কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় - লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
নারী হোক বা পুরুষ ফর্সা সুন্দর ত্বক সকলেই চাই এবং যুগ যুগ ধরে ফর্সা মানুষের চাহিদা অনেক বেশি। আর তাই ফর্সা সুন্দর্য আমাদের সকলেরই কাম্য। যদি প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের হাতের কাছে থাকা বিভিন্ন উপাদান দিয়ে ফর্সা হওয়া যায় তাহলে এটি হয় সবচাইতে ভালো এবং নিরাপদ, একারণে আজকে আমরা জানবো প্রাকৃতিকভাবে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়।
এই পোস্টের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় ও লেবু দিয়ে
ফর্সা হওয়ার উপায় এর পাশাপাশি ত্বক ফর্সা করার আরো বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে
জানবো। ফর্সা হওয়ার এই উপায়গুলো জানা থাকলে আশা করছি আপনাকে আর কেমিক্যাল
যুক্ত ফর্সা হওয়ার দিনগুলো ব্যবহার করে ত্বকের ক্ষতি করতে হবে না। তাই
ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো জানতে এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন সকল বিষয়গুলো
বিস্তারিত জেনে নিন।
সূচিপত্রঃ কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় - লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
গায়ের রং উজ্জ্বল এবং ফর্সা কে না চাই। অনেকেই থাকেন জন্মগতভাবে ফর্সা
ত্বকের অধিকারী, কিন্তু অনেকেই জন্মগতভাবে গায়ের রং একটু চাপা বা কালো। আবার
অনেকের দেখা যায় ত্বকের সঠিক যত্ন না নেয়ার কারণে শরীরের উজ্জ্বলতাটা ভালোভাবে
প্রকাশ পায় না। তাই আজকে আমরা আলোচনা করব কাল থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
অনেকের কাছে বিষয়টি অবাক করার মতন হলেও আমরা যদি একটু যত্নশীল হই তাহলে
অনেকাংশেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে আর এ কাজটি করতে হলে আমাদেরকে
জানতে হবে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাই যারা জানেন না তারা আজকে
এই পোস্টের মাধ্যমে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো জেনে নিন। কালো থেকে ফর্সা
হওয়ার উপায় গুলোর নিচে একে একে বর্ণনা করা হলো।
হলুদঃ রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকে। রূপচর্চার
কাজে হলুদ ব্যবহারের কথা শুনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হলুদ
কিন্তু রূপচর্চার বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি গায়ের রং উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতেও
বিশেষ সাহায্য করে। গায়ের রং উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে হলুদের সাথে মেশাতে পারেন
লেবুর রস এবং কাঁচা দুধ । হলুদের সাথে কাঁচা দুধ এবং লেবুর রস মিশিয়ে এই
মিশ্রণটি মুখ সহ হাতে পায়ে অথবা সারা শরীরে মাখতে পারেন। এরপর ভালোভাবে
মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার হয়ে নিন। মনে রাখবেন
দুধ হলুদের এই মিশ্রণটি বিকালে অথবা সন্ধাতে শরীরে মাখা সবচাইতে ভালো কারণ এই
মিশ্রণটি মাথার পরে কিছুক্ষণ রোদের তাপে না বের হলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
হওয়ার ভয় থাকে না এবং অত্যন্ত ভালো ফল পাওয়া যায়। আর যদি এই মিশ্রণটি দিনের
অন্য সময় এপ্লাই করেন তাহলে অবশ্যই মাথায় রাখবেন কয়েক ঘন্টা রোদের তাপে না
বেরনোর।
টমেটো ঃ টমেটো আমাদের ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে।
তাই যেই মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে টমেটো পাওয়া যায় সেই সময় এই টমেটোকে কাজে
লাগিয়ে আমরা কালো ত্বক ফর্সা করে নিতে পারি। টমেটো সানবার্ন ও বয়সের ছাপ দূর
করতেও সাহায্য করে। টমেটো রসের সাথে হলুদ গুঁড়া এবং চন্দন পাউডার মিশিয়ে একটি
ফেসপ্যাক তৈরি করুন এবং ৩০ মিনিটের জন্য এই প্যাকটি মুখে ও হাত-পায়ে লাগিয়ে না
শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এরপর ভালোভাবে নরমাল ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার
করেছিল সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এই পদ্ধতিতে টমেটো হলুদ ও চন্দন পাউডারের প্যাক
স্কিনে ব্যবহারের ফলে , স্কিন ফর্সা ও উজ্জ্বল হবে।
আলুঃ আমাদের রান্নার কাজে নিত্যদিনের ব্যবহৃত একটি সবজি হল আলু। আলু
আমাদের প্রতিটি ঘরেই সব সময় পাওয়া যায়। হাতের কাছে থাকা এই সহজলভ্য শব্জিটির
মাধ্যমে আমরা আমাদের গায়ের ত্বককে ফর্সা করে নিতে পারি।আলুর রস মুখের মেছতা এবং
সানবার্ন দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সাহায্য করে। নিয়মিত যদি আলুর
রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মাখতে পারেন না তাহলে খুব সহজ কম সময়ের মধ্যেই
শরীরের
কমলার খোসাঃ কালো ত্বককে ফর্সা করতে ব্যবহার করুন কমলার খোসা। কমলা
খাওয়ার পরে খোসা গুলো ফেলে না দিয়ে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন।
