টিউমার চেনার উপায় - কি খেলে টিউমার ভালো হয়
টিউমার নামক রোগটির সাথে আপনারা অনেকে হয়তো অপরিচিত হয়ে থাকবেন এবং অনেকেই জানেন এই টিউমারকে যদি শুরু থেকে গুরুত্ব দেওয়া না হয় তাহলে এর থেকে সৃষ্টি হতে পারে মরণব্যাধি রোগ ক্যান্সার। তাই টিউমার সম্পর্কে সচেতন করার জন্য আজকে আপনাদের জানাবো টিউমার চেনার উপায় এবং কি খেলে টিউমার ভালো হয় এই বিষয়গুলো, কেননা টিউমার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে প্রতিবছর প্রায় সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারের ঝুঁকিতে পড়ছেন এবং মৃত্যুবরণ করছেন।
ক্যান্সারের প্রাথমিক রূপ বলা যেতে পারে এই টিউমার তাই অবশ্যই শরীরে টিউমার দেখা দিলে এর ব্যাপারে সচেতন হোন এবং সঠিক সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আর টিউমার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখার জন্য এবং সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাদের অবশ্যই টিউমার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত তাই আজকে আপনাদের এই পোস্টের মাধ্যমে টিউমার চেনার উপায় , কি খেলে টিউমার ভালো হয় , টিউমার হলে করণীয় , টিউমার কি ব্যথা হয় এবং টিউমার কোথায় কোথায় হয় এই বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জানাবো।টিউমার সম্পর্কে এই সকল গুরুত্বপুর্ণ বিষয়গুলো জানাতে আজকের পুরো পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পড়ুনসূচিপত্রঃটিউমার চেনার উপায় - কি খেলে টিউমার ভালো হয়
- টিউমার কোথায় কোথায় হয়
- টিউমার চেনার উপায়
- কি খেলে টিউমার ভালো হয়
- টিউমার কি ব্যথা হয়
- টিউমার হলে করণীয়
টিউমার কোথায় কোথায় হয়
টিউমার কথাটার সাথে আমরা প্রায় সকলেই কম বেশি পরিচিত,তবে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে টিউমার কোথায় কোথায় হয়।তাই আজকে আপনাদের জানাবো টিউমার কোথায় কোথায় হয় বা হতে পারে।টিউমার হওয়ার কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই , শরীরের যেকোন অংশ বা জায়গাতেই টিউমার হতে পারে এবং হতে দেখা যায়।টিউমার শরীরের যেকোন জায়গায় হলেও বেশি কিছু জায়গা আছে যাখানে টিউমার হলে সেখান জটিল রোগ সম্ভবনা থাকে যেমন- ব্রেন টিউমার , স্তন টিউমার , জরায়ু টিউমার ,পিত্তথলি টিউমার, মেরুদন্ডে টিউমার , লিভার টিউমার, চোয়ালে টিউমার, পেটে টিউমার ইত্যাদি। কিছু কিছু টিউমার আমরা হাত দিয়ে অনুভব করতে পারি আর যে টিউমার শরীরের অভ্যন্তরে থাকে সেগুলোকে দেখা বা বোঝা যায়না বলে অনেক সময় এর চিকিৎসা নিতেও দেরী হয়ে যায়।
টিউমার চেনার উপায়
টিউমার চেনার উপায় গুলো জেনে রাখা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি কেননা টিউমার শরীরের বিভিন্ন অংশে হতে পারে কিছু কিছু টিউমার চামড়ার নিচে এবং মাংসপেশীর উপরের অংশে হয়ে থাকে যেগুলো আমরা খালি চোখে বা স্পর্শ করার মাধ্যমে অনুভব করতে পারি কিন্তু যে সব টিউমার শরীরের অভ্যন্তরে বাসা বাঁধে সেগুলো আমাদের খালি চোখে দেখা সম্ভব হয়ে ওঠেনা সে ক্ষেত্রে টিউমার চেনার উপায় তার লক্ষণ গুলোর সাহায্যেই প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করতে হয়।
আপনারা অনেকেই জানেন সব ধরনের টিউমার ক্ষতিকর না হলেও বিশেষ কিছু টিউমার থেকে ক্যান্সারের ঝুকি বা সম্ভাবনা থাকে তাই সঠিক সময়ে টিউমারের চিকিৎসা শুরু করার জন্য আমাদের অবশ্যই জানা উচিত টিউমার চেনার উপায় গুলো।শরীরের কোন নির্দিষ্ট স্থানের অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধিকে টিউমার বলা হয় ।শরীরের স্থানভেদে টিউমারের সিমটমগুলো আলাদা আলাদা হয়ে থাকে, তাই আজকে আপনাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানের টিউমার চেনার উপায় গুলো আলাদাভাবে জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বিভিন্ন স্থানের টিউমার গুলো চেনার উপায় জেনে নেয়া যাক।
ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়ঃ ব্রেস্ট ক্যান্সার বা ব্রেস্ট টিউমার বর্তমানে মেয়েদের একটি কমন রোগে পরিণত হয়েছে।ব্রেস্ট টিউমার এর কারণে যে সকল লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় সেগুলো হল- স্তনে ফুসকুড়ি বা র্যেশ দেখা দেওয়া, স্তন ফুলে যাওয়া , অনেক সময় স্তনে গোল গোল মাংসপিণ্ড অনুভব করা, স্তনের বোঁটার চারপাশে চুলকানী এবং স্তন ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি।
