দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ১৬টি উপায়
ডায়াবেটিস অত্যন্ত সেনসিটিভ একটি রোগ এই একবার হলে তা পুরোপুরি নির্মূল করা কোনভাবেই সম্ভব না তাই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে এর একমাত্র সমাধান হলো সচেতনতা ও সতর্কতা। ডায়াবেটিস যাতে মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে না যায় সে সম্পর্কে যেমন সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরী, তেমনি ডায়াবেটিস যেন নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে নিচে নেমে না যায় এই বিষয়টিও লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত জরুরী কারণ ডায়াবেটিস কমে গেলে বা বেড়ে গেলে উভয় ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে মৃত্যুর মতন ঘটনাও। তাই আজকে আমরা দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে জানবো। এ পোস্টে আলোচনা করা হবে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ১৬টি উপায় নিয়ে।
আপনারা যারা দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন কারণ এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ১৬টি উপায় ছাড়াও ডায়াবেটিস সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন- ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল ,ডায়াবেটিস এর সর্বনিম্ন পয়েন্ট কত ,ডায়াবেটিস কমে গেলে কি হয় , ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। তাই দেরি না করে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় উপায়গুলো জানার জন্য পোস্টটি পড়ে ফেলুন এবং জেনে নিন দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ১৬টি উপায়।
সূচিপত্রঃ দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ১৬টি উপায়
- ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
- দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
- ডায়াবেটিস এর সর্বনিম্ন পয়েন্ট কত
- ডায়াবেটিস কমে গেলে কি হয়
- ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ
ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
আপনার কি জানেন ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল ? আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জেনে রাখা উচিত ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল।তাই আজকে আপনাদের জানাবো ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল যা নিয়ে উদ্বেগের কোন কারণ নেই।আপনারা নিশ্চয় জানেনে ডায়াবেটিস টেস্ট সম্পন্ন করা হয় দুইটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। প্রথম প্রক্রিয়ায় প্রায় ৮ ঘন্টা খালি পেটে থাকার পরে ব্লাড টেস্ট করা হয় এবং পরবর্তী ধাপে নাস্তা করার দুই ঘন্টা পরে ব্লাড টেস্ট করে ডায়াবেটিসের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
ভরা পেটে ডায়াবেটিসে কত হলে নরমাল এটি জানার জন্য নাস্তা করার দুই ঘন্টা পরে
রক্তের সুপার লেভেল পরীক্ষা করে যদি দেখা যায় , রক্তের সুগারের মাত্রা ১৪০ dl বা
৭.৮ মিলিমোল এর আশেপাশে রয়েছে তাহলে এটি ডায়াবেটিসের নরমাল মাত্রা হিসেবে
ধরা হয়। আর যদি ডায়াবেটিসের মাত্রা ৭.৮ মিলিমোলের বেশি হয়ে যায় তখন তাকে
বলা হয় প্রি ডায়াবেটিস
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
আপনাদের মধ্যে যারা ডায়াবেটিসের রোগী আছেন এবং যাদের ঘরে ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছে তাদের প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় কেননা ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে যদি দ্রুত প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে ঘটতে পারে বিপদ।তাই আপনাদের আজকে জানাবো দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় গুলো সম্পর্কে। চলুন দেরী না করে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় গুলো জেনে নেয়া যাক।নিচে আপনাদের জন্য দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ১৬টি উপায় দেয়া হলো,
ইনসুলিন গ্রহন ঃ ডায়াবেটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতি হলো ইনসুলিন গ্রহণ করা। আপনার ডায়াবেটিসের মাত্রা যদি অতিরিক্ত অথবা বিপদসীমায় চলে যায় তাহলে, অতি দ্রুত ডায়াবেটি আনার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইনসুল গ্রহণ করা উচিত।
পানি পান করুনঃ ডায়াবেটিস যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে কিছুক্ষণ পর পর পানি পান করার চেষ্টা করুন, কেননা পানি প্রসাবের মাধ্যমে শরীরের মধ্যে থাকা অতিরিক্ত সুগার বের করে দিতে সাহায্য এবং রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রাখে।
আরো পড়ুনঃ হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার ১৫ টি কারণ