এবার এই কমলার খোসার গুড়ার সাথে দুধ পেস্ট তৈরি করুন এবং এই পেস্ট মুখে ও হাতে
পায়ে লাগান। নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহারের ফলে দেখবেন আপনার গায়ের রং ফর্সা হওয়া
শুরু করেছে। কারণ , দুধ এবং কমলার খোসা দুটোই আমাদের ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে
এবং ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরাঃ কালো ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন
করে থাকে এলোভেরা। অ্যালোভেরা রস ত্বকের বিভিন্ন দাগ , সানবার্ন দূর করার
মাধ্যমে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তোলে। ত্বকের কালো দাগ দূর করতে এলোভেরা জেল এর
সাথে শসার রস মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা ও শসার রস দ্রুত
উপাধানে শরীরের কালো দাগ দূর করে ত্বক ফর্সা করতে দুর্দান্ত সাহায্য করবে, তাই
কালো ত্বক ফর্সা করতে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ৩ দিন অ্যালোভেরা ও শসার রস একসাথে
ভালোভাবে মিশিয়ে ব্যবহারের চেষ্টা করুন
বেসনঃ বেসন শুধু মুখরোচক খাবার তৈরিতেই নয় , কালো ত্বক ফর্সা করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বেসনের সাথে কালো ত্বক ফর্সা করার জন্য বেসনের সাথে হলুদের গুড়া ,কাঁচা দুধ এবং গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ৩০ মিনিটের জন্য ত্বকে লাগিয়ে রাখুন এবং এই পদ্ধতি সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন।দেখবেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গায়ের রং কতটা উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়েছে।
পেঁপেঃ রুপচর্চায় পাকা পেঁপের ব্যবহার দীর্ঘদিন থেকে হয়ে আসছে। পেপে আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী একারণে, বাজারে পেঁপের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ ,স্ক্রাব,ফেসপ্যাক পাওয়া যায়। পেঁপে আমাদের ত্বক থাকে রোদে পোড়া দাগ দূর করে গায়ের ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। তাই কালো ত্বককে ফর্সা করার জন্য ত্বকে পেঁপের রস মাখতে পারেন।
দুধঃ কাঁচা দুধ আমাদের ত্বক পরিষ্কার করার জন্য অত্যন্ত ভালো একটি উপাদান। কটন বল দুধে ভিজিয়ে আলতো ভাবে আপনার ত্বকের মাসাজ করতে থাকুন। ২/১ মিনিট মাসাজ করার পরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এটি শুকানোর জন্য ১৫-২০ মিনিট পরে নরমাল পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহারের ফলে ত্বকে কালো ভাব দূর হবে , ত্বক পরিষ্কার হবে এবং ত্বক ফর্সা হবে।
আরো পড়ুনঃ ব্রণ দূর করার উপায়
টুথপেস্টঃ কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য আরেকটি কার্যকর উপায় হল টুথপেস্ট এর ব্যবহার। টুথপেস্ট আমাদের সকলের ঘরেই থাকে ২-৩ দিন যদি ত্বকের ওপরে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এটি আপনার কালো ত্বককে ফর্সা করতে যথেষ্ট সাহায্য করবে। এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে টুথপেস্ট এবং অ্যালোভেরা জেল। টুথপেস্ট ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন তবে অবশ্যই টুথপেস্ট যতখানি নেবেন তার দ্বিগুণ পরিমাণ এলোভেরা জেল নিতে ভুলবেন না। এবার এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের ওপরে লাগিয়ে আলতো হাতে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে ২০-৩০ এর জন্য ত্বকে রেখে দিন এরপর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ তিন দিন ব্যবহারের ফলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এর পরিবর্তন আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন।
এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করা ছাড়াও আপনার কালো ত্বকের ফর্সা করতে হলে অবশ্যই টাটকা
শাকসবজি , ফরমালিন মুক্ত ফলের রস , নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম এবং পর্যাপ্ত পানি পান
করতে হবে পাশাপাশি অবশ্যই আপনার ত্বকের রোদের তাপ থেকে বাঁচাতে হবে। রোদের তাপ
থেকে ত্বকের রক্ষা করার জন্য ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই ভালো মানের
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
লেবুর ভেতরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি শরীর স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী , রূপচর্চার কাজেও এর কার্যকারিতা অনেক বেশি।ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে ব্যবহার করতে পারেন লেবু। তবে এর আগে জানতে হবে লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সমূহগুলো। অনেকেই হয়তো লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানেন না তাই আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নেবো লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো।
