লেবুর উপকারিতা - লেবুর অপকারিতা - লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
ভিটামিন সি এর একটি অন্যতম উৎস হলো লেবু। লেবুর মাধ্যমে আমরা শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণে এবং ওজন কমানোর পাশাপাশি পেতে পারি অনেক ধরনের মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি। তবে লেবু উপকারী হলেও এর কিছু অপকারই দিপও রয়েছে তাই আজকে আমরা জানবো, লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়। তাই পোস্টটি পড়ুন এবং ভালোভাবে জেনে নিন লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা।
আপনি যদি সঠিকভাবে এবং বিস্তারিতভাবে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্ক না জেনে থাকেন তাহলে আর দেরি না করে অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং জেনে নিন লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
- লেবুর উপকারিতা
- লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
- সকালে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা
- আদা ও লেবুর উপকারিতা
- চুলে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা
- ত্বকে লেবুর উপকারিতা
- লেবুর অপকারিতা
লেবুর উপকারিতা
লেবুর রস যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি । এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে
লেবুর উপকারিতা অনেক বেশি এটি আমাদের কারোরই অজানা নয়, তারপরেও আজকে লেবুর
উপকারিতা গুলো ভালোভাবে এবং সম্পূর্ণরূপে জানানোর জন্য এই পোস্টটি। লেবু আমাদের
শরীরে কি কি উপকার করতে পারে সেই বিষয়ে আপনার যদি বিস্তারিত ধারণা না থাকে তাহলে
এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। ভিটামিন সি এ ভরপুর
লেবুর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারি বিভিন্ন ধরনের স্বার্থ উপকারিতা
এবং মুক্ত থাকতে পারি বিভিন্ন জটিল অসুস্থ । এছাড়াও নিত্যদিনের বিভিন্ন কাজে
লেবুর উপকারিতা রয়েছে। লেবুর নানাবিধি উপকারিতার মধ্যে থেকে বেশ কিছু
উল্লেখযোগ্য উপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলো
শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায়ঃ বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমাদের
শরীরের ইমিউনিটি ভীষণ প্রয়োজন। আর শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
দুটি উপাদান ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রচুর পরিমাণে আমরা লেবুর
মাধ্যমে পেতে পারি। অন্যান্য উপাদানের পাশাপাশি লেবুর ভেতরে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় লেবু খেলে আমাদের শরীরে রোগ
জীবাণু আক্রমণ করতে পারে না এর কারণ হলো আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ওজন কমাতে লেবুর উপকারিতার কথা দ্বিতীয়বার আর
বলার অপেক্ষা রাখছে না। লেবু আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি ধরিয়ে
ফেলতে সাহায্য করে। যার কারণে যাদের শারীরিক ওজন স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি
তারা যদি নিয়মিত লেবু জল খাওয়ার অভ্যাস করে তাহলে খুব দ্রুত শরীরের ওজন কমাতে
এটি সাহায্য করবে ।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ লেবু আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর
পাশাপাশি ক্যান্সারের সেলগুলোর ড্যামেজ করতেও সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ
করতে শুধু লেবুর রস নয় লেবুর খোসও অত্যন্ত ভূমিকা রাখতে পারে। লেবুর রসের
পাশাপাশি যদি লেবুর খোসা দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া যায় তাহলে লেবুর খোসা
ক্যান্সার সেল গুলো ড্যামেজ করে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে ।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন বি এর উপকারিতা