দ্রুত হাঁটাহাঁটি করুনঃ ডায়াবেটিস বেশি হয়ে গেলে দ্রুত গতিতে হাটাহাটি করার চেষ্টা করে এতে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় হবে এবং ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, কেননা দ্রুতগতিতে হাটাহাঁটি হার্টবিট ও শরীরে রক্ত চলাচলের প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাওয়ার মাধ্যমে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আপেল সিডার ভিনেগার খানঃদ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর জন্য আপেল সিডার ভিনেগার খুবই উপকারি একটি পানীয়। আপেল সিডার ভিনেগার রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রন করার মাধ্যমে সুগার লেবেলকে ঠিক রাখে।
আলোভেরার রসঃ ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে এলোভেরার পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করে হাল্কা গরম পানিতে এলোভেরার রস এবং মধু মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।এই রস দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
পেয়ারা পাতা ঃ পেয়ারার পাতার মধ্যে থাকা ফিনোলিক যৌগ থাকায় এটি যেহেতু আমাদের শরীরের সর্পরান মাত্রা বাড়তে দেয় না এই কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা যদি পেয়ারা পাতা খায় তাহলে, শরীরে চিনির মাত্রা কম থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নিম পাতার রসঃ নিম পাতার রস শরীরের সুগারের মাত্রাকে দ্রুত কমাতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীরা যদি সকাল বেলা খালি পেটে একটু কষ্ট করে নিম পাতার রস খেতে পারে তাহলে এটি ডায়াবেটিস লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত সাহায্যকারী অথবা হবে বলে আশা করা যায়, নিম পাতার রসের সাথে গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে খেতে পারলে এটি আরো ভালো কাজ করে।
সজনে পাতাঃ সজনে পাতা শরীরের শর্করার মাত্রা কে বাড়তে দেয় না যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা যদি প্রতিদিন সজনে পাতা খেতে পারে তাহলে তাদের শরীরে চিনির পরিমাণ বাড়বে না থাকবে এবং ডায়াবেটিস বেড়ে গেলা তা দ্রুত নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে চলে আসবে।
করলার রসঃ দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর ক্ষেত্রে করলার রস বিশেষ অবদান রাখতে পারে।দ্রুত সুগার লেবেল কমাতে পারে এমন কার্যকারী উপাদান মমর্ডিসিন ও ক্যারোটিন রয়েছে। তাই দ্রুত ডায়াবেটিস কমাতে চাইলে পান করুন করলার রস।
কফি পান করুনঃ কফিতে রয়েছে পলিফেলিন নামক অ্যান্টঅক্সিডেন্ট যা ডায়াবেটি প্রতিরোধ করার পাশাপশি দ্রুত ডায়াবেটিস কমাতেও সাহাস্য করে।গবেষণায় দেখা গেছে কফি খাওয়ার ফলে শরীরে গ্লূকোজের মাত্রা কমতে থাকে , এ কারণে নিয়মিত কফি খেলে মধুমেয় বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও কফির ভেতরে রয়েছে ক্লোনজেনিক অ্যাসিড যা আমাদের শরীরের অ্যান্টি অক্সিজেন হিসেবে কাজ করে। এই ক্লোরোজেনিক এসিড অন্তর গ্লুকোজ শোষণকে বাধা দেয় এবং ইনসুলিন এর সংবেদনশীলতা উন্নত করে।
ডাবের পানিঃ উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি ডাবের পানির ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেও ভূমিকা রাখে , কারণ আমরা আগেই জেনেছি ডাবের পানি ভেতরে থাকা উপাদান গুলো আমাদের শরীরের শর্করার মাত্রা কে রাখতে পারে। আর শরীরের শর্ট করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে থাকার কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও ডাবের পানি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
হলুদ ঃহলুদের মধ্যে এন্টি ডায়াবেটিস উপাদান থাকায় এটি শরীরের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং যার ফলে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
দারুচিনিঃ দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর আরেকটি দূর্দান্ত কার্যকরী উপাদান হলো দারুচিনি।দারুচিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা প্রায় ৩০% কমে যায়।তাই ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে দ্রুত তা কমানোর জন্য হালকা কুসুম গরম পানিতে দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে পান করুন।
আঁশ বা ফাইবারঃ ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে ফইবার যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন কেননা ফাইবার যুক্ত খাবার গুলো রক্তে শর্করার মাত্রা বা গ্লুকোজর এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ
মানসিক চাপ কমান ঃমানসিক চাপ ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।তাই ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে অবশ্যই মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন, কেনেনা দ্রুত ডায়াবেটিস মানসিক চাপ মুক্ত থাকা জরুরি।
পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করুনঃ মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্য ঘুম খুবই জরুরি।তাই আপনার যদি ঘুমের ঘাটতি থাকে ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে ,আর রুক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
