পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা - পেয়ারার অপকারিতা - গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
সুস্বাদু এবং অত্যন্ত পুষ্টিগুণ হওয়া সত্বেও সহজলভ্য একটি ফল হল পেয়ারা। পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা থাকলে আমরা খুব সহজে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলো পূরণ করে ফেলতে পারি এবং এর সাথে সাথে বেশ কিছু রোগ থেকেও পেতে পারি। তবে এই ধরনের উপকারিতা গুলো পেতে হলে অবশ্যই পেয়ারা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। উপকারী ফল হলেও পেয়ারার অপকারিতা রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা এড়াতে পেয়ারার অপকারিতা গুলো সম্পর্কেও জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
শুধুমাত্র স্বাভাবিক অবস্থাতে নয় গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে।
আপনি যদি পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা , পেয়ারার অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় পেয়ারা
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে , আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ
পর্যন্ত পড়ুন। কারণ এই পোস্টে থাকছে পেয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
সূচিপত্রঃ পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা - পেয়ারার অপকারিতা - গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
- পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
- পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম
- পেয়ারার অপকারিতা
পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল হল পেয়ারা। অত্যন্ত উপকারী এই ফলটি
আমাদের অনেকের কাছে প্রিয় এবং দামেও সহজলভ্য। পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা অনেক
বেশি। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু অসুখ সারানোর অসাধারণ গুন। আজকে আমরা জানবো
সহজলভ্য এই ফল অর্থাৎ পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। পুষ্টিগুণে
ভরপুর পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ পেয়ারা খেলে এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের
ভিটামিন , ক্যালসিয়াম , আয়রন , ফসফরাস , পটাশিয়াম সহ আরো বিভিন্ন ধরনের
পুষ্টি উপাদানগুলো একসাথে পাওয়া যায়, যার ফলে পেয়ারার পুষ্টি উপাদান গুলো
,আমাদের শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরে পুষ্টি ঘাটতি থাকে
না বিধায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ পেয়ারার ভেতরে থাকা ভিটামিন সি এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং
আমাদের শরীরে থাকা ক্যান্সারের সেলগুলো ড্যামেজ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে ।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়ঃ পেয়ারার ভেতরে ভিটামিন এ থাকায় এটি আমাদের
চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আমাদের চোখের কর্নিয়াকে সুস্থ রাখতে
এবং রাতকানা রোগ থেকে দূরে থাকতে ভিটামিন এ প্রয়োজন আর এই ভিটামিন এ আমরা প্রচুর
পরিমাণে পেতে পারি পেয়ারার মাধ্যমে। তাই পেয়ারা খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো
থাকে।
আরো পড়ুনঃ
লেবুর উপকারিতা
রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ পেয়ারার মধ্যে পটাশিয়াম থাকে
বিধায় এটি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ সাহায্য করতে পারে। শুধুমাত্র উচ্চ
রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার ই নয় পেয়ারা আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেও
অনেক সাহায্য করে।
হার্ট ভালো রাখেঃ পেয়ারার ভেতরে থাকা পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি হাই
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। রক্তের উচ্চচাপ না থাকার
কারণে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং হার্ট সঠিকভাবে কাজ করতে পারি
সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করেঃ পেয়ারার মধ্যে থাকা আমাদের ঠান্ডা লাগা
জনিত সমস্যা গুলো এবং বিভিন্ন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত জ্বর গুলো থেকে সেরে
উঠতে সাহায্য করে কারণ পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা
আমাদের ঠান্ডা লাগা জনিত জ্বর এবং যেকোনো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বক ও চুল ভালো রাখেঃপেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ই।
এই দুইটি ভিটামিন আমাদের ত্বক এবং চুল ভালো রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ছাড়াও পেয়ারার মাধ্যমে আমরা প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট পেয়ে যাই
যা কিনা আমাদের ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি, ত্বকে বয়সের ছাপ করতে বাধা