স্ট্রোক কম করেঃ লেবু স্ট্রোকের সম্ভাবনা কম করার ক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য
করে , বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নিয়মিত যারা লেবু অথবা লেবুর রস পান করেন
তাদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঘটনা খুবই কম ঘটে
আয়রনের ঘাটতি পূরণ করেঃ লেবু আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও
ভূমিকা রাখতে পারে। আর লেবু যেহেতু শরীরে আইরনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে এই
কারণে নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস থাকলে শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেওয়ার
সম্ভাবনা খুবই কম থাকে, কারণ রক্তশূন্যতার একটি প্রধান কারণ হলো আয়রনের
ঘাটতি।
হজমে সাহায্য করেঃ লেবু খেলে, লেবুর রস আমাদের খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
বিভিন্ন সময় রিচ ফুড বা ভারি খাবারগুলো গ্রহণের পরে লেবু পানি খেলে খুব সহজেই
খাবার হজম হয় এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় না।
হার্ট ভালো রাখেঃ লেবুর রস যেহেতু আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ কমাতে
এবং খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে এ কারণে নিয়মিত লেবু পানি খাওয়ার
অভ্যাস থাকলে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শরীরে না থাকার ফলে হার্ট অ্যাটাকের এবং হার্ট
ব্লকের ঝুঁকি অনেক অংশে কমে যায়।
হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করেঃ লেবু হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে বা উচ্চ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ লেবু খেলে শরীরে অতিরিক্ত মেদের
পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের টক্সিক উপাদান গুলো শরীর থেকে বের হয়ে যায় যার ফলে উচ্চ
রক্তচাপের ঝুঁকি কম থাকে।
লিভার ভালো রাখেঃ লেবুর রস খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি এবং অতিরিক্ত
মেদ জমতেই পারে না , যার ফলে লেবুর রস খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এটি আমাদের
লিভারের ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। আর যেহেতু লিভারে একজনকে পারেনা এ কারণে লিভারের
বিভিন্ন অসুখ যেমন-ফ্যাটি লিভার , ফাইব্রোসিস, সিরোসিস ইত্যাদি সহ লিভারের
বিভিন্ন অসুখগুলো দূরে রাখতে সাহায্য করে যার ফলে লিভার ভালো থাকে।
ত্বকের যত্নেঃ রূপচর্চা বা ত্বকের যত্নেও লেবু ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ত্বকের যত্ন নিতে লেবু এবং লেবু খোসা দুটোই ভীষণ উপকারী। ত্বকের লেবু ব্যবহারের
ফলে গ্লোয়িং স্কিম এবং দাগ মুক্ত চেহারা পাওয়া যায়।
চুলের যত্নঃ শুধু ত্বকের যত্নেই নয় চুলের যত্নেও লেবুর ভূমিকা রয়েছে ।
মাথার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এবং খুশকি
দূর করতে লেবু অত্যন্ত উপকারী । এবং চুল স্বাস্থ্যজ্জল এবং মজবুত রাখতেও লেবুর রস
খাওয়ার পাশাপাশি মাথায় ব্যবহার অত্যন্ত ফলদায়ক।
দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দূর করেঃ লেবুর ভেতরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি
থাকায় এটি আমাদের দাঁত ও দাঁতের মাড়ির যেকোনো ধরনের সমস্যা দূর করতে
অত্যন্ত সাহায্যকারী । দাঁতের যে কোন সমস্যা দূর করার পাশাপাশি দাঁতের হলদেটে ভাব
দূর করতেও লেবুর ভূমিকা রয়েছে।
এগুলো ছাড়াও , আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সিরামিকের থালা বাসন অথবা স্টিলের
জিনিসপাতি চকচকে এবং পরিষ্কার করতে লেবু অত্যন্ত কার্যকরী। কোন কিছুর দুর্গন্ধ
তাড়াতে অথবা কাপড়ে ঘামের দাগ দূর করতে উপকারে আসে লেবু। রেফ্রিজারেটরের ভেতরে
গন্ধ দূর করতে এবং জীবাণুমুক্ত করতে লেবুর পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে
দুর্গন্ধ এবং জীবাণু দুটোই দূর হয়। ঘরের যে স্থানে পিঁপড়ার বেশি উপদ্রব দেখা
