পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ - পেট ব্যথা কমানোর উপায়
অনেক সময় আমাদেরকে পেট ব্যথা নিয়ে অনেক কষ্ট পেতে হয়। এই পেট ব্যথা পেছনে সাধারণ এবং জটিল বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে।পেট ব্যাথার এই যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আজকে আমরা জানবো পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ ও পেট ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে। তবে আমাদেরকে পেট ব্যথা কমানোর পাশাপাশি পেট ব্যথার কারণ ও লক্ষণগুলো জেনে রাখতে হবে কারণ অনেক সময় পেট ব্যথা দেখা দিতে পারে মারাত্মক কিছু রোগের লক্ষণ হিসেবে।
আজকে আমাদের এই পোস্টটির মূল আলোচনার বিষয় হলো পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ এবং পেট ব্যথা কমানোর উপায় তবে এর পাশাপাশি আমরা আরো জানবো পেট ব্যথা হওয়ার কারণ , পেট ব্যথার লক্ষণ এবং পেট ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত। আপনার যদি পেট ব্যথা সম্পর্কিত এই বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জানা না থাকে তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং পেট ব্যথার সংক্রান্ত এই সকল বিষয়গুলো জেনে রাখুন।
সূচিপত্রঃ পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ - পেট ব্যথা কমানোর উপায়
- পেটে ব্যথা হওয়ার কারণ
- পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ
- পেট ব্যাথা কমানোর উপায়
- পেট ব্যাথা কমানোর ঔষধ
- পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত
পেটে ব্যথা হওয়ার কারণ
শুরুতেই আজকে আমরা আলোচনা করব পেটব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে। পেট ব্যথা অত্যন্ত
যন্ত্রণাদায়ক এবং অসুবিধা দায়ক একটি পরিস্থিতি। আমাদের প্রায় সবাইকেই কোন
না কোন সময় এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো এর পেছনের
কারণগুলো সঠিকভাবে জানি না। তাই আজকে আপনার এই যে পেট ব্যথার কারণ সম্পর্কে
জানাবো। বিভিন্ন কারণে আমাদের পেট ব্যথা হয়ে থাকে , চলুন আজকে আমরা জেনে
নেই পেট ব্যথা সম্ভাব্য কারণগুলো সম্পর্কে। পেট ব্যথার কারণ গুলোর মধ্যে
রয়েছে,
এসিডিটিঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার ,
অস্বাস্থ্যকর খাবার , অসময়ে খাবার খাওয়া, বেশি সময় না খেয়ে থাকা ইত্যাদির কারণে
পেটে এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় এবং এই এসিডিটির কারণে পেটে ব্যাথা হতে। আর
এসিডিটির কারণে পেট ব্যথার পাশাপাশি বুক জ্বালা করতে পারে।
বদহজমঃ অনেক সময় অতিরিক্ত মসলা , তেল চর্বি , ঝাল এবং অ্যালকোহল
জাতীয় খাবার খেলে খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না যার ফলে, পেট ব্যথা পেটে বমি ভাব এর
সমস্যা দেখা দেয়। এক কথায় বদহজম হলে পেট ব্যথা সমস্যা হয়ে থাকে।
অ্যাপেন্ডিসাইটিসঃ আপনার পেট ব্যাথার কারণ হতে পারে এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ। আমাদের বৃহদান্ত্রের সাথে লেগে থাকা ছোট্ট একটি নালীর নাম অ্যাপেন্ডিক আর এতে যখন কোন কারনে প্রদানের সৃষ্টি হয় তখন সেটিকে বলা অ্যাপেন্ডিসাইটিস ।অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর কারণে মাঝে মাঝে পেটে প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং বেশিরভাগ সময়ে পেটে হালকা মৃদু ব্যথা থাকে ।
আলসার,টিউমার, ক্যান্সার থাকলেঃ পাকস্থলীতে আলসার ,ক্যান্সার টিউমার থাকলে
পেটে প্রচন্ড ব্যথা হতে দেখা যায়। এছাড়াও যদি লিভার ক্যান্সার বা ফ্যাটি লিভার
থাকে সেক্ষেত্রেও পেটে মাঝে মাঝে তীব্র এবং মৃদু ব্যথা উঠে লক্ষ্য করা যায়।
