গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির ১২টি উপায় - গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ
গ্যাস্ট্রিক আলসার কমন এবং জটিল এক ধরনের রোগ তাই এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে হলে গ্যাস্ট্রিক আলসার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখা দরকার এবং জেনে রাখা দরকার গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় ও গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ নাম। কারণ এই রোগের কারণে পাকস্থলী ফুটা হয়ে যেতে পারে এবং হতে পারে পাকস্থলী ক্যান্সার। তাই এই পোস্টে আজকে আমরা জানবো গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির ১২টি উপায়।
আপনাদের সকলকে সতর্ক , সচেতন এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্ত থাকার জন্য এই পোস্টে আলোচনা করা হবে গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় , গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ , গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় , গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ এর নাম। মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির ১২টি উপায় সম্পর্কে। আর গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির ১২টি উপায় সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই পোস্টটি পড়তে হবে। তাই দেরি না করে মনোযোগ দিয়ে এই পোস্টটি পড়ে ফেলুন এবং জেনে নিন গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির ১২টি উপায় এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার সম্পর্কে আরো বিভিন্ন তথ্য।
সূচিপত্রঃ গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির ১২টি উপায় - গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ
- গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয়
- গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষণ
- গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়
- গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ
গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয়
খাদ্যথলির বা পাকস্থলীর ভেতরের অংশে যে আলসার বা ক্ষতের তৈরি হয় তাকে গ্যাস্ট্রিক আলসার বলে।গ্যাস্ট্রিক আলসার হলো পেপটিক আলসারের অন্তর্ভূক্ত।আমাদের আশেপাশে থাকা অনেক মানুষের গ্যাস্ট্রিক আলসার হওয়ার কথা শোনা যায়। গ্যাস্ট্রিক আলসার বেশ জটিল একটি রোগ।আপনার কি জানা আছে গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় ? যদি জানা না থাকে গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয়, তাহলে বিষয়টি জেনে নিন এবং সচেতন হন।গ্যাস্ট্রিক আলসারের কারন হতে,
হেলিকোবেক্টার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়াঃ হেলিকোবেক্টার পাইলোরি নামক এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া পাকস্থলীর ভেতরে সংক্রামন ঘটালে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়।হেলিকোবেক্টার পাইলোরি ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রামণ গ্যাস্ট্রিক আলসারের অন্যতম কারন। এই ব্যাক্টেরিয়াটি ছড়াতে পারে ,একই খাবার বা পানি এবং পানি জাতীয় খাবার একই বোতল কিংবা গ্লাসে একাধিক ব্যাক্তি খাওয়া।
তামাক সেবনঃ তামাক সেবনও হতে পারে গ্যাস্ট্রিক আলসারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারন।ধূমপান , বা তামাক সেবন এর ফলে শুধু ফুসফুসই আক্রান্ত হয়না এর কারনে গ্যাস্ট্রিক আলসারও তৈরি হয়। তামাক সেবনকারীর শুধু নয়, ধূমপানের বিষাক্ত ধোঁয়া শরীরে প্রবেশের কারণে যেকোন ব্যাক্তিরই হতে পারে আলসার।
পেইন কিলারঃ অতিরিক্ত ব্যথা নাশক বা পেইনকিলার জাতীয় ঔষধ সেবনের ফলেও গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়ে থাকে। আর এ কারণে খুব বেশি এমারজেন্সি না হলে পেইন কিলার জাতীয় ওষুধগুলো সেবন করা উচিত নয়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে , ঔষধ সেবনে ফলে পেটে ক্ষত বা আলসারের সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুনঃ
আলসার কতদিনে ভালো হয় এবং আলসার থেকে ক্যান্সার হয় কিনা
পেটে এ্যসিডিটিঃ দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা বা বা অতিরিক্ত মসলা
, ঝাল , তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটে যদি এসিডিটির মাত্রা বেড়ে যায়
আর এই প্রক্রিয়া যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে এখান থেকে গ্যাস্ট্রিক
আলসারের সম্ভাবনা থাকে।
গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষণ
বেশ জটিল একটি রোগ হলো গ্যাস্ট্রিক আলসার। গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে শরীরে বেশ কিছু
লক্ষণ প্রকাশ পায়। কিন্তু সঠিকভাবে গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষণ গুলো জানা না
থাকার , অধিকাংশ সময়ে আমরা এই লক্ষণগুলোকে এড়িয়ে যায় এবং যার ফলে সংক্রমণ
বাড়তে থাকে এবং রোগ জটিল হতে থাকে। তাই সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ,
চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষণগুলো।পেটে গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে
যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায় সেগুলো হল,
- পেট ও বুক জ্বালাপোড়া করা
- বমিভাব এবং বমি হওয়া
- তিক্ত স্বাদের অতিরিক্ত ঢেকুর ওঠা
- পেটের ওপরের অংশে ব্যাথা করা এবং পেট ফুলে থাকা
- সব সময় পেট ভার হয়ে থাকা
- পেটে এ্যসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা বেড়ে যাওয়া
- খাবার খাওয়ার পর পরই ব্যথা কমে যাওয়া
- কখনো কখনো মেরুদন্ডের দিকে ব্যথা অনুভব করা
গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়
গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় জেনে রাখাটা খুবই জরুরি কারন , গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগটি যেকোনো বয়সী মানুষেরই হতে পারে। এবং এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে অনেকদিন ধরে পেটের সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই আজকে আমরা আলোচনা করব গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। যারা এখন পর্যন্ত গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে রাখুন। গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্ত থাকতে হলে অবশ্যই বেশ কিছু নিয়ম কানুন এবং খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন আনতে হবে ,আজকে আমরা জানবো গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির ১২টি উপায় আর এগুলো হল,
দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে না থাকাঃ দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে পেটে এ্যসিডিটি তৈরি হয় যার ,ফলে তৈরি হতে পারে পেটে গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং বেড়ে যেতে পারে পেটে আলসারের সংক্রামণ। তাই আনসার থেকে মুক্তি পেতে হলে এবং মুক্ত থাকতে হলে অবশ্যই ঘন ঘন অল্প পরিমাণে খাবার খেতে হবে।
অস্বাস্থ্যকর ও খাবার পরিহার করতে হবেঃ বাইরের যেকোনো ভাজাপোড়া সহ
অস্বাস্থ্যকর খাবার গুলো পরিহার করার মাধ্যমে আমরা পেটের আলসার থেকে অনেকটাই
মুক্ত থাকতে পারি। বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো আমাদের পেটে এসিডিটি বাড়িয়ে
তুলতে সাহায্য করে আর এই কারণে থেকে মুক্ত থাকতে হলে অস্বাস্থ্যকর খাবার
গুলো পরিহার করতে হবে।
বেশি ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার না খাওয়াঃ আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা একটু মসলাযুক্ত , ঝাল এবং স্পাইসি খাবার গুলো থেকে বেশি পছন্দ করেন। এই জাতীয় খাবার গুলো নিঃসন্দেহে মুখরোচক এবং স্বাদে অতুলনীয় হলে , স্বাস্থ্যের জন্য কখনোই ভালো নয়। এবং এ জাতীয় খাবার গুলো হজম হতেও বেশ সময় লাগে তাই এই খাবারগুলো থেকে এসিডিটি ও পেটের আলসার হওয়া সম্ভব না অতিমাত্রায় থাকে।তা তাই আনসার থেকে মুক্ত থাকার জন্য বেশি ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবারগুলো পরিহার করে চলুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবেঃ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে
, এই পানির মাধ্যমে শরীরের ভেতর থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবানু এবং টক্সিক উপাদান
গুলো প্রস্রাবের বের করে দেয়। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানির ফলে পেটে এসিডেটির
মাত্রা কম হয় যার ফলে গ্যাস্ট্রিক আলসারের সম্ভাবনা কম থাকে এবং আলসার থেকে
মুক্ত থাকা যায়।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন পরিহার করাঃ আপনারা জানেন ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন পেটে গ্যাস্ট্রিক আলসার সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এ কারণে গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যয় ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন বন্ধ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ লক্ষণ
