কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় - কোমর ব্যথার কারণ
কোমর ব্যথা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে কমন একটি সমস্যা। পৃথিবীর প্রায়
৭০% মানুষ বিভিন্ন কারণেই কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হয়। কোমর ব্যথা
সাধারণত কোন রোগ নয় এটি রোগের একটি লক্ষণ বা উপসর্গ মাত্র। কোমর ব্যথার প্রধান
কারণ হলো মেরুদন্ডের সমস্যা। আজকে আমরা কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় এবং কোমর
ব্যথার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় ও কোমর ব্যথার কারণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আরো জানবো কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম ,কোমর ব্যথার ব্যায়াম ,কোমর ব্যথার দোয়া এবং মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো আপনাদের জেনে রাখা উচিত কারণ এ বিষয়ে জানা থাকলে কোমরের অসহ্য যন্ত্রণায় আপনাদের কষ্ট পেতে হবে না। তাই কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো জানার জন্য অবশ্যই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় ও কোমর ব্যথার কারণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আরো জানবো কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম ,কোমর ব্যথার ব্যায়াম ,কোমর ব্যথার দোয়া এবং মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো আপনাদের জেনে রাখা উচিত কারণ এ বিষয়ে জানা থাকলে কোমরের অসহ্য যন্ত্রণায় আপনাদের কষ্ট পেতে হবে না। তাই কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো জানার জন্য অবশ্যই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন
সূচিপত্র ঃকোমরের ব্যথা কমানোর উপায় - কোমর ব্যথার কারণ
কোমর ব্যথার কারণ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন কারণে কোমর ব্যথার সমস্যা
ভোগেন বিশ্বের প্রায় ৭০% মানুষ।
বয়স্ক মানুষদের তো বটেই কিন্তু বর্তমানে অল্প বয়সীদের মধ্যেও ব্যাপক হারে
কোমর ব্যথার সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেরই কোমর ব্যথার সমস্যা
থাকলেও , আমরা অধিকাংশ মানুষই জানি না এই কোমর ব্যথার পেছনের সঠিক কারণগুলো।
তাই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব কোমর ব্যথার কারণ নেই এবং এই পোষ্টের মাধ্যমে
আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো কোমর ব্যথার কারণ গুলো। দেরি না করে চলুন জেনে নেই
কোমর ব্যথার কারণ গুলো।
কোমরের হাড় ক্ষয়ঃ বয়সের কারণে অথবা কোন অসুখের কারণ যদি
কোমরের ক্ষার গুলো ক্ষয় হয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে কোমর ব্যথা হয়ে
থাকে। কোমরের এই হাড় ক্ষয়কে একটি রোগ হিসেবে দেখা হবে আর মেডিকেল
সাইন্সে এই রোগকে বলা হয় স্পন্ডোলাইসিস। সুতরাং এই স্পন্ডোলাইসিস হতে পারে
আপনার কোমর ব্যথার কারণ।
মেরুদন্ডে মোচ লাগাঃ আপনার কোমরে ব্যথা আরেকটি কারণ হতে পারে মেরুদন্ডের
পেশীতে টান লাগা অথবা মোচ লাগার কারণে। বিভিন্ন কারণে আমাদের মেরুদন্ডের পেশিতে
বা মেরুদন্ডের কাশেরুকায় আঘাত লাগতে পারে, যেমন-ভারী কিছু উঠানোর সময় এবং
অনেক সময় জোরে হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় কোমরে আঘাত লাগতে পারে অথবা
পিছলে পড়ে গেল গেলে ইত্যাদি কারনে মেরুদন্ডে আঘাত লাগার ফলে এখান থেকে কোমর
ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে গেলেঃ কোন এক্সিডেন্ট অথবা আঘাত লাগার কারণে যদি
মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙ্গে যায় তাহলে এই ফ্যাকচারের কারণে হতে পারে কোমর
ব্যথা। আঘাত জনিত কারণে যদি মেরুদন্ডের এই হাড়গুলো বার ডিস্কগুলো নড়ে যায়
সেক্ষেত্রেও কোমর ব্যথার সমস্যা লক্ষ্য করা যায়।
মেরুদন্ডের ডিস্কের মজ্জা শুকিয়ে বা বের হয়ে গেছেঃ বয়সের কারণে অথবা
কোন অসুখের কারণে যদি মেরুদন্ডে থাকা ডিস্কগুলো যে মজ্জা থাকে সেগুলো শুকিয়ে
যায় তাহলে কোমর ব্যথা হতে পারে। শুধু মেরুদন্ডের ডিস্কে থাকা মজ্জা শুকিয়ে
গেলেই নয় যদি কোন আঘাত লাগার কারণে এই ডিস্ক ফেটে যায় এবং ভেতরে থাকা মজ্জা
বের হয়ে যায় তাহলেও হতে পারে কোমর ব্যথার সমস্যা।
আরো পড়ুনঃ
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কোনগুলো
অস্টিওপোরোসিস এর কারনেঃঅস্টিওপোরোসিস এক ধরনের হাড়ের রোগ। এই রোগ
হলে হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণের ক্ষমতা কমে যায় এবং হাড় ক্ষয় হওয়ার
প্রবণতা বেড়ে যায়। যার ফলে কোমরের হাড় ক্ষয়জনিত কারণে ব্যথা হতে পারে।
দীর্ঘক্ষণ একইভাবে বসে থাকার কারণেঃ কম বয়সীদের মধ্যে কোমর ব্যথার
আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো , একইভাবে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার। বর্তমানে
আমাদেরকে অফিসে বা বাড়িতে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো যেমন -কম্পিউটার ,
ল্যাপটপ ইত্যাদি মাধ্যমে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে বিভিন্ন ধরনের অফিসিয়াল অথবা
ব্যক্তিগত কাজগুলো সম্পন্ন করতে হয়। আর দীর্ঘক্ষণ একইভাবে বসে থাকার কারণে
কোমরে স্নায় গুলোর উপরে চাপ পড়ে যার ফলে কোমর ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। শুধু
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকায় নয় সঠিকভাবে না বসলে এবং বেশিক্ষণ ড্রাইভিং করলেও
কোমর ব্যথা হতে পারে।
কোমরের ব্যথা কমানোর উপায়
বয়স কম হোক বা বেশি হোক , কোমরের ব্যথা হলে যে কোনো বয়সী মানুষকে ভীষণ
কষ্ট পেতে হয়। কারণ কোমরে ব্যথা হলে উঠা-বসা , হাঁটাচলা , নড়াচড়া সকল
ক্ষেত্রেই ব্যথা অনুভব হয়। আর এই যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে
হলে আমাদেরকে জানতে হবে কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে। আপনি যদি কোমরের
ব্যথা কমানোর উপায় গুলো জেনে রাখেন তাহলে বিভিন্ন সময় কোমরে ব্যথা হলে ব্যথা
কমানোর পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই কোমর ব্যথা কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নিই কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো।
সরিষার তেল ও রসুনঃ মাধারি সাইজের একটি রসুন কুচি করে অথবা থেঁত করে
সরিষার তেলের ভেতরে দিয়ে গরম করুন। এইবার এই তেলটি হালকা কুসুম গরম থাকা
অবস্থায় কোমর ব্যথার স্থানে মালিশ করলে দ্রুত কোমর ব্যথা কম হবে। এই ছেলেটি
শুধু কোমর ব্যথাতে নয় শরীরের যেকোনো ব্যথার স্থানে মালিশ করলে ব্যথা দূর হয়।
একইভাবে দীর্ঘক্ষণ বসে না থাকাঃ আমাদের এই যন্ত্র নির্ভর
জীবনে বেশিরভাগ সময় অফিসিয়াল কাজগুলো দীর্ঘক্ষণ বসেই করতে হয় আর এই