জরায়ু টিউমার চেনার উপায়ঃ অনেক সময় জরায়ু টিউমারের কোন লক্ষণ প্রকাশ পাই না, তাই জরায়ু সংক্রান্ত কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।জরায়ু টিউমার হলে যে সমস্যাটি বিশেষভাবে লক্ষ করা যায় সেটি হলো মাসিকের সমস্যা ,বেশিরভাগ সময় অনিয়মিত মাসিক বা মাসিকের পরিমান কম বেশি হওয়া , মাসিকের সময় প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হওয়া, তলপেটে ব্যথা , কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ,প্রায় প্রায় প্রসাবের চাপ আসা, সহবাসের সময় ব্যথা অনুভন করা ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে জরায়ু টিউমারের ক্ষেত্রে।
ব্রেন টিউমার চেনার উপায়ঃ ব্রেন টিউমার অত্যন্ত জটিল এবং মারাত্মক একটি রোগ। যেকোনো বয়সী মানুষ আক্রান্ত হতে পারে, ব্রেন টিউমারের প্রধান লক্ষণ হল মাথাব্যথা। তবে মাথা ব্যাথার পাশাপাশি আরো কিছু উপসর্গ এই রোগের ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়ে থাকে যেমন চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া , বমি বমি ভাব , দুর্বলতা , খিঁচু্নি, ওজন ও ক্ষুধা কম যাওয়া ইত্যাদি।
পেটে টিউমার চেনের উপায়ঃ পেটে টিউমার হলে মূলত পেট ব্যথার সমস্যা হয়ে থাকে , পেটে ব্যথাকে গুরুত্ব না দেয়ার কারনে অনেক সময় পেটের টিউমারের চিকিৎসা করাতে অনেক দেরী হয়ে যায়। পেটে টিউমার হলে পেট ব্যথার পাশাপাশি বমি ভাব , কালো রঙের পায়খানা , প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়া, পেটের ভেতর শক্তকিছু অনুভব হয়ে থাকে ,পেট ফুএ যাওয়া,।
গলায় টিউমার চেনার উপায়ঃ গলা ব্যথাকে আমরা খুবই সাধারন মনেকরে থাকি।আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারনা শুধু ঠান্ডা লাগার কারণে গলা ব্যথা হয় , কিন্তু আপনি জানেন কি গলা ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে গলার টিউমার ।গলায় টিউমার হলে গলা ব্যথার পাশাপাশি অসুবিধা হওয়া , গলার ভিতরে কিছু একটা আটকে আছে মোনে হওয়া, ঢোক গিলতে এবং খাবার খেতে অসুবিধা হওয়া , গলার স্বরের পরিবর্তন আশা , কাশি এবং কাশির সাথে অনেক সময় রক্ত যাওয়া।
লিভার টিউমার চেনার উপায়ঃ লিভার আমাদের শরীরের একটি বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্গান। লিভার টিউমারে আক্রান্ত হলে পেটের ডান দিকে রোপনের অংশে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি লিভার শক্ত এবং বড় হওয়া, শরীরে ক্লান্তি অনুভব করা , ওজন কমে যাওয়া , ক্ষুধা কমে যাওয়া , পা -পেট ফুলে যাওয়া , ত্বক ফ্যকাশে বা হলুদ হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
কিডনি টিউমার চেনার উপায়ঃ কিডনি টিউমারের প্রধান লক্ষন হলো পিঠের নিচের অংশে ব্যথা ও ফোলা ছাড়াও প্রসাবে রক্ত যাওয়া , ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তি লাগা ,ইত্যাদি।
মেরুদন্ডের টিউমার চেনার উপায়ঃ মেরুদন্ডের ভেতঅরে থাকা স্পাইনাল কর্ড এর টিউমারকে মূলত মেরুদন্ডের টিউমার বলে।মেরুদন্ডে টিউমার হলে চলাফেরা ,উঠাবসা করতে সমস্যা ,পিঠে ব্যথা , অন্ত্রের কার্যক্ষমতা এবং মূত্রাশয়ের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, হঠাৎ হাত-পা অবশের মত অনুভূতি হওয়া
কি খেলে টিউমার ভালো হয়
যদিও সব টিউমার মারাক্তত হয় না তার পরেও যেকোন ধরনের টিউমার সম্পর্কেই আমাদের সচেতন থাকা উচিত ।কিছু খাবার আছে যে খাবারগুলো খেলে টিউমার ভালো হয়, আজ আপনাদের জানাবো কি খেলে টিউমার ভালো সেই খাবার গুলোর নাম। আপনা দের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কি খেলে টিউমার ভালো হয় এই প্রশ্নের উত্তরটি ,তাই চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কি খেলে টিউমার ভালো হয় সে খাবারগুলো সম্পর্কে।
