খেজুর খাওয়ার উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুর এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমাদের পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনে যতগুলো খাবারের বর্ণনা রয়েছে তার মধ্যে খেজুর অন্যতম। এক হাদিস থেকে জানতে পারা যায় নবীজি বলেন-খেজুরের মধ্যে বিভিন্ন রোগের নিরাময় আছে, এবং ভরে এটি খেলে বিষের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে(মুসলিম, হাদিস ৫১৬৮) এই কারণে আজকে আমরা জানবো খেজুর খাওয়ার উপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ খেজুর - খেজুর খাওয়ার উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
- খেজুর খাওয়ার উপকার
- গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
- সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
- খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
খেজুর খাওয়ার উপকার
খেজুর খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। খেজুর খাওয়ার উপকারিতা শুধু আমরা
শারীরিক দিক দিয়েই পাই না বরঞ্চ খেজুর খেলে এটির মাধ্যমে নবীর একটি সুন্নত
পালন করা হয়ে যায় কারণ নবীজি খেজুর খেতে পছন্দ করতেন ও খেজুর খেয়ে ইফতার
করতেন(তিরমিজি)। খেজুরের খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি, এই কারণে হয়তো এই ছোট
পোষ্টের মধ্যে খেজুর খাওয়ার সব উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা বা তুলে ধরা
সম্ভব নয় তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে শুধু খেজুর খাওয়ার উল্লেখযোগ্য
উপকারিতাগুল সম্পর্কে তুলে ধরা হলো। তাহলে চলুন এবার খেজুর খাওয়ার উপকারিতা গুলো
জেনে নেওয়া যায়।
শরীরে শক্তি যোগায়ঃ খেজুরের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালোরি
থাকায় এটি খেতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায় এবং শরীরের
শক্তি ফিরে আসে।
হার্ট ভালো রাখেঃ খেজুর শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য
করে ফলে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস থাকলে শরীরে খারাপ কোলেস্ট্রল জমা হতে পারে
না যার কারণে হার্ট এটাকের ঝুঁকি কম থাকে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো
থাকে।
আরো পড়ুনঃ
মহাঔষধি গুন সম্পন্ন কালোজিরার উপকারিতা
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ সম্প্রতি এর গবেষণায় দেখা গেছে পেটের বিভিন্ন
ধরনের ক্যান্সার বিশেষ করে একদম মিনাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে খেজুর অত্যন্ত
কার্যকরী।
হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণঃ অন্যান্য বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি
খেজুর হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীরে খারাপ
কোলেস্ট্রল থাকে না এবং খেজুরের মধ্যে পটাশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে ও সোডিয়াম
অল্প থাকে যার কারণে আমাদের হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেও খেজুরের ভূমিকা
রয়েছে। কারণ খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে ইন্সুলিনের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায় এবং
খেজুরের ভেতরের ফাইবার থাকায় এটি শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য
করে যার ফলের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখেঃ খেজুর আমাদের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা ঠিক রাখে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে খেজুরের সাথে দুধ মিশিয়ে
ছিলে অত্যন্ত ভালো ফল পাওয়া যায়।
এলার্জি দূর করতেঃ যারা প্রতিনিয়ত এলার্জিক সমস্যায় ভুগছেন তারা খাদ্য
তালিকায় খেজুর যুক্ত করে খুব সহজে, বিভিন্ন ধরনের এলার্জি থেকে মুক্ত থাকতে
পারেন কারণ খেজুরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদানগুলো শরীরের এলার্জি দূর করতে বিশেষ
ভূমিকা পালন করতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ খেজুরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান বা
পুষ্টিগুণ গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম খনিজ উপাদান হলো ফাইবার। খেজুরে প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার থাকা এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
বন্ধ্যাত্ব দূর করতেঃ খেজুর পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর করতে
অত্যন্ত ভালো কাজ করে। নিয়মিত খেজুর খেলে পুরুষদের শরীরের ডিএনএর গুণগত মান
বৃদ্ধি পায় এবং যার ফলে পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব দূর হয়।
ত্বক ভালো রাখতে এবং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেঃ প্রতিদিন খেজুর
খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এটির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানটি আমাদের ত্বক
ভালো লাগবে এবং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কাজ করে। খেজুর আমাদের ত্বকের ওপরে
বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বকের জন্য বিশেষ কোনো
এক্সট্রা বা অতিরিক্ত প্রয়োজন হয়না, তার কারণ খেজুরের ভেতরের থাকা
বিভিন্ন উপকারী উপাদান গুলো থেকে ত্বক গ্লোয়িং করতে কাজ করে।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
এতক্ষণ আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। এ
পর্যন্ত আমরা খেজুর খাওয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে
নিয়েছি এবার আমরা গর্ব অবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।
প্রত্যেক গর্ভবতী নারীদেরই জেনে রাখা উচিত গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার
উপকারিতা গুলো কারণ গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে তা মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যে
ভালো রাখার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় শরীরের
বিশেষ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয় এবং পুষ্টির চাহিদাও দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায় আর
যা আমরা খুব সহজে খেজুরের মাধ্যমে পূরণ করতে পারি এ কারণে আমাদের জেনে রাখা
উচিত গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা।
আরো পড়ুনঃ
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা
শক্তি সরবরাহ করেঃখেজুরের মধ্যে শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের খনিজ
উপাদান গুলো উচ্চ মাত্রায় পাওয়া যায়। আর যে কারণে গর্ভাবস্থায় খেজুর
খেলে গর্ভবতী মা তার শরীরে স্বাভাবিক শক্তি বজায় রাখতে পারে। গর্ভাবস্থায় শরীরে
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পরে আর যে কারণে শরীর দুর্বল লাগে।
গর্ভাবস্থার এই শারীরিক দুর্বলতা খুব সহজেই আমরা খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে কাটিয়ে
উঠতে পারি কারণ খেজুর শরীরে শক্তি সরবরাহ করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন
করে।
হজম প্রক্রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় অনেক গর্ভবতী
মায়েরই হজম প্রক্রিয়ায় ডিস্টার্ব দেখা দেয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে
থাকে। খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক
রাখতে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের এর সমস্যাও দূর করে।
বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার একটি
অন্যতম উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হলো এটি শিশুর বিকলাঙ্গ হওয়া অথবা বাচ্চার যেকোনো
জন্ম কত ত্রুটি দূর করতে সাহায্য করে। খেজুরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান
এবং ভিটামিন থাকায় গর্ভের সন্তান সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ পাই এবং যার ফলে
বাচ্চার জন্ম গ্রহন ত্রুটি থাকে না।
গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ গর্ভবতী
মায়েদের গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগ হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক
একটি বিষয়। খেজুরের ভেতরে থাকা বেশি মাত্রায় পটাশিয়াম এবং খুব অল্প
পরিমানে সোডিয়াম থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা
বাড়িয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা পালন করে। এই কারণে গর্ভাবস্থায়
উচ্চ রক্তচাপ এবং ডাইবেটিস থেকে মুক্ত থাকা যায়।
গর্ভের বাচ্চার স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখেঃ খেজুরের মধ্যে বিভিন্ন
ধরনের উপাদানগুলো উচ্চমাত্রায় পাওয়া যায় বলে গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে গর্ভবতী
মায়েদের শরীরের পুষ্টিগুণের ঘাটতি পড়ে না আর শরীরে গর্ভবতী মায়ের
পুষ্টিবতী থাকে না বিধায় গর্ভের সন্তান প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি পায় এবং
স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে এই কারণে গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে
গর্ভের সন্তানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং স্বাভাবিক ওজন বজায় থাকে।
হাড় গঠনে সহায়তা করেঃ খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম
আর গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কথা আমরা সকলেই জানি, গর্ব অবস্থায় শরীরে
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পরে বিধায় ডাক্তাররা গর্ভবতী মায়েদেরকে ক্যালসিয়াম
ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়েরা যদি নিয়মিত খেজুর খায়