যায় সেখানে লেবুর খোসা বা লেবুর রস দিয়ে রাখলে দ্রুত করতে কি সাহায্য করে।
তাছাড়া ও মশা দূর করতে লেবুর ভেতরে লবঙ্গ দিয়ে রেখে দিলে ঘরে মশার উপদ্রব
অনেকটাই কমে যায়
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
লেবু যে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী , এটি হয়তো বা ছোট
বড় কারোরই অজানা নেই । লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে কমবেশি সকলেরই
ধারণা থাকলেও হয়তো বা সবাই ঠিকভাবে জানেন না কখন কোন সময় এবং কোন
নিয়মে লেবু খেলে দ্রুত আমাদের শরীরের ওজন কমাতে একটি সাহায্য করবে। তাই
আজকে আপনাদেরকে জানাবো লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে । আপনার যদি লেবু
দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকে , এখনই নিচের
অংশটি পড়ুন এবং জেনে নিন লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়।
তবে হ্যাঁ শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে আপনার শুধু লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
সম্পর্কে জানলে হবে না এর ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে হবে এবং সাথে মেন্টেন করতে হবে
সঠিক ডায়েট। কারণ আপনি যদি সঠিক ডায়েটে না থাকেন তাহলে কখনোই লেবু দিয়ে ওজন
কমানোর উপায় জানলেও ,এই পদ্ধতিটি খুব একটা ফলদায়ক হবেন না। যাইহোক , আর কথা না
বাড়িয়ে চলুন আপনাদের জানিয়ে দেওয়া যাক লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়।
শরীরের ওজন কমানোর জন্য লেবু পানি খাওয়ার সবচাইতে উত্তম সময় হলো সকালে খালি
পেটে , সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে চা বা কফি না খেয়ে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম
পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান , এটি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে দ্রুত
কাজ করব।
আরো পড়ুনঃ ডার্ক সার্কেল দূর করার উপায়
আপনি ইচ্ছা করলে হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবুর সাথে দু-এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে
পারেন। মধু এবং লেবু দুটো উপাদানই শরীরের মেদ কমাতে যেহেতু সাহায্য করে এ কারণে ,
মধু লেবু এবং গরম পানি একসাথে খেলে শরীরের মেদ দ্রুত কমে যাবে।
শরীরের মেদ কমানোর জন্য আপনি খেতে পারেন লেবু চা , তবে অবশ্যই মনে রাখবেন লেবু চা
এর সাথে চিনি খাবেন না যদি আপনি ওজন কমাতে চান তবে । চিনির পরিবর্তে চায়ে যুক্ত
করতে পারেন মধু কারণ এটি আপনার শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধা দেবে
এবং শরীরে জমাকৃত মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
এটা আপনি ওজন কমানোর জন্য হালকা লবণ মিশিয়ে লেবু পানি খেতে পারেন অথবা
ভাতের সাথেও লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে লেবু খেলে আপনার শরীরে ভিটামিন
সি এর চাহিদাও পূরণ হবে এবং অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
সকালে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে লেবুর রস খেলে অনেক ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া। এমনকি
সকালে লেবুর রস খেলে আমরা বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ অনায়াসে সারাতে পারবো এবং
বিভিন্ন ক্ষতিকর রোগের আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারবো। চলুন তাহলে সকালে
লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে একটু ভালোভাবে জেনে আসি। সকালে লেবুর রস
খাওয়ার উপকারিতা গুলো হল, এর মাধ্যমে শরীরের জমে থাকা বিভিন্ন ধরনের টক্সিক
পদার্থ গুলো বেরিয়ে যায় এবং যার ফলে শরীর সুস্থ থাকতে পারে এবং,
- অতিরিক্ত ওজন কমে
- শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে
- রক্তস্বল্পতা দূর করে