মসলা জাতীয় খাবারঃ মসলা জাতীয় খাবার গুলোর ভেতরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ তাই এই খাবারগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের টিউমার সারাতেও অবদান রাখতে পারে। তাই টিউমার ভালো করার জন্য বিভিন্ন খাবারের পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় মশলা জাতীয় দ্রব্যগুলো যুক্ত করতে পারেন ,এই মসলা জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে টিউমার সারাতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে -রসুন , আদা , হলুদ
মাশরুমঃ আপনারা জানেন মাশরুম খুবিই পুষ্টিকর খাবার।মাশরুমের ভেতরে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো টিউমার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে।তই টিউমার থেকে শরীরকে মুক্ত রাখতে এবং টিউমার ভালো করতে খাদ্য তালিকায় নির্দিষ্ট পরিমানে মাশরুম রাখুন।
আরো পড়ুনঃ হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার ১৫ টি কারণ
গ্রীন টি এবং চাঃ গ্রীন টি বা চা পানের অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে ,কিন্তু আপনি জানেন কি গ্রীন টি এবং চা টিউমার ভালো করার ক্ষেত্রেও সাহায্য করতে পারে।কেননা গ্রীন টি এবং চা এর মধ্যে থাকা উপাদান গুলো শরীরের এন্টি অক্সিডেন্ট বাড়াতে সাহায্য করে।
মাছঃ টিউমার ভালো করার জন্য খেতে পারেন মাছ ,কারন মাছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ,মিনারেল এবং ওমেগা ৩ যা ক্যন্সার এবং টিউমার রোধ করতে সাহায্য করে।
দুগ্ধজাত খাবার এবং দইঃ দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার গুলোর মধ্যে থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন , ক্যালসিয়াম সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকি , যে পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের শরীরের চাহিদা মিটিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। দুধ ,দুগ্ধজাত খাবার এবং দই এ জাতীয় খাবার গুলো শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নয় টিউমার ভালো করার ক্ষেত্রেও সাহায্য করতে পারে।
টমেটোঃ টিউমার ভালো করার আরেকটি আদর্শ খাবার হতে পারে টমেটো। কারণ টমেটোর ভেতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং লাইকোপিন জাতীয় উপাদান যা ক্যান্সার এবং টিউমার প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে থাকে। লাইকোপিন নামক উপাদান থাকায় যাদের প্রস্টেট এর সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে টমেটো।
ভিটামিন সি জাতীয় খাবারঃ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারলে এই খাবারগুলো টিউমার ভালো করতে সাহায্য করবে। তাই টিউমার ভালো করতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন ভিটামিন বি জাতীয় খাবার এর মধ্যে রাখতে পারেন লেবু , কমলা , মালটা, জাম্বুরা ইত্যাদি ভিটামিন সি জাতীয় ফলগুলো
টাটকা সবুজ শাক সব্জিঃটাটকা সবুজ শাক সব্জি টিউমার সারাতে বিশেষ সাহায্য করে থাকে। তাই টিউমার ভালো করতে হলে বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। বিশেষ করে ব্রকলি , সিম , পালং শাক , লেটুস পাতা এই সবজিগুলো আপনার টিউমার ভালো করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
টিউমার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে ,তাহলে বেশ কিছু খাবার খাওয়ার মাধ্যকে সারিয়ে তোলা যায় ,কিন্তু যদি টিউমার ক্রনিক পর্যায়ে চলে যায় তাহলে সে ক্ষেত্র এই খাবার গুলো খুব একটা কাজ করে না।
টিউমার কি ব্যথা হয়
আপনারা অনেকেই বিভিন্ন সময় জানতে চেয়ে থাকেন টিউমার কি ব্যথা হয় ,এই প্রশ্নটি।তাই এখন আপনাদের সাথে আলচনা করবো টিউমার কি ব্যথা হয় এ বিষয়টি নিয়ে,তাহলে চলুন এবার জেনে নেয়া যাক টিউমার কি ব্যথা হয় ।আপনারা জানেন টিউমার ছোট বড় বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে টিউমার হয়।টিউমারের মধ্যেও আবার দুইটি ধরন আছে যেমন- বেনাইন টিউমার এবং ম্যালিগন্যান্ট টিউমার এবং এই টিউমার গুলো ব্যথাহীন ও ব্যথাযুক্ত দুই ধরনেরই হয়ে থাকে।তবে সব ধরনের টিউমার ক্ষতির কারন না হলেও ,শরীরে টিউমার দেখা দিলে সেটির ব্যপারে নিশ্চিন্ত হয়ে না থেকে সাবধান হওয়াই ভালো।
টিউমার হলে করণীয়