কারণে অনেক সময় কোমর ব্যথা হয়। তাই কোমর ব্যথা কমাতে বা কোমর ব্যাথা থেকে
মুক্তি পেতে দীর্ঘক্ষণ একইভাবে বসে কাজ করা বন্ধ করুন। প্রয়োজন হলে কাজের
ফাঁকে ২/১ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন অথবা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে , কিছুক্ষণ বসে
এইভাবে কাজ করুন।
নারিকেল তেল ও কর্পূরঃ নারিকেল তেলের ভিতরে কর্পূর মিশিয়ে কিছুক্ষণ গরম
করে , এইবার এই তেলটি ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কর্পূর মেশানো
তেলটি ঠান্ডা হয়ে গেলে কোমরের ব্যথা স্থানে কয়েকবার লাগালে কোমরের ব্যথা
কমে যাবে।
আরও পড়ুন ঃ সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ
গরম সেক ঃ কোমর ব্যথা কমাতে ব্যথার স্থানটিতে হট ওয়াটার ব্যাগে
করে গরম পানির সেক দিতে পারেন। অথবা টাওয়েল ভাঁজ করে কোন কিছুর সাথে
গরম করে নিয়ে কোমরের ব্যথায় স্থানে বেশ কিছুক্ষণ ধরে সেক দিলে কোমর ব্যথা
অনেকটাি কমে যায়।
নীলগিরির তেলঃ নীলগিরির তেলের কথা অনেকেই হয়তো শুনেছেন। শরীরের বিভিন্ন
অংশের ব্যথা কমাতে এই তেলের মালিশ খুবই কার্যকর। ইউক্যালিপটাস গাছকে
নীলগিরি বলা হয়। কোমর ব্যথায় এই তেল মালিশ করলে খুব দ্রুত এবং কার্যকরী
ফল পাওয়া যায়। তাই কোমরের ব্যথা সারাতে নিয়মিত নীলগিরির তেল লাগাতে পারেন।
পান পাতা ও ঘি এর সেকঃ কোমর ব্যথা কমাতে পান পাতা ও ঘি এর
সেক অত্যন্ত কার্যকরী। পান পাতার উপরে ঘি লাগিয়ে এই পাতাটি গরম করে
ব্যথায় স্থানে সেক দিন। দিনের মধ্য ৩-৪ বার কাজটি করলে দেখবেন কোমরের ব্যথা
অনেক কমে গেছে।
দুধ ও হলুদঃ কোমর সহ শরীরের যেকোন স্থানের আঘাত জনিত ব্যথা
কমাতে অত্যন্ত কার্যকর হল দুধ ও হলুদের মিশ্রণ। এক গ্লাস দুধের ভেতরে ২/১ চামচ
হলুদ মিশিয়ে পান করুন , আপনি চাইলে এই দুধ এবং হলুদের মধ্যে মধু এড করতে
পারেন। এই পানিয় কি পান করলে খুব দ্রুত কোমর ব্যথায় আরাম পাবেন।
আদাঃ কোমর ব্যথায় আরাম পেতে পা ব্যথা কমাতে খেতে পারেন আদা। আদার
ভেতরের রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং ব্যথা নাশক উপাদান ,এই কারণে কোমর ব্যথা
বা পেট ব্যথা কমাতে চিবিয়ে আদার রস খেলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। কোমর
ব্যথা থাকলে কয়েকবার আদা কুচি করে নিয়ে সেটির সাথে মধু মিশিয়ে চিবিয়ে খেতে
পারেন অথবা ঘন ঘন আদা চা বানিয়ে খেতে পারেন।
সবচেয়ে বড় কথা হলো কোমর ব্যথা কমাতে হলে এ বিষয়ে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ
ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ ঘরোয়া এই টোটকা গুলো কোমর ব্যথা থেকেই আপনাকে
সাময়িক আরাম দিলেও এর পেছনে যদি মেরুদন্ডের কোন জটিল সমস্যা থেকে থাকে তাহলে
কখনোই সমাধান দিতে পারবে না। তাই কোমর ব্যথা স্থায়ীভাবে সারাতে হলে ব্যথার
পিছনে সঠিক কারণ উদঘাটন করার পর এ বিষয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুরুষদের তুলনায় কোমর ব্যথার সমস্যায় নারীরাই
বুঝে থাকেন। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এই রোগটি নারীদের ক্ষেত্রেই বেশি হয়। তাই
আজকে আমরা জানবো মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। বিভিন্ন
কারণেই নারীদের কোমরে ব্যথা হতে পারে তবে আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে হয়তোবা
অনেকাংশেই কোমর ব্যথা প্রতিকার করতে পারি। তাই চলুন আজকে জেনে নিই মহিলাদের
কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার।
মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণঃ মহিলাদের কোমর ব্যথার পিছনে যেসব কারণ থাকতে পারে
সেগুলো একে একে নিচে তুলে ধরা হলো,
- শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি
- সুষম খাবার না খাওয়া বা এর অভাব
- অধিক সময় শুয়ে বসে থাকা
- অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে
- ভারী কিছু ওঠানোর ফলে কোমরে আঘাত লাগলে
- মেরুদন্ডের কাশেরুকায় কোন সমস্যা থাকলে
- স্পন্ডোলাইসিস ও অস্টিওপোরোসিস রোগের কারনে
- গর্ভাবস্থার কারণে
- অতিরিক্ত শারীরিক ওজন
- মেনোপজ বা মসিক বন্ধ হওয়া
- প্রতিমাসে মাসিক শুরুর কারনে কোমর ব্যথা হতে পারে
- সিজারের সময় কোমরে যে ইনজেকশন দেয়া হয় তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে
মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকারঃ এতক্ষণ আমরা মহিলাদের কোমর ব্যাথা সম্পর্কে
জেনেছি এবার আমাদেরকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে। তাই চলুন এবার মহিলাদের
কোমর ব্যথার প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়। কোমর ব্যথা থেকে মুক্ত
থাকতে হলে অবশ্যই দীর্ঘক্ষণ একইভাবে শুয়ে বসে থাকা যাবেনা ঘর গৃহস্থালির অথবা
অফিসিয়াল কাজগুলোর ফাঁকে ফাঁকে একটু হাটাহাটি বা হালকা ব্যায়াম
করুন।খাদ্য তালিকায় সুষম খাবার এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলো যুক্ত
করার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত ভারী জিনিস একা একা উঠানোর চেষ্টা করবেন না এতে
আপনার কোমরে মোচ বা আঘাত লাগতে পারে, এই কারণে কোন ভারী জিনিস উঠানোর সময়
অবশ্যই অন্যের সাহায্যে নিন।
আরো পড়ুনঃ
ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম
প্রেগনেন্ট অবস্থায় অধিকাংশ মেয়ের কোমরে ব্যথা হতে দেখা যায় যদিও প্রসবের পরে
ধীরে ধীরে এই ব্যথা অনেক কমে যায় তারপরেও প্রেগনেন্ট অবস্থায় ডাক্তারি
পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ভাবে চলাফেরা , উঠা বসার চেষ্টা করুন।আপনার
শারীরিক ওজন যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয় তাহলে এখান থেকে কোমর ব্যথা
হতে পারে তাই শরীরের ওজন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।যে সকল খাবার গুলো
হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে এই ধরনের খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় যুক্ত
করার চেষ্টা করুন। আশা করছি মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকার কিভাবে করবেন
বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম
অনেক সময় কোমর ব্যথাতে ভিষন কষ্ট পেতে হয়,আর তখন সেই ব্যথা বা যন্ত্রণা থেকে
মুক্তি পেতে আমাদের খেতে হয় কোমর ব্যথার ঔষধ।তাই আজকে আমরা জানবো কোমর ব্যথার
ট্যাবলেট এর নাম।তবে কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম জানা থাকলেও ডাক্তারি
পরামর্শ ছাড়া এগুলো খাওয়া উচিত না। আপনাদের সুবিধার্থে কোমর ব্যথার ট্যাবলেট
এর নাম গুলো নিচে দেয়া হলো
- Tb.Napadol
- Tb.Neso500mg
- Tb.Naproxyn500mg
- Tb.Reservix100mg
- Tb.Merven100mg
- Tb.Flexi100mg
- Tb.Dinevo500/20mg.
- Tb. Napro A plus.
- Tb. Naproxen plus.