- লিভার ভালো রাখে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- হার্ট ভালো রাখতে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- আয়রনের ঘাটতি পুরা করে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
আদা ও লেবুর উপকারিতা
আমরা জানি মসলা হিসেবে আদার মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের
শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, আর লেবুর উপকারিতার কথা আমরা পোস্টের
উপরের অংশেই আলোচনা করে নিয়েছি। আপনি কি জানেন এই দুইটি গুণসম্পন্ন উপাদান যখন
একসাথে মিলিয়ে খাওয়া হয় তখন আমাদের শরীরে কি ধরনের পরিবর্তন ঘটতে পারে? আপনি
যদি না জানেন আদা ও লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে তাহলে অবশ্যই বিষয়টি এখনই জেনে
নেওয়া দরকার। কারণ এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুবিধা গুলো কোন
প্রকার ঔষধের সাহায্য ছাড়াই সারিয়ে নিতে পারবো। তাহলে চলুন এবার আদা ও লেবুর
উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করেঃ শরীরের ইভিনিটি বাড়াতে লেবু ও আদা
একসাথে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় কারণ, আদার মধ্যে
রয়েছে পটাশিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , ক্যালসিয়াম, কপার , মিনারেল সহ বিভিন্ন
ধরনের খনিজ উপাদান এবং লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই আদার সাথে
লেবুর রস মিশিয়ে খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি দ্বিগুণ হারে কাজ
করে।
হাড় গঠনে ওর দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করেঃ আদার মধ্যে
রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং এবং লেবুতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আমাদের দাঁত এবং হাড় গঠনের জন্য
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি এই দুটি উপাদানই অত্যন্ত জরুরী। তাই আধা এবং লেবু
একসাথে খেলে এটি আমাদের শরীরের হাড় গঠন করতে এবং মজবুত করতে এবং পাশাপাশি দাঁতের
যে কোন সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয় এবং ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ শরীরের খারাপ কোলেস্ট্রল দূর করতে এবং
শর্করার মাত্রা কমাতে আদা এবং লেবু দুটোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা যদি নিয়মিত আদা এবং লেবুর রস খায় তাহলে তাদের
শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারেনা যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস থেকে রক্ষা করেঃ আদা এবং লেবু খেলে যে সকল রোগগুলো
ভাইরাস এর আক্রমণ দ্বারা হয়ে থাকে যেমন বার্ড ফ্লু , ডেঙ্গু জ্বর , কোভিড
19 এই ধরনের ভাইরাসগুলো সহজে আমাদের শরীরকে আক্রান্ত করতে পারে না। আদা ও লেবু
খেলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করেঃ মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করতে হালকা কুসুম গরম
পানিতে লেবুর জলের সাথে আদার রস মিশিয়ে খেলে দ্রুত মাইগ্রেনের সমস্যা দূর
হয়।
এগুলো ছাড়াও আদা এবং লেবুর রস খেলে রক্ত পরিষ্কার হয় , ত্বক ভালো থাকে ,
মাংসপেশীর ব্যথা দূর হয় , ফুসফুস ভালো থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার
গুলো থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়। আশা করছি আদা ও লেবু খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
চুলে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা
রূপচর্চার পাশাপাশি চুলের যত্নেও লেবুর ব্যবহার হয়ে আসছে বহু আগে থেকে। আমাদের
মধ্যে অনেকেই আমরা তুলে লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে মোটামুটি জানি। চুলের যত্নে
লেবুর উপকারিতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে থাকলেও পাশাপাশি এর কিন্তু কিছু অপকারিতাও
রয়েছে। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো
সম্পর্কেই আলোচনা করা হবে। কারণ যে কোন কিছুরই শুধু উপকারীর দিকটা জানলে চলবে না
পাশাপাশি এর অপকারী দিকটা সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে। তাই চলুন আর জেনে নেওয়া
যাক চুলে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। নিচে চুলে লেবুর উপকারিতা ও
অপকারিতা গুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো।
চুলে লেবুর উপকারিতাঃ চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে লেবুর উপকারিতা অনেক
বেশি। আমাদের চুল পড়ার সমস্যা বা হেয়ার ফলের সমস্যা প্রায় সকলেরই রয়েছে এই
সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি কাজে লাগাতে পারেন লেবুর রসকে। লেবুর রসের সাথে
অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন সপ্তাহে ২-৩ দিন শ্যাম্পু করার আগে
অন্ততপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট এভাবে লাগিয়ে রাখলে চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং চুল
মজবুত হবে। চুলের গোড়া শক্ত এবং মজবুত করতে মেহেন্দি বাতাস সাথে ও লেবুর রস
মিশিয়ে মাথায় মাখতে পারেন সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মেহেদি পাতা ও লেবুর রস মাথায়
মাখলে চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং চুল সিল্কি হবে। এক্ষেত্রে বাজারের বিক্রয়কৃত
মেহেদী প্যাক গুলো না কিনে চেষ্টা করবেন মেহেদী গাছের পাতা তুলে সেটি বেটে মাথায়
ব্যবহার করে।
আরো পড়ুনঃ
সেক্সে রসুনের উপকারিতা
মাথার চুল সুন্দর করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে , নারিকেল তেল ,আমলকির তেল এবং
লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে শ্যাম্পু করার আগে সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন ব্যবহার করুন
এতে আপনার চুলের গোড়া শক্ত এবং ফুল সুন্দর হবে। নারিকেল তেলের সাথে লেবুর রস
মিশিয়ে কিছুক্ষণ মাথায় মাসাজ করলে উকুনের সমস্যা দূর করতে একটু সাহায্য
করবে। চুল থেকে রুক্ষ ভাব দূর করতে লেবু এবং মধু একসাথে
মিশিয়ে শুধু চুলের গায়ে ব্যবহার করুন।
যে কোন তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় সপ্তাহে ২-৩ দিন নিয়মিত ব্যবহার করলে
মাথার ত্বকের যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ থাকলে সেটি দূর হবে এবং খুশকির
সমস্যা থাকলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। লেবুর ভেতরে ভিটামিন সি থাকায় এটি
মাথায় ব্যবহার করার ফলে চুলের গ্রোথ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মাথায় লেবু
ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে এবং মাথার ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে
বিশেষভাবে এর সুফল পাওয়া যায়। মাথার ত্বকের মৃত কোষ দূর করার জন্য লেবুর রসের
সাথে সামান্য চিনি মিশিয়ে আলতো ভাবে মাথার ত্বকে দুই এক মিনিট মাসাজ করুন।
চুলে লেবুর অপকারিতাঃ অল্প পরিমাণে তুলে অথবা মাথায় লেবুর রস
ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং চুল মজবুত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন
করে লেবু তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে মাথায় লেবু ব্যবহারে পরিমাণ যেন
মাত্রাতিরিক্ত না হয়ে যায়। কারণ এতে করে চুলের উপকারের চাইতে অপকার বেশি
হতে পারে যেমন -মাথার ত্বকে বা তুলে অতিরিক্ত লেবুর রস ব্যবহার করলে চুল অত্যন্ত
শুষ্ক এবং চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাথার স্কাল্পে চুলকানি
সৃষ্টি হতে পারে। মাথার ত্বকে লেবু ব্যবহারের সময় অবশ্যই মনে রাখবেন সরাসরি
লেবুর রস ব্যবহার না করে তেল অথবা অন্য কোন উপাদানের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার
করার।
ত্বকে লেবুর উপকারিতা
রূপচর্চার কাজে লেবুর ব্যবহার এটি আজ নতুন নয় বহু আগে থেকেই এর ব্যবহার চলে
