- ত্বকের সমস্যা দূর করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
মধু ও কালোজিরার উপকারিতা
মধু ও কালোজিরা দুটো উপাদানই ঔষধি গুণে ভরপুর। আর মধু এবং কালোজিরা দুটোর
গুণাগুণের কথায় উল্লেখ আছে আমাদের পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনে এবং হাদিসে। তাই মধু
ও কালোজিরা যদি একসাথে মুখ খাওয়া যায় তাহলে এর গুণাগুণ বা কার্যক্ষমতা বহুগুনে
বেড়ে যায়। আমরা আজকে জানবো মধু ও কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে । যেহেতু এই দুটো
উপাদানের কথায় স্পষ্ট ভাবে কোরআন এবং হাদিসে উল্লেখ আছে সুতরাং এর উপকারিতা
সম্পর্কে সন্দেহ করার কোন অবকাশ নেই। আমরা হয়তোবা অনেকেই মধু ও কালোজিরা
উপকারিতার কথা জানে , কিন্তু একচুয়েলি মধু এবং কালোজিরা খেলে কি কি উপকারিতা
পাওয়া যায় সেই উপকারিতা গুলোর ২-১ আমরা জানলেও হয়তো সবগুলো জানিনা। তাই আজকে
চলুন মধু ও কালোজিরা উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ নারী অথবা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই যৌন শক্তি
বৃদ্ধিতে মধু ও কালোজিরা ম্যাজিকের মতন কাজ করে। যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য
প্রতিদিন দুই চামচ আদার রসের সাথে মধু এবং কালোজিরা মেশিয়ে খেলে অত্যন্ত ভালো ফল
পাওয়া যায়। মধু এবং কালোজিরা একসাথে খেলে পুরুষের শুক্রাণু এর সংখ্যা বাড়ে।
সর্দি কাশি সারাতেঃ কালোজিরা এবং মধু একসাথে খেলে খুব দ্রুত সর্দি কাশি
সেরে যায়। সর্দি কাশি থেকে উপশম পেতে দিনের মধ্যে ২-৩ বার মধুর সাথে কালোজিরা
মিশিয়ে খান এবং এর পরে কিছুটা গরম দুধ অথবা লাল চা/রং চা এ জাতীয় গরম কিছু
খাওয়ার চেষ্টা করুন দেখবেন অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার সর্দি কাশি দূর হয়ে
গেছে। এছাড়াও সর্দি কাশি সারাতে আপনি মধু ও কালোজিরা সাথে তুলসী পাতার রস খেতে
পারেন তাতেও খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ কালোজিরা অথবা কালোজিরা তেলের সাথে মধু
মিশিয়ে খেলে এটি শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ মধু এবং কালোজিরা দুটি উপাদানের মধ্যেই
বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে । তাই প্রতিদিন যদি মধু এবং কালোজিরা
একসাথে খাওয়া যায় তাহলে এর মধ্যে কার ঔষধি উপাদান গুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন
ধরনের খনিজ উপাদান গুলোর ঘাটতি পূরণ করে যার ফলে মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মধু এবং
কালোজিরা বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে কারণ কালোজিরা উপাদান গুলো শরীরের রক্ত
চলাচল প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখে এবং শরীরের শর্করার মাত্রা কম করতে সাহায্য করে আর
মধু পরিমিত পরিমাণে খেলে, প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে
খুব একটা প্রভাব ফেলে না। যার ফলে কালোজিরা এবং মধু একসাথে খেলে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মেমোরি বৃদ্ধি করেঃ স্মৃতিশক্তি বা মেমোরি বৃদ্ধিতে অতুলনীয় মধু এবং কালোজিরা। মধু এবং কালোজিরা দুটি উপাদানই আমাদের শরীরের এবং মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে সক্রিয়। আর মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বেশি হওয়ার ফলে এটি আমাদের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও বিশেষ সাহায্য করে।
চুলের জন্য কালোজিরার উপকারিতা
চুলের জন্য কালোজিরা উপকারিতা সম্পর্কে এবার আমরা জানবো। পোষ্টের উপরের অংশে আমরা
জেনেছি কালোজিরা চুলের জন্য উপকারী, তাই এবার আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো
চুলের জন্য কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে। আপনি যদি চুলের জন্য কালোজিরা উপকারিতা
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টের এই অংশটি থেকে এই বিষয়ে আপনি বিভিন্ন তথ্য
