জামায়াতে নামাজ পড়ার নিয়ম - জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি
Raihana Rija
জামায়াতে নামাজ আদায় করা হলো পুরুষ মানুষেদের জন্য ফরজ।কারন একা নামাজের চেয়ে জামায়াতে নামাজের ফজিলত অনেক বেশি।আর কেও যদি এই ফরজ কাজটি না করে থাকে তাহলে তাকে কঠীন শাস্তির সম্মুখিন হতে হবে।জামায়াতে নামাজ পড়া নিয়ে যারা বিস্তারিত জানেন না তাদেরকে এখন জানাবো, জামায়াতে নামাজ পড়ার নিয়ম এবং জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি সম্পর্কে।
আজকের এ পোস্টে আপনারা বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন জামায়াতে নামাজ পড়ার নিয়ম এবং জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি বিষয় দুটি ছাড়াও জামায়াত সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে।জামায়াতে নামাজ আদায় করা যেহেতু ফরজ অর্থাৎ আল্লাহর হুকুম সুতরাং এই বিষয়টি কোনভাবেই অবহেলা এবং হালকাভাবে নেওয়ার কোন অবকাশ নেই। তাই সকল পুরুষদেরকে জামায়াতে নামাজের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং জামায়াতে নামাজ পড়ার নিয়ম সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে। আর তাই দেরি না করে পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জামায়াতে নামাজের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।
জামায়াতে নামাজ
একজন ইমাম হয়ে অন্যান্য মুসল্লিগণ তার অনুসারী বা মুক্তাদি হয়ে সম্মিলিতভাবে নামাজ আদায় কে শরিয়তের পরিভাষায় জামাআ'তে নামায বলে। লোকসল্পতায় ইমাম ছাড়া একজন মুক্তাদী হলেও জামাআ'তে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায জামাআ'তের সাথে আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। সওয়াব ওয়াজিবের সমতুল্য। জুমুআ''র নামায ও দু'ঈদের নামায জামাআ'তের সাথে আদায় করা শর্ত। তারাবীত নামায, রমজানে বিতরের নামায, ইস্তিসকার নামায, সূর্য গ্রহণের নামায জামাতের সাথে আদায় করার সুন্নত।
জামায়াতে নামাজ পড়ার ফজিলত
জামায়াতে নামাজ পড়ার ফজিলত অনেক বেশি।আপনাদের এখন জানাবো হাদিসের আলোকে জামায়াতে নামাজ পড়ার ফজিলত সম্পর্কে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সব সময় জামাআ'তের সাথে নামায পড়তেন। একা নামাজ পড়া চেয়ে জামাআ'তে নামাজ পড়লে ২৫ গুন সওয়াব বেশি হয়। অন্য এক অন্যনায় আছে ২৭ গুন সওয়াব বেশি হয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায তাকবীরে তাহরিমার সাথে জামাআতে আদায় করবে তাকে আল্লাহ দুটি জিনিস হতে মুক্তি দান করবেন, (১)মুনাফিকী হতে রক্ষা করবে,(২)দোযখের আগুন হতে নাজাত দিবেন। " রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন "যে ব্যক্তি সর্বদা জামাআ'তের সাথে নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তা'আলা তাকে পাঁচটি নিয়ামত দান করবে যথা; (১) রিযিক বৃদ্ধি করবেন , (২) কবর আযাব হতে মুক্তি পাবে, (৩) ক্বিয়ামতের দিন আমলনামা ডান হাতে পাবে, (৪) বিদ্যুতের নেই পুলসিরাত পার হবে, (৫)বিনা হিসেবে বেহেশতে প্রবেশ করবে।"