আসছে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় রূপচর্চার কাজে অতুলনীয় লেবু। তাই আজকে
আমরা বিস্তারিতভাবে ত্বকের লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি ত্বকে
লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে জেনে নিতে পারেন কারণ এটি আপনার
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। সঠিক পদ্ধতিতে ত্বকের লেবু
ব্যবহারের মাধ্যমে স্কিনের যেকোন সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বক সুন্দর করে তোলা
সম্ভব। তাহলে চলুন তোকে লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ত্বক উজ্জল করতেঃ ত্বক উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করতে পারেন লেবু। কারণ লেবু
রোদের কালো পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের আসল উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে। আর
এই কাজটি করার জন্য আপনাকে লেবুর সাথে দুই এক চামচ মধুর মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখের
ত্বকে ৩০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখতে হবে এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে
মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত কয়েক দিনের পদ্ধতি অনুসরণের পর আপনি
নিজেই আপনার ত্বকের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
রোদে পোড়া দাগ দূর করতেঃ বিভিন্ন কারণেই আমাদের ঘরের বাইরে যেতে হয় এবং
রোদের তাপে কাজ করতে হয়। রোদের তাপ আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এই কারণে
বিভিন্ন মানুষের ত্বকে সান বার্ন এর সমস্যা দেখা দেয় এই সমস্যাটি দূর করার জন্য
ডিমের সাদা অংশের সাথে লেবু মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
হাত পায়ের যত্ন নিতেঃ হাত পায়ের যত্ন নিতে অথবা হাত পায়ের ত্বক থেকে
রক্ষভাবে দূর করতে ও কোমল ভাব ফিরিয়ে আনতে চালের গুড়ার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে
আলতোভাবে ধাপে এবং পায়ে মাথা করুন।
ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতেঃ অনেকে ত্বক অত্যন্ত অয়েলি হয়ে থাকে, আর এই
অয়েলি স্কিন নিয়ে পড়তে হয় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায়। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল
দূর করার জন্য -ডিমের সাদা অংশ লেবুর রস এবং কমলার রস মিশিয়ে কিছুদিন ব্যবহার
করলে ওয়েল স্ক্রিনের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
ত্বক পরিষ্কার করতেঃ বিভিন্ন কারণে আমাদের মুখের ত্বকে ধুলোবালি বা ময়লা
জমে থাকে এবং এখান থেকে ব্ল্যাক হেডস এর সৃষ্টি হয়। মুখের ধুলো বালি পরিষ্কার
করার জন্য দুধের সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে, কটন বলের সাহায্যে আলতোভাবে
মুখের ত্বকে আমার কাজ করুন। এতে করে আপনার মুখের ত্বকে জমে থাকা ময়লা
পরিষ্কার হবে এবং নিয়মিত কিছুদিন করলে বালি বা ময়লা দূর হয়ে চেহারা উজ্জ্বল
দেখাবে।
বডি স্ক্রাবঃ বডির প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন লেবু। এর
জন্য আপনাকে লেবুর রসের সাথে যুক্ত করতে হবে সুজি অথবা চালের আটা , ডিমের সাদা
অংশ , সামান্য একটু হলুদ এবং যেকোনো ধরনের তেল। সবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে
আপনার সমস্ত শরীরে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন এতে আপনার শরীরের মৃত কোষ দূর হবে এবং
বডি স্ক্রাব হিসেবে এই মিশ্রণটি অত্যন্ত ভালো কাজ করবে।
আশা করছি বুঝতে পেরেছেন ত্বকের যত্ন নিতে কিভাবে এবং কোন উপায়ে লেবুর ব্যবহার
করবেন এবং ত্বকের যত্নের লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে। তবে আপনাদের সতর্কতার
জন্য একটি বিষয় জানিয়ে রাখা ভালো, লেবুর ভেতরে এসিড থাকায় এটি কখনো সরাসরি
ত্বকের ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এতে করে তোকে জ্বালাপোড়া অথবা চুলকানি সৃষ্টি