পেয়ে যাবেন যা আপনার চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে ফল হবেদায়ক হবে।
মাথায় নতুন চুল গজাতেঃমাথায় নতুন চুল গজাতে কালোজিরার তেল অত্যন্ত
কার্যকরী। আপনি যদি কালোজিরা থেকে তেল বের করে অথবা বাজার থেকে কালোজিরা তেল কিনে
নিয়মিত এটি আপনার মাথার স্কাল্পে ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনার মাথায় নতুন চুল
গজাতে সাহায্য করবে এবং চুলের রুক্ষতা কমাবে ও পাশাপাশি হেয়ার ফল রোধ
করবে।
খুশকি দূর করতেঃকালোজিরা তেলের সাথে অথবা কালোজিরা বেটে এর সাথে অ্যাপেল
সিডার ভিনেগার খেয়ে মাথায় ব্যবহার করলে এটি মাথার খুশকি দূর চুলের গোড়া মজবুত
করতে সাহায্য করে। এছাড়াও পানির মধ্যে কালোজিরা দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে এই
পানিটি ঠান্ডা করে তার সাথে কয়েক চামচ ভিনেগার মিশিয়েও মাথায় ব্যবহার করতে
পারেন। সপ্তাহে কয়েকদিন ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি মাথার খুশকি দূর হবে এবং
মাথার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও এই মিশ্রণটি
সাহায্য করবে।
আরো পড়ুনঃ রাতে কলা খেলে কি হয়
চুল পড়া রোধেঃ হেয়ার ফল বা চুল পড়ার সমস্যা এটি ছেলে বা মেয়েদের
ক্ষেত্রে অত্যন্ত কমন একটি অসুবিধা, এই সমস্যা দূর করতে কালোজিরা তেল এবং অলিভ
অয়েল একসাথে ব্যবহার করা হলে অত্যন্ত ভালো এবং দ্রুত ফল পাওয়া যায়। অলিভ অয়েল
এবং কালোজিরা তেল ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে মাথায় মাখল এবং বেশ কিছুক্ষণ ধরে
চুলের গোড়ায় মাসাজ করুন। কালোজিরা এবং অলিভ অয়েল চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগাতে
এবং মাসাজ রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাড়াবে যার ফলে নতুন চুল গজাতে এবং চুল
পড়া রোধ করতে সাহায্য করবে।
চুলের গোড়া শক্ত করতেঃ আপনার চুল যদি দুর্বল এবং চুলের গোড়া যদি নরম হয়
তাহলে চুল স্বাস্থ্যজ্জল এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে মেহেদী ও কালোজিরা দুটি
উপাদান একসাথে বেটে অথবা কালোজিরা তেলের সাথে মেহেদি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। চুলের
গোড়ায় পুষ্টি যোগাতে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে মেহেদী ও কালোজিরা দুটি উপাদানে
বিশেষ কার্যকর। তাই সপ্তাহে একদিন অথবা দুই দিন নিয়মিতভাবে কয়েক মাস মেহেদী ও
কালোজিরা ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত হবে।
মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেঃ মাথার ত্বকে যদি কোন ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের আক্রমণ ঘটে অথবা মাথার ত্বকে কোন প্রকার চর্ম রোগের দেখা দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি কালোজিরার গুড়া অথবা কালোজিরা তেল এর সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল তেল ও কালোজিরার সাথে সামান্য মধু এড করতে পারলে আরো ভালো হয় তবে না দিলেও কোন সমস্যা নেই। নারিকেল তেল ও কালোজিরার গুড়া বা তেল আপনার মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
মন্তব্য, এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা কালোজিরা
গুনাগুন সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছে। এ পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের
জানানোর চেষ্টা করেছি রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা এবং মধু ও কালোজিরার
উপকারিতা সম্পর্কে। পোস্টের তথ্যগুলো জানতে পেরে নিশ্চয়ই আপনি অনেক
উপকৃত হয়েছে। যদি সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত কালোজিরা
খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং আপনার সন্তান-সন্ততিদেরও এই অভ্যাসে অভ্যস্ত করে
তুলুন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url