- Tb.Etorix120 mg
- Tb.Eto120 mg
কোমর ব্যথার ব্যায়াম
কিছু ঘরোয়া ব্যয়াম আছে যেগুলো নিয়মিত অনুশীলন করার মধ্যেমে কোমর ব্যথা থেকে আমরা
মুক্তি পেতে পারি।আজকে আমরা জানবো ঘরে বসে কিভাবে কোমর ব্যথার ব্যায়াম করা যায়।
তাহলে চলুন দেরী না করে কোমর ব্যথার ব্যায়াম গুলো জেনে নেয়া যাক।
- সমান বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন এবার হাটু ভাঁজ না করে প্রথমে ডান পা কিছুক্ষন শূন্যে উঠিয়ে রাখুন ।এবার ডান পা নামিয়ে বাম পা তুলুন।তারপর কয়েকবার হাঁটু ভাজ না করে দুই পা দুই পা একসাথে উপরে ওঠানামা করান।
- বিছানা বা এক্সারসাইজ ম্যাটের ওপরে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন এবং দুই হাঁটু ভাঁজ করে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরুন ও হাঁটদ্বয় বুকের সাথে লাগানোর চেষ্ট করুন।
- সোজা হয়ে শুয়ে পর্যায়ক্রমে এক পা সোজা রাখুন এবং আরেক পা হাঁটু ভাঁজ করে বুকের সাথে লাগানোর চেষ্টা করি অন্ততপক্ষে ১০ দশ মিনিট এই অবস্থাতে থাকুন এবং এরপর ভাঁজ করে রাখা বুকের সাথে লাগানো হাটু সোজা করুন এবং অপর হাঁটু ভাঁজ করে বুকের সাথে লাগিয়ে ১০ মিনিট থাকুন।
- প্রথমে ডান কত হয়ে শুয়ে পড়ুন , শোয়া অবস্থায় মাথায় এবং বাম পা শূন্যে উঠিয়ে রাখুন খেয়াল রাখতে হবে এই অবস্থায় পা যেন কম করে ১৮-২০ ইঞ্চি উপরে থাকে প্রথম অবস্থায় এইভাবেই অন্ততপক্ষে ১০ সেকেন্ড থাকার চেষ্টা। এরপর আগের নিয়মেই এইবার বামকাত হয়ে শুয়ে পড়ুন এবং মাথা ও ডান পা ওপরে উঠিয়ে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।
- বিছানা অথবা মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত সোজা করে এক হাত দিয়ে অপর হাতের কবজি ধরুন এবং মাথা ও বুক , পেট উপরে উঠানোর চেষ্টা করুন।
কোমর ব্যথার দোয়া
কোমর ব্যথা বিভিন্ন কারন ও প্রতিকার সম্পর্কে জানার পরে এবার আমরা জানবো কোমর
ব্যথার দোয়া।ইবনে মাজাহ, হাদিস; ৩৫২২ থেকে জানা যায় যে - একদিন উসমান নবিন আবু আস
আকাফি (রা) রাসূল(সা) কাছে গেলেন কোন এক জাযগার তিব্র ব্যথা নিয়ে, রাসূল (সা) সব
শুনে বললেন , তোমার ব্যথা স্থানে হাত রাখ রবং এই দোয়াটি পড়। সেই দোয়াটি হলো -
আউজু বি-ইজ্জাতিল্লহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু।কোমর ব্যথা
হলে ,কোমরে হাত রেখে বেশি বেশি এই দোয়াটি পাঠ করলে ,আল্লাহর রহমতে তাড়াতাড়ি কোমর
ব্যথা সেরে যাবে।
মন্তব্য, এর মাধ্যমে এতক্ষণে নিশ্চয়ই কোমর ব্যাথা সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ
তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নিয়েছে। যদিও এই পোস্টটি কার্যকরী কিছু কোমর ব্যথা
কমানোর ঔষধের নাম শেয়ার করা হয়েছে তারপরেও এই ওষুধগুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই
কোন রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন না। কারণ প্রতিদিন ওষুধেরই
কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে যার কারণে তৈরি হতে পারে শারীরিক জটিলতা তাই
শুধু কোমর ব্যথার ঔষধি নয় যে কোন ঔষধ সেবনের পূর্বে রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ
গ্রহণ করুন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url