তাহলে খেজুরের মাধ্যমে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় আর শরীরে
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না থাকায় এটি গর্ভবতী মায়ের এবং গর্ভের সন্তানের
হার গঠনে সাহায্য করে।
রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ গর্ভবতী মায়েদের রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য খেজুর একটি আদর্শ খাবার। খেজুরের মধ্যে আয়রন থাকায় এটি শরীরে রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে যার ফলে গর্ভবতী মায়েদের রক্তস্বল্পতা জনিত অসুবিধায় ভুগতে হয় না। আশা করছি গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বুঝতে পেয়েছেন।
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এই প্রশ্নের উপরের অংশে আমরা আলোচনা
করেছিলাম। খেজুর যে অবস্থাতেই খান না কেন খালি পেটে অথবা ভরা পেটে , এর স্বাস্থ্য
উপকারিতা বা পুষ্টিগুণ শরীর পেয়ে যাবে তবে সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে এর
উপকারিতা বেশি মাত্রায় এবং ভালোভাবে পাওয়া যায় , আর তাই সংক্ষেপে আপনাদেরকে
আরেকবার জানিয়ে দিচ্ছি সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা। নিচে সকালে খালি
পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা গুলো তুলে ধরা হলো।
- শরীর তার চাহিদা অনুযায়ী প্রোটিন , ভিটামিন এবং অন্যান্য খনিজ উপাদানগুলো পেয়ে যাই।
- হাড় গঠনে সহায়তা করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়
- শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়
- খারাপ কোলেস্টেরল কম হয়
- স্মৃতিশক্তি বাড়ে
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে
- রক্তশূন্যতা দূর হয়
- ত্বক সুন্দর হয়
খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
খেজুরের মধ্যে অনেক উপকারিতা বা অনেক পুষ্টিগুণ থাকলেও এটি অতিরিক্ত খাওয়া
আমাদের উচিত নয়। কারণ অতিরিক্ত কোন কিছু খেলে সেটা যতই উপকারই হোক না কেন আমাদের
শরীরের উপরে কিছু খারাপ প্রভাব হতে পারে অথবা কিছু ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
দেখা দিতে পারে। এই কারণে খেজুর খাওয়ার আগে অবশ্যই খেজুর অতিরিক্ত খেজুর
খাওয়ার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। আর আজকে তাই আপনাদের
জানাবো অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে। খেজুর নিঃসন্দেহে
পুষ্টিকর এবং শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাবার হলেও এটি যেসব ক্ষেত্রে
অসুবিধা বা শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে সেগুলো হল।
খেজুরের মধ্যে পটাশিয়াম থাকার কারণে আমরা যদি অতিরিক্ত খেজুর খায় তাহলে এটি আমাদের কিডনির উপরে এফেক্ট করতে পারে, আর যার ফলশ্রুতিতে দেখা দিতে পারে কিডনিজনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। খেজুরের মধ্যে যেই মিষ্টতা থাকে সেটি প্রাকৃতিক চিনি হিসেবে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করলে যদি অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া হয় তাহলে এই চিনিগুলো শরীরের অভ্যন্তরে জমা হয়ে আমাদের ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়াও বেশি পরিমাণে খেজুর খেলে তা ডায়রিয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং
হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর অনেক উপকারে আসলেও
যদি প্রেগন্যান্ট মহিলারা ডায়াবেটিস জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে খেজুর তাদের
শরীরে চিনি বা শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এ
কারণে অবশ্যই প্রেগন্যান্ট অবস্থায় খেজুর খেতে হলে ডায়াবেটিস চেক করে এবং
ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করে খাওয়া উচিত।
মন্তব্য, আমাদের পবিত্র গ্রন্থে এবং হাদিসে যেহেতু খেজুরের কথা উল্লেখ আছে এবং
খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে বলা রয়েছে এর মধ্যে বিভিন্ন অসুখের সেফা রয়েছে
সুতরাং খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে সন্দেহ করার কোন অবকাশ নেই তবে খেজুর অত্যন্ত
উপকারী হলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে এর কিছু অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা
যায় এই কারণে কখনোই অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া উচিত নয় আর পরিমিত পরিমাণে খেজুর
খেলে এর কোন উপকার হয় না বরঞ্চ শরীরের বিভিন্ন রোগ সারাতে খেজুর বিশেষ
ভূমিকা পালন করে। তাই অল্প পরিমাণে খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখার চেষ্টা করুন, করলো
কারণ এই খেজুর আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং নবীর একটি সুন্নত পালন করতে সাহায্য
করবে।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url