দেয়।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য
ডায়েটে রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে পেয়ারা হতে পারে একটি আদর্শ খাবার বা ফল। কারণ ,
একটি পেয়ারার মাধ্যমে আপনি ভিটামিন , ক্যালসিয়াম , মিনারেল , আইরন সহ বিভিন্ন
খনিজ উপাদান এবং খাদ্য পুষ্টি গুলো একসাথে পেয়ে যাবেন। এবং পেয়ারার মধ্যে
প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকায় এটি খেলে আমাদের পেট ভরে থাকে যার ফলে খাবার
খাওয়ার চাহিদা কম হয়।
দাঁতে ও মাড়ির সমস্যা দূর করেঃ দাঁতও দাঁতের মাড়ির বিভিন্ন সমস্যা দূর
করতে পেয়ারা বেশ উপকারী। বিশেষ করে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা
সমাধানের জন্য পেয়ারা পালন করতে পারে মোক্ষম ভূমিকা কারণ , দাঁতের মাড়ি থেকে
রক্ত পড়ার মূল কারণ হলো ভিটামিন সি এর ঘাটতি। আর পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন সি। এ কারণে দাঁত ও মাড়ির যেকোন সমস্যার সমাধানে পেয়ারা
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করেঃ শরীরের যেকোনো প্রকার ক্ষত বা কাটা
সারাতে অবদান রাখতে পারে পেয়ারা। শুধু ক্ষত সারাতেই নয় ক্ষ ক্ষতস্থানে
ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেও পেয়ারা উপকারী কারণ পেয়ারার
মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি।
হজমে সহায়তা করেঃ হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে
পেয়ারা কারন পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আজ যা কিনা খাদ্য হজমের জন্য
অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হজমের সহায়তার পাশাপাশি পেয়ারা রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া
ঠিক করতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় যে ফলগুলো গর্ভের সন্তান এবং মায়েদের জন্য অত্যন্ত উপকারী সেই ফলগুলোর মধ্যেই অন্যতম একটি ফল হল পেয়ারা। আমরা সকলে জানি , গর্ভবতী মায়েদের শরীরে পুষ্টি চাহিদা দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়, আর এ কারণে গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি শরীরে দেখা দেয়। তবে যদি গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকায় একটি করে পেয়ারাযুক্ত করা যায় তাহলে এই পেয়ারার মাধ্যমে শরীরের চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করা সম্ভব। শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা ছাড়াও গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে। আমরা আজকে জানবো গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।আপনার যদি গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা গুলো জানা না থাকে তাহলে এখনই এই বিষয়টি জেনে নিন। গর্ব অবস্থায় পেয়ারা খেলে
ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়ঃ গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খেলে শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি
করতে এই ফলটি অত্যন্ত সাহায্য করে। আর গর্ব অবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে
ইমিউনিটি থাকা অত্যন্ত জরুরী। মায়ের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে
বিভিন্ন রোগ জীবাণু এবং অসুখের হাত থেকে গর্বের সন্তান নিরাপদে থাকতে পারে।
পুষ্টি ঘাটতি পুরণ করেঃ গর্ভাবস্থায় শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায় বিশেষ করে ক্যালসিয়াম এবং আইরনের। এবং গর্ভাবস্থায় রক্তসল্পতার সমস্যাটিও অতি কমন। পেয়ারার মধ্যে ক্যালসিয়াম ও আয়রন সহ আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন একসাথে পাওয়া যায় যার ফলে খুব সহজে গর্ভবতী মায়েদের শরীরের পুষ্টি ঘাটতি এর মাধ্যমে পূরণ করা যায়। আর পেয়ারার ভেতরে আইরন থাকায় থেকে রক্তস্বল্পতা দূর করতেও সাহায্য করে পেয়ারা।
শিশুর মেধাবিকাশ ও স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখেঃ গর্ভবতী অবস্থায় পেয়ারা
খাওয়ার আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হলো এর মাধ্যমে শিশুর মেধাবী কাজ ও
স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে পেয়ারা। স্নায়ুতন্ত্র এবং মেধার বিকাশের
জন্য ফলিক এসিড অত্যন্ত জরুরি যা নাকি পেয়ারার মাধ্যমে আমরা খুব সহজে পেতে পারি।
আর ফলিক এসিড থাকার কারণে গর্ভ অবস্থায় পেয়ারা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী।
মানসিক চাপ কমায়ঃ গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন হরমোনের তারতম্যের কারণে
মানসিক চাপ স্ট্রেস বেশি হওয়ার সমস্যা অনেক মহিলার মধ্যেই হয়ে থাকে। এমনকি এই
সময় মুড সুইং অতিরিক্ত মাত্রায় হয়ে থাকে। মানসিক চাপ এবং স্ট্রেস কমাতে
গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত উপকারী একটি ফল হল পেয়ারা।
আরো পড়ুনঃ
মুড়ি খেলে কি ক্ষতি হয়
উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন
ধরনের পরিবর্তন হওয়ার কারণে গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস জনিত
বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় । পেয়ারার মধ্যে যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া
যায় এবং পেয়ারা শরীরের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে এই কারণে গর্ভাবস্থায় পেয়ারা
খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ পেয়ারার ভেতরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও আঁশ থাকাই
এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ভালো রাখতে সহায়তা করে আর হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না। তাই গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী
মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা সম্ভব।
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খেলে এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের
ঝুঁকি কমায় এবং হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে । গর্ভাবস্থায়
পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি বলেই, অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়া এই সময় উচিত
নয়। পেয়ারা হজম শক্তি বৃদ্ধি করায় সাহায্য করলেও গর্ভাবস্থায় যেহেতু শরীরের
অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয় এবং বিভিন্ন হরমোনের তারতম্য
দেখা দেয় তাই এই অবস্থায় এই হজম প্রক্রিয়া একটু দুর্বল থাকে। যার কারণে যদি
অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়া হয় তাহলে এর থেকে গর্ভাবস্থায় এসিডিটি
হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম
পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কি আপনার জানা আছে? যদি পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম
আপনি না জানেন তাহলে এ বিষয়টি এখনি জেনে নিন , কারণ উপকারী বলেই অতিরিক্ত
পরিমাণে পেয়ারা খেলে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই জেনে নিন পেয়ারা
খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে । দিনের মধ্যে একটি পেয়ারা খাওয়ায় যে কোন মানুষের
জন্য যথেষ্ট। যাদের একটুতেই ঠান্ডা লাগা জনিত সমস্যা রয়েছে , তাদের জন্য রাতের
বেলা পেয়ারা না খাওয়াই ভালো কারণ এতে ঠান্ডা লাগার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
কলা খাওয়ার অপকারিতা
পেয়ারা খেতে হব দুটো ভারী খাবারের মধ্যবর্তী সময় যেমন -দুপুরের এবং রাতের
খাবারের মাঝামাঝি সময় পেয়ারা খাওয়ার সবচাইতে উত্তম সময়। তবে সন্ধ্যার পরে এবং
রাত্রে পেয়ারা না খাওয়াই ভালো কারণ এতে হজম এর সমস্যা বা পেটে সমস্যা সৃষ্টি
হতে পারে। তাই বিকালে অথবা দুপুরের খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা পরে পেয়ারা খাওয়ার
অভ্যাস করুন। সকালে একদম খালি পেটে পেয়ারা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন কারণ, সকালে
খালি পেটে পেয়ারা খেলে গ্যাস এবং পেটে ব্যথা হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আশা
করছি পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
পেয়ারার অপকারিতা
পেয়ারা নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত উপকারী এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হল। তবে যতই
উপকারী হোক না কেন এর কিছু অপকারিতা বা পার্শ্প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া থাকার কারণে যাতে পেয়ারা খেলে উপকারের চাইতে ক্ষতি না হয় সেই
দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য আমাদেরকে জানতে হবে পেয়ারার অপকারিতা সম্পর্কে । কারণ
পেয়ারার অপকারিতা সম্পর্কে জানা থাকলে তবেই আমরা পেয়ারা খাওয়ার সময়
সচেতন হতে পারব এবং অনাকাঙ্ক্ষিত কোন শারীরিক জটিলতায় পড়তে না হয়। পেয়ারার
অপকারিতা গুলো হল ,
- বেশি পেয়ারা খাওয়ার ফলে ডাইজেস্টিক সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়তে পারে যার ফলে সৃষ্টি হতে পারে পেটে গ্যাসের সমস্যা।
- অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার ফলে হজমের অসুবিধা হওয়ায় পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হতে পারে।
- অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার ফলে দাঁতের ব্যথা অনুভব হতে পারে
- ডায়াবেটিসের মাত্রা না জেনে অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে শরীরের সুগারের মাত্রা লো হয়ে গিয়ে, ডায়াবেটিস রোগীরা জটিলতায় পড়তে পারেন।
- ডায়রিয়া বা আমাশয় এর রোগীদের পেয়ারা না খাওয়াই ভালো।
মন্তব্য , এই পোস্টে আমরা পেয়ারার উপকারিতার পাশাপাশি আরো জেনে নিয়েছি পেয়ারার অপকারিতা এবং গর্ব অবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল হওয়া সত্বেও যেহেতু এর কিছু অপকারিতা রয়েছে তাই , প্রতিদিন কাঁচা বা পাকা যেমনি হোক না কেন ১ টির বেশি পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url