টিউমার হলে করণীয় বিষয় সম্পর্কে এবার আপনাদের জানাব। কারন টিউমার হলে করণীয় গুলো জানা না থাকার কারনে অনেক সময় প্রয়জনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করার কারণে টিউমার রুপনেয় ক্যন্সারে।তাই চলুন দেরি না করে টিউমার হলে করণীয় বিষয় গুলো জেনে নেয়া যাক।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণঃ নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ফলে আমরা অনেকাংশেই
টিউমারকে প্রতিরোধ করতে পারি, তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার
নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য তালিকা প্রস্তুতের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে
খাবারগুলো আমরা গ্রহণ করছি সেই খাবারগুলোর মধ্যে থেকে যেন সকল ধরনের পুষ্টি
উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ফলে শরীর তার
প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারবে এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ
হলে তবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে টিউমারসহ অন্যান্য
অসুখ-বিসুখ দূর হবে।
স্বাস্থ্যসম্মত এবং টাটকা খাবার গ্রহণ করাঃ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার
পাশাপাশি আমাদেরকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই সময় বাঁচাতে অথবা ব্যস্ততার কারণে বাজারের
বিভিন্ন কৌটাজাতকরণ খাবার বা প্রসেস ফুডের উপরে বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে
কিন্তু এই জাতীয় খাবার গুলোর ভেতরে প্রিজারভেটিভ , কৃত্রিম রং এবং দীর্ঘদিন ভালো
রাখার জন্য যেসব কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় সেগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক
এবং এই কেমিক্যাল গুলো টিউমার এবং ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য অনেক অংশে দায়ী তাই এ
ধরনের খাবারগুলো অবশ্যই আমাদের বর্জন করে চলতে হবে। শুধু বাজারের প্রসেসফুডই
নয় এর সাথে সাথে অতিরিক্ত তেল , চর্বি ,মশলা , ঝাল যুক্ত খাবার এবং বাইরে
ভাজাপোড়া খাবার গুলো পরিহার করতে হবে।
ভিটামিন সি জাতীয় ফল ও সবজি গ্রহণ করাঃ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো
আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ সাহায্য করে এবং
ভিটামিন সি জাতীয় ফল ও সবজিগুলো গ্রহণের মাধ্যমে এর থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে
এন্টিঅক্সিডেন্ট পেয়ে থাকে যা টিউমার এবং ক্যান্সারের সেল ডেমেজ করতে সহায়তা
করে। তাই শরীরে টিউমার দেখা দিলে অবশ্যই ভিটামিন সি জাতীয় ফল ও সবজি গুলো বেশি
বেশি গ্রহণ করা উচিত।
তামাক জাতীয় দ্রব্য পরিহার করাঃ আমাদের শরীরে টিউমার বা ক্যান্সারের
আরেকটি প্রধান কারণ হলো তামাক সেবন।তাই সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই তামাক বা
তামাক সেবন থেকে দূরে থাকতে হবে। তামাক এর ধোয়া শুধু তামাক সেবনকারীর জন্যই
নয় এর আশেপাশে থাকা সকল ধরনের ব্যক্তির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মিঃ সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি আমাদের শরীরের
জন্য খুবই ক্ষতিকর বিশেষ করে যাদের টিউমারের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই কারণে
টিউমারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সূর্যের এই আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির থেকে দূরে
থাকায় বেটার কেননা এই রশ্মির কারণে টিউমারের সমস্যা বা এর জটিলতা বেড়ে যেতে
পারে।
আরো পড়ুনঃ হার্ট ভালো রাখার উপায়
ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াঃ শরীরের কোন স্থানে টিউমার আক্রান্ত হলে এর
ব্যাপারে অবহেলা না করে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা ও নিরীক্ষার মাধ্যমে
নিশ্চিত হওয়া যে এই টিউমারের ভেতরে ক্যান্সারের সেল রয়েছে কিনা।টিউমার হলে
অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক কেমোথেরাপি , রেডিয়েশন থেরাপি , ইমিউনো
থেরাপি অথবা সার্জারি মাধ্যমে চিকিৎসা করানো
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url