এছাড়াও জামাতের নামাজে পড়ার ফজিলত আরো রয়েছে ,জামাআ'তে নামাজ পড়ার হেকমত ও ফায়দা সম্পর্কে প্রখ্যাত ওলামাদের অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু হযরত শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভীর পুংখানুপংখ ও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরছি।
এটাই সর্বৎকৃষ্ট ও সর্বোত্তম যে, কোন ইবাদতকে মুসলমান সমাজে এমনভাবে প্রচলিত ও ব্যাপক করে দেয়া, যেন তা একটি আবশ্যকীয় এবং কল্যাণকর ইবাদতে পরিণত হয় এবং পরে তা পরিত্যাগ করা মজ্জাগত অভ্যাস পরিত্যাগ করার ন্যায় অসম্ভব ও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে । ইসলামী শরীয়তে নামায সর্বাধিক মর্যাদা ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কাজেই নামাযকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও বিশেষ এহতেমামের সাথে আদায় করতে হবে। আর তা কেবল্মাত্র জামাআ'তে নামায পড়ার মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে।
সমাজে বিভিন্ন প্রকার লোক থাকে। আলেম থাকেন গায়রে আলেমও। সুতরাং এটা খুবই সঙ্গত যে, সকলে একত্রে মিলিত হয়ে অন্যে তা সংশোধন করে দিবে। আল্লাহ পাকের ইবাদাত যেন একটি অলংকার বিশেষ। পরীক্ষক (অভিজ্ঞ) পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে। তারা তাতে দোষ দেখলে বলে দেয়। আর যা ভালো তা পছন্দ করে । কাজেই একত্রে জামাআ'তে নামায পড়া নামাযকে পূর্ণাঙ্গ ও সুন্দর করার একটি উত্তম পন্থা।
যারা বেনামাযী তাদের অবস্থাও প্রকাশ হয়ে যাবে। এতে তাদের ওয়াজ নসীহত করারও সুযোগ ঘটবে।
কিছু মুসলমান একত্রিত হয়ে আল্লাহর ইবাদত করা এবং তার নিকট দুআ চাওয়া, আল্লাহর রহমত নাযিল হওয়া এবং দুআ' কবুল হওয়ার একটি আশ্চর্যজনক ব্যবস্থাপনা।
জামাআ'তের আরেকটি বিশেষ উপকারিতা হলো, সকল মুসলমান একে অপরের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে। একে অন্যের দুঃখ বেদনায় শরীক হতে পারবে। এতে ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য এবং ঈমানী ভালোবাসার পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ ও দৃঢ়তা সাধিত হবে, যা শরীয়তের একটি মহৎ উদ্দেশ্য। কুরআন ও হাদীস শরীফের বিভিন্ন স্থানে এর ফজীলত ও গুরুত্বের কথা বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে
জামায়াতে নামাজ পড়ার নিয়ম
জামায়াতে নামাজ পড়ার জন্য প্রথমে জানা জরুরি জামায়াতে নামাজ পড়ার নিয়ম। আপনাদের মধ্যে অনেকেই সঠিকভাবে জামায়াতে নামাজ পড়ার নিয়ম জানেন না। যারা সঠিকভাবে এখনো জামায়াতে নামাজ পড়ার নিয়ম জানেন না , তাদের উদ্দেশ্যে আলোচনা করছি সঠিকভাবে জামায়াতে নামাজ পড়ার নিয়ম। জামায়াতে নামাজে অংশগ্রহণের পূর্বে অবশ্যই জামায়াতে নামাজ পড়ার নিয়ম ভালোভাবে জেনে নিন।
নামাযের ওয়াক্ত হলে মুআজ্জিন বা অন্য কেও আযান দিবে।তারপর মুসল্লীগণ একত্রিত হয়ে মুয়াজ্জিন অথবা তাঁর অনুভূতি ক্রমে কেউ ইক্বামত বলবে। মুয়াযযিন 'হাইয়া আ'লাচ্ছালাহ' বললে সকলে কাতার সোজা হয়ে দাঁড়াবে, মুক্তাদি একজন হলে ইমামের ডান পাশে সামন্য একটু পেছনে দাঁড়াবে। মুক্তাদি ইমামের সামনে এগিয়ে গেলে তার নামাজ হবে না। মুক্তাদী একাধিক হলে ইমাম একা এক সেজদা পরিমাণ সামনে দাঁড়াবেন। ইমাম মসজিদের মেহরাবের ভেতরে ঢুকে দাঁড়াবেন। কমপক্ষে পায়ের এক চতুর্থাংশ বাইরে রেখে দাঁড়াবেন। মুক্তাদিগণ পিছনের কাতার দিয়ে দাঁড়াবেন।