ব্যথানাশক ঔষধগুলো এভোয়েড করাঃ এসপিরিন ও ব্যথানাশক ঔষধগুলোর করনে যেহেতু পেটে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয় তাই ,গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্ত থাকতে হলে পারতপক্ষে চেষ্টা করতে হবে ব্যথানাশক ঔষধগুলো এভোয়েড করার।
খেতে হবে ভিটামিন সি ,ই এবং এ যুক্ত খাবারঃ আলসার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য খেতে হবে , যে খাবার গুলো ক্ষত সারাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের যে কোন ক্ষত শুকাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি , ই , এবং এ যুক্ত খাবার গুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এ জাতীয় খাবার গুলো গ্যাস্ট্রিক আলসারের ক্ষত শুকাতে এবং আলসার মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।
মধুঃ মধুর ভেতরে থাকা বিভিন্ন ঔষধি গুণসম্পন্ন উপাদানগুলো পাকস্থলীতে আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করতে এবং এই ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে আলসার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রতিদিন হালকা কুসুম গরম পানিতে মধু এবং দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে খেলে গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে সেরে উঠতে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়।
রসুনঃ গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে সকালে খালি পেটে ১-২ কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ গ্যাস্ট্রিক আলসারের কারণ হতে পারে হেলিকোবেক্টার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া।আর রসুনের ভেতরে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও মাইক্রোবিয়াল উপাদান হেলিকোবেক্টার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করে এই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম। তাই গ্যাস্ট্রিক আলসারের মুক্ত থাকতে নিয়মিত কাঁচা রসুন খেতে পারেন।
হলুদঃ নিয়মিত যদি কুসুম গরম পানিতে মধু ও হলুদ মিশিয়ে খাওয়া হয় তাইলে এ পানীয়টি দ্রুত গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে সেরে উঠতে সাহায্য করবে। কারণ হলুদের রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান।
পাতাকপি বা বাঁধাকপির রসঃ বেশ কিছু গবেষণার ফল হিসেবে , পেটের
গ্যাস্ট্রিক আলসার সারাতে বাঁধাকপির কার্যকরী তার প্রমাণ মিলেছে। নিয়মিত
বাঁধাকপির জুস পানের ফলে প্রায় 80 শতাংশ মানুষ গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে সেরে
উঠেছেন।গ্যাস্ট্রিক আলসার মুক্ত থাকতে পাতাকপির জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রো-বায়োটিক জাতীয় খাদ্য গ্রহণঃ প্রো-বায়োটিক জাতীয় খাদ্যগুলো গ্রহণের ফলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং এই খাদ্যগুলো শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।প্রো-বায়োটিক জাতীয় খাদ্য পেটের গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্ত বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ
আলোচনার এই পর্যায়ে আমরা জানবো ভ্যাকটিক আলসারে ঔষধ সম্পর্কে।তবে গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ সম্পর্কে জানা থাকলেও এসব জটিল রোগের চিকিৎসা কখনই নিজে নিজে করা উচিত নয়। তাই আনসার হলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হন এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই কোন গ্যাস্ট্রোলজির পরামর্শ গ্রহণ করুন। অনেকেই যেহেতু গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ এর নাম গুলো জানতে চান তাই আজকে আমরা , হোমিও এবং এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ এর নাম জানবো। তাহলে চলুন এবার জেনে নেয়া যাক গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ এর নাম গুলো,
গ্যাস্ট্রিক আলসারের এলোপ্যাথিক ওষুধ ঃ গ্যাস্ট্রিক আলসারের ক্ষেত্রে
অথবা যে কোন আলসারের ক্ষেত্রেই ব্যথা নাশক এবং স্টেরয়েড ঔষধ গুলো খুবই
ক্ষতিকর তাই এই জাতীয় ওষুধগুলো অবশ্যই বাদ দিতে হবে। এবং নন স্টেরোয়েড জাতীয়
ঔষধ গুলো সেবন করতে হবে। নিচে গ্যাস্ট্রিক আলসারের বেশ কিছু কার্যকরী ঔষধের নাম
তুলে ধরা হলো,
- এন্টাসিড
- ওমিপ্রাজল
- পেন্টপ্রাজল
- লেন্সো প্রাজল
- ইসোমিপ্রাজল
- রেনিটিন
- ফেমটিডিন
- কার্বোভেজ
- সালফার
- লাইকোপোডিয়াম
- ইপিকাক
- আর্সেনিক
- নাক্স ভোম
- আর্জেন্ট নাইট্রিকাম
- ফেরাম মেট
- কলোসিন্থ
- পালসেটিলা
- কার্বোভেজ
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url