এছাড়াও ,তেজপাতা ,এলাচ , লবঙ্গ , মেথি , জিরা এ সকল জাতীয় দ্রব্যগুলো দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে।
ডায়াবেটিস এর সর্বনিম্ন পয়েন্ট কত
এবার আপনাদের জানাবো ডায়াবেটিস এর সর্বনিম্ন পয়েন্ট কত এ বিষয়টি , কেননা বিভিন্ন সময় অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন ডায়াবেটিস এর সর্বনিম্ন পয়েন্ট কত। তাই চলুন আজকের বিষয়টি নেওয়া যাক। ডায়াবেটিস চেক করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা প্রায় সকলেই অবগত রয়েছে এবং আমরা আজও আপনাদের ডায়াবেটি টেস্টের নিয়ম সম্পর্কে জানিয়েছি , ডায়াবেটিস টেস্টের রিপোর্টে যদি HB1C এর মাত্রা ৫.৭ মিনিমোল বা তার আশেপাশে থাকে তাহলে রক্তের সুগারের মাত্রা কে স্বাভাবিক ধরা হয় এবং যদি এই মাত্রা ৬.৫ বা তার বেশি হয়ে যায় তাহলে এর মানে হলো ডায়াবেটিস আছে তবে সেটি নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে আর এই মাত্রাকে ফ্রি ডায়াবেটিস বলা হয়। রক্তে বা শর্করা বা সুগারের মাত্রা যদি ৫.৭ - ৬.৫ এর ভিতরে থাকে তাহলে অবশ্যই ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার কেননা এই সময় যদি ডায়াবেটিস সম্পর্ক সচেতন না হওয়া যায় তাহলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যাবে এবং যার ফলে ধরনের শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হবে।
ডায়াবেটিস কমে গেলে কি হয়
ডায়াবেটিস বর্তমানে খুবই কমন একটি রোগ। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ঘরেই রয়েছে
ডায়াবেটিসের রোগী। যারা ডায়াবেটিস রোগী আছে তারা অনেক সময় রক্তে সুগারের
মাত্রা যাতে অতিরিক্ত বেড়ে না যায় এই কারণে প্রায় সব ধরনের মিষ্টি জাতীয়
খাবার বন্ধ করে দেন কিন্তু তাদের জেনে রাখা উচিত ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে
রক্তের শর্করা বা সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়া যেমন বিপদজনক ঠিক তেমনি
রক্তে সুগারের মাত্রা যদি একেবারে কমে যায় তাহলে সেই ক্ষেত্রেও বিপদ ঘটতে
পারে।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কোনগুলো
ডায়াবেটিস কমে গেলে কি হয় বা হতে পারে সে সম্পর্কে কি আপনার ধারণা আছে ? আপনি বা আপনারা যদি না জেনে থাকেন ডায়াবেটিস কমে গেলে কি হয় তাহলে চলুন বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক। ডায়াবেটিসের মাত্রা যদি নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম হয় অর্থাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা ৪ মিলিমোলের যে চলে আসে তাহলে সে ক্ষেত্রে অস্থিরতা ,বুক ধরফর করা , হাত পা এবং সম্পূর্ণ শরীরে কাঁপুনি অনুভব হওয়া চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি সমস্যা ছাড়াও ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার কারণে রোগীর মৃত্যু ঘটতেও দেখা যায়।
ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ
ডায়াবেটিসের রোগীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো রক্তের শর্করা বা গ্লুকোজের
মাত্রা নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে না থাকা। অনেক সময় খাবার খাওয়ায় অনিয়ম
, ডায়াবেটিসের ঔষধ গ্রহণ , অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম তাদের কারণে ডায়াবেটিসের
মাত্রা অনেক কমে যায় আর আপনারা জানেন ডায়াবেটিস বেশি হওয়া যেমন খারাপ
নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে নেমে যাওয়া ঠিক তেমন বিপদ। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল
ডায়াবেটিস কমে গেলে তা বুঝবেন কিভাবে? রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেছে কিনা এটি
বোঝার জন্য আপনাকে ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ গুলো জানতে হবে।
ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ গুলো জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই ডায়াবেটিস
কমে গেছে কিনা বুঝতে পারবেন এবং প্রয়োজন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
তাই ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ গুলো এবার আমরা জানবো। ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার
লক্ষণ গুলো হলো
- চোখে ঝাপসা দেখা
- হাত পায়ে কাঁপুনি অনুভব করা
- শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল লাগা
- অস্থিরতা অনুভব করা
- অনিদ্রা বা ঠিকভাবে ঘুম না আসা
- চোখে ঝাপসা দেখা
- বমি বমি ভাব লাগা
- শরীর ঘামতে থাকা
- খিঁচুনি
- ক্ষুধা পাওয়া
মন্তব্য, এতক্ষনে আপনারা নিশ্চয় দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ১৬টি উপায় ভালোভাবে জেনে নিয়েছেন এবং আশা করছি দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় গুলো জেনতে পেরে আপনি উপকৃত হয়েছেন।ডায়াবেটিস একেবারে কমে যাওয়া এবং খুব বেশি হয়ে যাওয়া দুটি যেহেতু বিপদজনক তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা নিয়মিত ডায়াবেটিস চেকাপ করুন এবং এ ব্যাপারে সচেতন থাকুন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url