কাতারের মাঝখানে বা সামনের কাতারে ফাঁকা রেখে দাঁড়াবে না। একজন মুক্তাদির নিয়ে নামাজ শুরু করার পর অন্য কোন মুক্তাদির নামাজের শামিল হলে ইমাম সামনে এগিয়ে যাবেন। অথবা মুক্তাদির পেছনে আসবে। কোন মুক্তাদি যদি দেখে কাতারে ফাঁক নাই, তাহলে কাতারের ডান হতে একজনকে টেনে এনে পেছনে নতুন কাতার করে দাঁড়াবে। ইক্বামত শেষ হলে ইমাম "আল্লাহু আকবার" বলে তাকবীরে তাহরীমা বাধঁবে। মুক্তাদীগণও সাথে সাথে তাকবীরে তাহরীমা বাধঁবে। ইমাম সানা, তায়াউজ, তাসমিয়া পড়ে ক্বিরাআ'ত শুরু করবেন। মুক্তাদীগণ শুধু ছানা পড়ে চুপ করে থাকবে।
ফজর, মাগরিব, এশা ও জুমুআ' হলে ইমাম ক্বিয়াত উচ্চস্বরে পড়বেন। সূরা ফাতিহা শেষ করে সকলের চুপ করে "আমিন" বলবে এরপর ইমাম অন্য সূরা বা আয়াত পড়বেন। ক্বিরাত শুরু হওয়ার পর কেউ জামাআ'তে শরিক হলে সানা পড়বে না। রুকু হতে ইমাম "সামিআল্লাহু লিমন হামিদা" বলে উঠলে মুক্তাদিগণ চুপে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলবে। মুক্তাদিগণ ইমামের অনুসরণ করবে। কোন কাজ ইমামের পূর্বে বা অতিরিক্ত করবে না। ক্বিরাআ'ত ছাড়া অন্যান্য দুয়ারসমূহ মুক্তাদী পড়বে। ইমাম ক্বিরাআ'তে ভুল পড়লে থেকে গেলে ভুলটা বলে দিবে এবং অন্য কোন ভুল করলে "আল্লাহু আকবার" বলে লোকমা দিবে ।
কেউ যদি সুন্নাত বা নফল পড়ে এমতাবস্থায় জামাআ'ত শুরু হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি প্রথম রাকাআ'তের রুকু না করে নামায ছেড়ে জামাআ'তে শরিক হবে। আর যদি রুকু করে থাকে তবে দু'রাকাআত শেষ করে জামাআ'তে শরীক হবে। যদি তৃতীয় রাকাআ'ত পড়া অবস্থায় জামাআ'ত শুরু হয় তবে, তৃতীয় রাকাআ'তের রুকুর না করে নামায ছেড়ে জামাআ'তে শরিক হবে। কিন্তু রুকু করে থাকলে চতুর্থ রাকাআ'ত শেষে জামাআ'তে শরিক হবে । অবশ্যই এই সুন্নত বা নফল পড়ে আদায় করতে হবে। ফজরের সময় এক রাকাআ'ত পাওয়ার সম্ভবনা থাকলেও সুন্নত আগে পড়ে নিবে। অন্যথায় সূর্যোদয়ের পরে সুন্নতের কাযা পড়বে।
জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি
পুরুষ মানুষদের জন্য প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ ,জুম্মার নামাজ এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এই দুই ঈদের নামাজ জামায়তের সাথে আদায় করা ফরজ। আর যদি কেউ এই ফরজ না মানে অর্থাৎ জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় না করে তাহলে তাকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। যারা জামায়াতে নামাজ আদায় করে না তাদেরকে জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি স্বরূপ নয়টি আজাবের মুখোমুখি হতে হবে।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি সম্পর্কে জানেন না এবং জামায়াতে নামাজের বিষয়টি হালকাভাবে দেখেন , তাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি সম্পর্কে। যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে নিচে দেয়া হলো জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি স্বরুপ যে নয়টি শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে সেগুলো।