লেবু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার জন্য আপনার লাগবে - লেবুর রস ,হলুদ গুড়া, কাঁচা দুধ ,গোলাপ জল।সব উপাদান গুলো একসাথে ভালভাবে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন এবং ৩০ মিনিটে জন্য ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ,এরপর প্যাকটি শুকিয়ে গেল পরিষ্কার পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারের ফলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার কালো ত্বক ফর্সা হওয়া শুরু করবে। তবে অবশ্যই এই প্যাকটি ব্যবহারের পর কয়েক ঘণ্টা রোদের তাপে না বেরোনোর চেষ্টা করবেন।
আরো পড়ুন ঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
লেবুর রস নাক মুখের ব্লাকহেডস দূর করে ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে সাহায্য করে। ব্ল্যাকহেডস দূর করার জন্য শুধুমাত্র লেবুর রস নিয়মিত মুখে মাখতে পারেনা। এতে আপনার ব্ল্যাকহেডস দূর হবে ও ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বক ফর্সা হবে। তবে লেবুর রস সাধারণত বেশি পরিমাণে বা সরাসরি ত্বকের ব্যবহার না করার চেষ্টা করবেন কারণ এতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা আপনার ত্বকে র্যাশ , চুলকানি অথবা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।
লেবুর রস দিয়ে ফর্সা হওয়ার জন্য, লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে
পারেন। লেবু এবং মধু দুটোই রূপচর্চার কাজে ব্যবহৃত অতি পরিচিত উপাদান। এই কারণে
লেবু ও মধুর রস একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে এটি আপনার টক ফর্সা করতে এবং ত্বকের
বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। লেবু ও মধুর রসের সাথে সামান্য পরিমাণে
বেসন অথবা আটা, অথবা হলুদ গুঁড়া মিক্স করে প্যাক তৈরি করুন । সপ্তাহে ৩-৪ দিন এই
প্যাকটি লাগিয়ে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট ত্বকে শুকাতে দিন এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার শরীরের রং পরিবর্তন করতে
সাহায্য করতে।
লেবুর সাথে চন্দন গুড়া মুলতানি মাটি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে তকে লাগাতে পারেন
এটি ত্বককে ফর্সা হওয়ার পাশাপাশি দাগ মুক্ত করতে সাহায্য করবে। লেবুর রসের সাথে
মুলতানি মাটি অথবা চন্দন পাউডার এবং এর মধ্যে গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি
করুন এবং এটি ত্বকের ব্যবহার করুন।
লেবুর রসের সাথে চালের গুড়া মিশিয়ে আলতো ভাবে ত্বকের উপরে কিছুক্ষন সার্কেল
আকারে মাসাজ করুন। চালের গুড়া ও লেবুর রস আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক স্ক্রাব
হিসেবে কাজ করতে এবং আপনার ত্বকে জমে থাকা ধুলোবালি পরিষ্কার করে ত্বক উজ্জ্বল ও
ফর্সা করতে সাহায্য করবে।
ফর্সা হওয়ার জন্য ব্যবহার করুন ডিমের কুসুম ও লেবুর রস। লেবুর রস ,ডিমের কুসুম একসাথে মিশিয়ে ত্বকে মাখলে ,বলি রেখা দূর হওয়ার পাশাপশি ত্বক উজ্জল ও ফর্সা হবে। লেবুর রস ব্যবহারের প্রতি আপনার ত্বকের সমস্যা হয়ে থাকে , তাহলে লেবুর রসের পরিবর্তন লেবুর খোসার সবুজ আবরণের নিচে থাকা সাদা অংশটি পেস্ট করে ব্যবহার করতে পারেন।
লেবুর মাধ্যমে ফর্সা হওয়ার জন্য এর সাথে মেশাতে পারেন কিনা। লেবু এবং চিনি
রূপচর্চার কাজে অত্যন্ত জনপ্রিয় দুটি উপাদান।চিনি এবং লেবু এই দুটো উপাদান
প্রাকৃতিক ক্লিনজার বা স্ক্রাব হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। এই কারণে সপ্তাহে
অন্ততপক্ষে দুই দিন নিয়ম করে ব্যবহার করুন লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ এবং ১ এক
মিনিট হালকাভাবে মাসাজ করুন এবং তারপর ১০-১৫ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন।
লেবুর শুধু আমাদের ত্বক ফর্সাই করেনা এর ভেতরে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের টক থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে , ব্রণের সমস্যা দূর করতে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে। তবে লেবুর রস ব্যবহারের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সরাসরি লেবুর রস ত্বকে ব্যবহার না করার। কারণ রূপচর্চায় লেবুর অনেক উপকারিতা থাকলেও এর ভেতরে থাকা সাইট্রিক এসিড ত্বকের ক্ষতি করতে পারে তাই লেবুর রস ত্বকে ব্যবহারের সময় অবশ্যই পানি অথবা অন্য কোন উপাদানের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবে।
মন্তব্য, এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়ার মাধ্যমে এতক্ষনে নিশ্চয়ই কালো থেকে
ফর্সা হওয়ার উপায় এবং লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সহকারে ফর্সা হওয়ার
বিভিন্ন পদ্ধতি বা উপায়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেই। তাই এখন থেকে আর ফর্সা
হওয়ার জন্য বাজারে কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে
প্রাকৃতিকভাবে এবং নিরাপদে আপনার ত্বককে ফর্সা করুন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url