পিত্তথলির পাথরঃ পিত্ত রস সঠিকভাবে নির্গত না হওয়ার কারণে অথবা অন্য
কোন কারণে পিত্তথলিতে পাথর দেখা দিলে সেক্ষেত্রে পেটে এসিডিটি সমস্যার সাথে সাথে
তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। পিত্ত থলির পাথর থাকলে পেটে ব্যথার সাথে ঘাড়ের দিকেও
হালকা ব্যথা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ নাকের পলিপাসের কারণ ও লক্ষণ
হার্ট ব্লকঃ হার্ট ব্লকের কারণেও অসহ্য পেট ব্যথা দেখা দিতে পারে। যদি
কখনো পেট ব্যথার সাথে অতিরিক্ত শরীর থেকে ঘাম ঝরতে দেখেন এবং সাথে বমি বমি ভাব
থাকে তাহলে এটি হতে পারে হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ।
এছাড়াও পেট ব্যথার পিছনে থাকতে পারে কিডনি সমস্যার জনিত কারণ অথবা কিডনিতে পাথর।
কিডনিতে পাথর বা অন্য কোন সমস্যার কারণে কোমরের দিকে ব্যথা হলেও অনেক সময় সেই
ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করলে পেটের দিকে চলে আসে। পাকস্থলীর খাবার ধারণ
ক্ষমতার চেয়ে বেশি খাবার খেয়ে ফেললে এটার কারণেও পেটে ব্যথা হতে পারে। আবার
অনেক সময় তাড়াহুড়া করে খাবার খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা সমস্যা হয়ে থাকে। ফাইবার
ও আঁশযুক্ত খাবারগুলো কম খাওয়ার হলেও হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যর পাশাপাশি পেট
ব্যথা।
পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ
আমরা এতক্ষন পেট ব্যথার কারণ গুলো সম্পর্কে জানলাম , এবার আমরা জানবো পেট ব্যথা
কিসের লক্ষণ হতে পারে এ বিষয়ে। পেট ব্যাথাকে আমরা অনেক সময় খুব সাধারণ মনে করলেও
এটি হতে পারে কোন জটিল রোগের লক্ষণ। আর এ কারণে পেট ব্যথাকে সাধারণ মনে না করে এর
ব্যাপারে সচেতন হওয়ায় উত্তম। আর পেট ব্যথার ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য
আমাদেরকে জানতে হবে পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ হিসেবে অথবা কোন কোন রোগের লক্ষণ
হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে। তাই চলুন , আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই পেট ব্যথা
কিসের লক্ষণ হতে পারে এই বিষয়টি। পেট ব্যথার পিছনে সাধারণ এবং জটিল দুই
ধরনের কারণ থাকতে পারে। নিচে পেট ব্যথার সম্ভাব্য কারণগুলো আপনাদের জানানোর জন্য
তুলে ধরা হলো,
- পেটে এসিডিটি
- বদহজম
- অ্যাপেন্ডিসাইটিস
- ফ্যাটি লিভার বা লিভার ক্যান্সার
- পাকস্থলীর আলসার, ক্যান্সার ,টিউমারের এর কারনে।
- পিত্তথলির পাথর
- হার্ট ব্লক
- কিডনিতে পাথর
- মাসিকের কারনে
পেট ব্যাথা কমানোর উপায়
সময় অসময়ে হঠাৎ করে এই বিভিন্ন কারণে পেট ব্যথার সমস্যা আমাদেরকে করতে
হয়। ঠিক সেই সময় যদি আমাদের হাতের কাছে পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ গুলো না থাকে
তাহলে আমরা কেন প্রাকৃতিকভাবে ঘরোয়া উপায়ে পেটের ব্যাথা থেকে আরাম পেতে পারি এই
কারণে আমাদের জেনে রাখা উচিত পেট ব্যথা কমানোর উপায় গুলো। এছাড়াও যে কোন
ওষুধেরই কম অথবা বেশি কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যার কারণে পেটের
ব্যথাগুলো যদি আমরা প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ে সারিয়ে ফেলতে পারি তাহলে শরীরের জন্য
এটি খুবই ভালো হয়।আর এই কাজটি করার জন্য আজকে আপনাদের জানাবো পেট ব্যথা কমানোর
উপায় সম্পর্কে। আপনারা যদি পেট ব্যথা কমানোর উপায় গুলো না জেনে থাকেন তাহলে
অবশ্যই ঘরোয়া ভাবে পেট ব্যথা কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন, কারণ বিভিন্ন সময়ে
ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো আপনার প্রয়োজনে আসতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক
ঘরোয়া কোন কোন উপাদান গুলো পেট ব্যথা কমানোর উপায় হিসেবে কাজ করবে।
আরো পড়ুনঃ তলপেট ব্যথা কিসের লক্ষণ ও মেয়েদের তলপেট ব্যথা কেন হয়
আদাঃ আমাদের প্রতিদিনের খাবার রান্নায় একটি বহুল ব্যবহৃত মসলা জাতীয়
উপাদান হলো আদা। এই আদা নামক মসলাটি আমাদের ঘরে প্রায় সব সময় থাকে। পেট ব্যথা
কমানোর জন্য খুব সহজেই আদার মাধ্যমে আপনি স্বস্তি পেতে পারেন , কারণ আদার ভেতর
রয়েছে অ্যাান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান আর এই কারণে যেকোনো ব্যথা সারাতে বা কমাতে
অবদান রাখতে পারে আদা। পেটে ব্যথা হলে কয়েক টুকরো আদা কুচি করে খালি মুখে
চিবিয়ে অথবা রস বের করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন, এছাড়াও পেট ব্যথা থেকে
মুক্তি পেতে আদা চা খেতে পারেন।
পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতার ভিতরে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুণের পাশাপাশি
রয়েছে ব্যথা নাশক উপাদান। আর এ কারণে পেটে ব্যথা হলে কয়েকটি পুদিনা পাতা
চিবিয়ে খেলে অনেকটা উপশম পাওয়া যায় অথবা পুদিনা পাতার চা তৈরি করে খেলেও পেট
ব্যথা অনেকটা কমে যায়।
লেবুঃ পেটের ব্যথা কমাতে লেবু পানি অথবা লেবু চা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
তাই পেটে ব্যথা হলে লেবুর শরবত , লেবু চা খেতে পারেন এতে খুব দ্রুত পেটের
ব্যথা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ পেট ব্যথা কমাতে লেবুর পাশাপাশি আপেল সিডার
ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকর। হঠাৎ যদি পেট ব্যথা শুরু হয় তাহলে ,পেট ব্যথা কমাতে
হালকা কুসুম গরম পানিতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেতে পারেন আপনি
চাইলে এর সাথে মধু ও যুক্ত করে নিতে পারেন। এতে খুব দ্রুত আপনার পেটের ব্যথা কম
হবে।
টোস্ট বিস্কুটঃ শুনতে অনেকটা আশ্চর্যজনক মনে হলেও টোস্ট বিস্কুট পেটের
ব্যথায় আরাম দিতে সহায়তা করে। এছাড়াও পেট ব্যথার সাথে যদি বমি ভাব থাকে তাহলে
টোস্ট বিস্কুট অথবা বেশি বেক করা পাউরুটি পেটের ব্যথা ও বমি বমি ভাব
দুটোই কমাতে সাহায্য করে।
কাঁচা কলাঃ কাঁচা কলার ভিতরে থাকা ফোলেট, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি ৬
জাতীয় উপাদান গুলো পেটের ব্যথা সহ শরীরের যেকোনো ব্যথা সারাতে কার্যকরী ভূমিকা
রাখতে পারে। এ কারণে পেটে ব্যথা হলে কাঁচা কলার ঝোল অথবা কাঁচা কলার সিদ্ধ করে
খেতে পারেন এতে পেটের ব্যাথা থেকে অনেকটাই উপশম পাবেন।
চাল ধোয়া পানিঃ বদ হজম অথবা এসিডিটির কারণে যদি পেটে ব্যথা হয়ে থাকে
তাহলে এই ব্যথা কমাতে চাউল হওয়া পানি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। একটি
পাত্রে কিছুটা চাল ভালোভাবে ধুয়ে , অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট পরিষ্কার খাবার পানি
দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন এরপর সেই প্রাণীটি থেকে নিয়ে ধীরে ধীরে পান করুন অল্প
পরিমাণে দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার পান করলে পেট ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।
কলা, আপেলঃ পেটের ব্যথা কমাতে কলা এবং আপেল ফল দুটি
অত্যন্ত কার্যকরী। কলা এবং আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং
পটাশিয়াম থাকায় দ্রুত পেটব্যথা সারানোর ক্ষেত্রে এই ফল দুটি বিশেষ ভূমিকা পালন
করে থাকে। এ কারণে আপনার পেটে ব্যথা হলে আপেল অথবা কলা খান।
এছাড়াও পেট ব্যথা হলে মৌরি অথবা জিরা চা বানিয়ে মধুর সাথে যুক্ত করে খেতে
পারেন। যেকোনো কারণে পেটে ব্যথা হলে হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করে পেটে সেক দিলেও
অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। পেটের ব্যথা পেয়ে হালকা কুসুম গরম পানি বারবার খেলেও
উপকার মেলে। বারবার পানি খাওয়ার পাশাপাশি আস্তে আস্তে হাঁটাচলা চেষ্টা করুন, এটি
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
পেট ব্যাথা কমানোর ঔষধ
অনেক সময় পেট ব্যথার কারণে পরিস্থিতি এতই খারাপ হয়ে দাঁড়ায় যে আমাদের জরুরী ভিত্তিতে পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ গুলোর প্রয়োজনীয়তা দেখা , আর এই সকল ক্ষেত্রে পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ গুলোর নাম জানা থাকলে অনেকটাই উপকার পাওয়া যায়। আর তাই আমরা আজকে জানবো পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ এর নাম। আপনার যদি পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ গুলোর নাম জানা না থাকে তাহলে এই ঔষধ গুলোর নাম জেনে রাখতে পারেন সময় বিশেষে এটি আপনার প্রয়োজনে আসবে বলেই মনে করছি। নিচে আপনাদের সুবিধার জন্য পেট ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম গুলো দেওয়া হলো
- Tb. Viset 50mg
- Tb. Algin 50mg
- Tb. visceralgine 50mg
- Tb. visaral 50mg
- Tb. Norvis 50mg
- Tb. Tie 50mg
- Tb. Onium 50mg
- Tb. Aspasom 50mg
- Tb. Monalgine 50
- Tb .Team 50mg
পেট ব্যথা কমানোর আরো বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ রয়েছে তবে ,
উপরের অংশে পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ হিসেবে শুধুমাত্র জনপ্রিয় , পরিচিত এবং
কার্যকরী কিছু ঔষধের নাম তুলে ধরা হয়েছে। তবে অবশ্যই এই সকল ওষুধগুলো সেবনের
পূর্বে অথবা যেকোনো ধরনের ঔষধ সেবনের পূর্বে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ
করে নেবেন।
পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত
আমরা এবার জানবো পেট ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত অথবা কি ধরনের খাবার গুলো
খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। বিভিন্ন কারনে পেটে ব্যথা হতে পারে , তবে পেটে ব্যথা
হলে যে সকল খাবারগুলো খেলে ব্যাথা থেকে মুক্তি মিলবে বা কিছুটা হলেও উপশম পাওয়া
যাবে এ ধরনের খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা উচিত। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া
যাক পেট ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত। ব্যথা হলে খেতে হবে,
- আদার রস বা আদা চা
- পুদিনা পাতার চা বা পুদিনা পাতার রস
- লেবুর রস অথবা লেবু চা
- কলা এবং আপেল
- কাঁচা কলার ঝোল অথবা সিদ্ধ কলা
- তেল , ঝাল ,মসলা কম দিয়ে রান্না করা ঝোলের তরকারি
- লাউ , ঝিঙা, কুমড়া,পটল ইত্যাদির পাতলা ঝোলইয়
- দই
এক কথায় বলতে গেলে যে সকল খাবার পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে সেই জাতীয় সবজি
বা খাবার গুলো পেট ব্যথার সময় খেতে হবে , কোনভাবে অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার
, ভাজাপোড়া এবং রিচ ফুড, জাঙ্ক ফুড জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া যাবেনা।
আরো পড়ুণ ঃ দাঁত ব্যথার কারণ ও দাঁত ব্যথা হলে করণীয়
মন্তব্য, এই প্রশ্নের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি পেট ব্যথা
কমানোর উপায়গুলো এবং পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ গুলোর নাম সম্পর্কে। আশা করছি
পেটব্যথা কমানোর উপায় এবং পেট ব্যথা কমানোর ঔষুধের মাধ্যমে প্রয়োজন অনুসারে
আপনার পেটের ব্যথা কমাতে এই সকল পদ্ধতি এবং ওষুধগুলো প্রয়োগের ফলে দ্রুত সেরে
উঠতে পারবেন এবং পেট ব্যথা নিয়ে আপনাকে আর অতিরিক্ত কষ্ট পেতে হবে না।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url