জামাআ'ত তরককারী ৯টি আযাবে পতিত হবে: (১) রিযিকে বরকত পাবে না। (২) মুখমণ্ডল হতে নূরের জ্যোতি উঠে যাবে। (৩) মানুষ তাকে ভালবাসবে না। (৪) মুনকীর নাকীরের সওয়াল জবাব কঠিন হবে। (৫) কবর অন্ধকার হবে। (৬) কবর সংকীর্ণ হবে। (৭) কেয়ামতের দিন কঠিনভাবে হিসাব নেওয়া হবে। (৮) কিয়ামতের মাঠে ঘাম বেশি হবে। (৯) পুলসিরাত পার হতে কষ্ট হবে।
জামাআ'ত ওয়াজিব হওয়ার শর্তসমূহ
(১) পুরুষ হওয়া; মেয়েলোকের উপর জামাআ'ত ওয়াজিব নয়। (২) বালেগ হওয়া; নাবালেগের উপর জামাআ'ত ওয়াজিব নয়। (৩) বোধসম্পন্ন হওয়া, মাতাল, পাগল বেহুশের ওপর জামাআ'ত ওয়াজিব নয়। (৪) স্বাধীন হওয়া; ক্রীতদাসের ওপর জামাআ'ত ওয়াজিব নয়। (৫) যাবতীয় ওজর থেকে মুক্ত হওয়া; মাযূরের ওপর জামাআ'ত ওয়াজিব নয়। তবে তাদের জন্য জামাআ'তে নামাজ পড়া উত্তম। কেননা জামাতে নামাজ না পড়লে জামাআ'তের সওয়াব থেকে মাহরুম থাকবে।
যে সমস্ত কারণে জামাআ'ত পরিত্যাগ করা যায়
ইসলাম ধর্ম অবতীর্ণ হয়েছে মানুষকে সহজ সরল পথ দেখানোর জন্য। এবং ইসলাম কখনোই মানুষের ক্ষতি করেনা। ইসলাম ধর্মে আল্লাহ পাক মানুষের মঙ্গলের জন্য এবং মানুষের জীবন যাপন সহজ করার জন্য সব কিছুরই বিধান রেখেছেন জামায়াতের বিষয়টিও এর বাইরে নয়। এমন কোন বিষয় বা পরিস্থিতি আছে যেগুলো সম্মুখীন হলে জামায়তে নামাজ আদায় না করলে এর জন্য কোন গুনাহ হয় না। তবে তার আগে আপনাদের জেনে নিতে হবে যে সমস্ত কারণে জামাআ'ত পরিত্যাগ করা যায় সেই বিষয় গুলো। সমস্ত কারণে জামাআ'ত পরিত্যাগ করা যায় , সেই কারণ গুলো নিচে একে একে তুলে ধরা হলো-
(১) সতর ঢাকার কাপড় না থাকা। (২) মুষলধারে বৃষ্টিপাত ও ঝড় হওয়া। (৩) প্রচন্ড শীত পড়া। (৪) জামাআ'তে গেলে চুরির আশঙ্কা থাকা। (৫) শত্রুর ভয় থাকা। (৬) অন্ধকারের মধ্যে চলার জন্য আলোর ব্যবস্থা না থাকা। (৭) রোগীর সেবাকারী। (৮) পেশাব পায়খানা বেশি বেগ হলে। (৯) অসুস্থ হলে। (১০) জামাআ'তে গেলে যদি সঙ্গী হারানোর ভয় থাকে ইত্যাদি কারণে জামাআ'ত তরক করা যায়।
মন্তব্য , আশা করছি পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার মাধ্যমে আপনারা জামায়াতে নামাজ পড়ার নিয়ম এবং জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি এই বিষয়ে দুটি বিস্তারিত ভাবে জানার পাশাপাশি জেনে নিয়েছেন জামায়াত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যগুলো। জামায়াতে নামাজ আদায় না করলে যেহেতু কঠিন শাস্তির মুখোমুখ হতে হবে তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখে আজ থেকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ জামাতের সাথে আদায়ের চেষ্টা করুন। আল্লাহ পাক সকলকে জুম্মা সহ প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ জামাতের সাথে আদায় করার তৌফিক দান করুন (আমিন)।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url