হতে পারে , তাই ত্বকে লেবু ব্যবহারের সময় অন্য কোন উপাদানের সাথে যুক্ত করে
ব্যবহার করুন।
লেবুর অপকারিতা
এতক্ষণ ধরে লেবুর বিভিন্ন উপকারিতা কথা শুনে হয়তো বা অনেকে ভাবছেন লেবুর কোন
অপকারিতা নেই, আসলে এ ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়। সবকিছুরই কম অথবা বেশি কিছু না কিছু
অপকারিতা রয়েছে, আর লেবুর এর বাইরে নয়। লেবু যতই উপকারই হোক না কেন এরও কিছু
অপকারই দিক রয়েছে। এবার আমরা লেবুর অপকারিতা সম্পর্কে জানবো , কারণ আপনাদের আগেই
বলেছি যে কোন কিছুরই শুধু উপকার সম্পর্কে জানলে হবে না পাশাপাশি অপকারিতা গুলো
সম্পর্কে জেনে নিতে হবে আর এই কারণে উপকারিতার পাশাপাশি লেবুর অপকারিতা সম্পর্কেও
আপনাদের এখন জানিয়ে দেবো। আর আপনারাও অবশ্যই লেবুর এই অপকারিতা গুলো সম্পর্কে
জেনে নিন। অতিরিক্ত লেবু খেলে অথবা লেবু ব্যবহার করলে যে অসুবিধা গুলো হতে পারে
সেগুল গুলো হল,
অতিরিক্ত প্রসাবঃ ওজন কমানোর জন্য কেউ যদি সকালবেলা অথবা বিভিন্ন সময়
বেশি মাত্রায় গরম পানি এবং লেবুর রস খেতে থাকে তাহলে দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত
প্রস্রাব হওয়ার সমস্যা। কারণ লেবুর ভেতরে থাকা এস্কারবিক এবং ভিটামিন সি দুটোই
মূত্রবর্ধক, যার ফলে অতিরিক্ত প্রসাবের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো
বের হয়ে যেতে পারে।
আয়রনের মাত্রা বাড়তে পারেঃ অতিরিক্ত লেবুর রস বা লেবু পানি খেলে শরীরে
আয়রনের বেশি হতে পারে। আর শরীরের চাহিদা অনুযায়ী যদি আয়রনের মাত্রা
অতিরিক্ত বেশি হয়ে যায় তাহলে তা বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোর জন্য ক্ষতিকর।
আলসারঃ লেবুর ভেতরে এসিড থাকায় অতিরিক্ত লেবুর রস খাওয়ার ফলে এসিডিটির
সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং দীর্ঘদিন ধরে এসিডিটি থাকলে এখান থেকে সৃষ্টি হতে পারে
আলসার। এছাড়াও অতিরিক্ত লেবুর রস খেলে বমি বমি ভাব আসতে পারে।
ডিহাইড্রেশনঃ লেবুর ভেতরে থাকা বিভিন্ন ধরনের এসিড এবং উপাদানগুলো উপকারী
হওয়ার পাশাপাশি এগুলো মুত্রবর্ধক। এ কারণে লেবু খেলে স্বাভাবিকভাবেই
মানুষের প্রস্রাব বেশি হয়। আর যদি আমরা বেশি বা অতিরিক্ত লেবু খায় তাহলে
প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে গিয়ে এখান থেকে সৃষ্টি হতে পারে ডিহাইড্রেশন বা
পানি শূন্যতা।
দাঁতের ক্ষতিঃ প্রচুর পরিমাণে এসিড জাতীয় পদার্থ থাকায় বেশি বেশি লেবুর
রস বা লেবু পানি খেলে এটি আমাদের দাঁতের জন্য বিশেষ ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ
এসিড থাকার ফলে এটি সরাসরি আমাদের দাবি ইফেক্ট করে এবং যার ফলে তাদের সেনসিটিভিটি
বেড়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
হজমের সমস্যাঃ অতিরিক্ত লেবুর রস খেলে আমাদের হজমের সমস্যা হতে পারে কারণ লেবুর ভেতরে থাকা সাইট্রিক এসিড ক্ষতিকর এনজাইম তৈরি করতে সাহায্য করে যা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে এবং পেটে গ্যাস বা এসিডিটির সমস্যা সৃষ্টি করে।এছাড়াও বেশি বেশি লেবুর রস খেলে দেখা দিতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা , হতে পারে পেট খারাপ এবং হাড়ের উপরেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
মন্তব্য, আশা করছি পোষ্টটি ভালোভাবে পড়ার মাধ্যমে লেবুর উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে এবং লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে
নিয়েছে। লেবুর কিছু অপকারই দিক থাকায় অবশ্যই এটি ব্যবহারের সময় একটু সতর্ক
হয়ে ব্যবহার করবেন যাতে এর ব্যবহার মাত্রাতিরিক্ত হয়ে না যায়। কারণ অতিরিক্ত
লেবু ব্যবহারের ফলে এটি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা জটিলতার পাশাপাশি বাড়িয়ে দিতে
পারে এলার্জির সমস্যাও।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url