স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির ১২টি বিশেষ উপায় - স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম
আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় নেই কেননা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ব্যাপারটি অত্যন্ত সেনসিটি এবং আমাদের জীবনের পড়াশোনা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আজকে আপনাদেরকে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম এই বিষয় দুটির ওপর বিস্তারিতভাবে জানাবো। আর আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির ১২টি বিশেষ উপায় সম্পর্কে।
আপনাদের শিক্ষা জীবন , সাংসারিক জীবন , অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজে যদি দক্ষতার সাথে অবদান রাখতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকা ভালো রাখার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। কেননা আপনার স্মৃতিশক্তি যদি গ্রহণ না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে হয়তো বা আপনি আপনার সিডিউল কাজ গুলো পর্যায়ক্রমে ভালোভাবে করতে পারবেন না এবং সে ক্ষেত্রে আপনাকে পড়তে হবে বিভিন্ন ধরনের বিলম্ব না এছাড়াও স্মৃতিশক্তি যদি ভালো না থাকে তাহলে বিভিন্ন পরীক্ষার রেজাল্টেও ভালো কোন ফল আশা করা যায় না। তাই আপনাদেরকে জানতে হবে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। আর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির এই প্রয়োজনীয়তাটি অনুভব করতে পেরে আজকে আপনাদেরকে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির ১২টি বিশেষ উপায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাবো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায়
এবার আপনাদেরকে জানাবো স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। জীবনের চলার পথে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় মনে রাখার জন্য স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় গুলো জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কেননা এই বিষয়টি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুলো সহজে মনে রাখতে পারবেন এবং সাংসারিক জীবন এবং কর্মক্ষেত্র প্রতিটি স্থানে আপনি উন্নতি লাভ করতে পারবেন। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মনে রাখতে না পারা বিষয়টি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক তাই এখন আপনাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানাবো। অনেকেই হয়তো জানেন না স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় হিসেবে আপনার সামান্য একটু প্রচেষ্টা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে তাই চলুন আজকের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক, এখন আপনাদের জানাবো স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির ১২টি বিশেষ উপায়।
ফিজিক্যাল এক্সারসাইজঃ আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ কার্যকরী একটি উপায় হল ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ বা শরীর চর্চা। নিয়মিত শরীর চর্চা করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় আর শরীরচর্চা যে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কাজে লাগে এটি শুধু আমাদের মনগড়া কথা নয়, এ ব্যাপারে গবেষকরা বিভিন্ন ধরনের গবেষণার পরে এই মতামত জানিয়েছেন। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে যে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করলে মানুষের স্মৃতি শক্তি অনেকটা বেড়ে যায়। নিয়মিত শরীরচর্চার উপকারিতা হলো এর ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় , মানসিক চাপ কম হয়। এছাড়াও নিয়মিত শরীর চর্চা করলে কনফিডেন্স লেভেল অনেক বেড়ে যায় আর এই সকল বিষয়গুলো আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিও প্রভাব বিস্তার করে।
হাটাহাটি করাঃ হাটাহাটি করার মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব। হাটাহাটির উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা মোটামুটি জানলে , হাটাহাটি যে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কাজ করে এ বিষয়টি হয়তো অনেকেরই জানা ছিল না। হাটাহাটি করলে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং যার ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে এটি আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করাঃ আপনি যদি আপনার মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে চান অথবা আপনার মনে রাখার ক্ষমতা বা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে। কেননা আপনি যদি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন এবং পুষ্টির অভাবে আপনার মস্তিষ্ক দিন দিন এর কার্যকারিতা হারাতে থাকবে , আর যার ফলে দেখা যাবে মেমোরির লস হওয়ার মতন সমস্যা। তাই আপনি যদি আপনার মস্তিষ্ককে সচল রাখতে চান বা স্মৃতি শক্তি বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর খাবার খাওয়া ঃ এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে যেমন -বাদাম , ডাল চকলেট , ব্লু বেরি ইত্যাদি এই জাতীয় আরো খাবার। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি আপনাকে স্মৃতিশক্তির বাড়ানোর খাবার গুলোর নাম জেনে সেই খাবারগুলো দৈনিক খাদ্য তালিকায় যুক্ত রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুমানো ঃ শরীর , মন এবং মস্তিষ্ক ভালো রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই। ঘুম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মানসিক চাপ কমাতে , ক্লান্তি দূর করতে , স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে এবং মেন্টালি ফ্রেশ থাক থাকতে সাহায্য করে ।
দুপুরের সামান্য ঘুমানোঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে দুপুরের সামান্য ঘুম অথবা বিশ্রাম আপনার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কেননা দুপুরে যদি সামান্য বিশ্রাম ঘুমানো না হয় আমাদের মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে , তাই মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করার জন্য উপরে সামান্য বিশ্রাম বা ঘুম এই ঘুমটির স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
ঘুমানোর সময় মোবাইল ল্যাপটপ দূরে রাখুনঃ আমাদের মধ্যে অনেকেরই অভ্যাস আছে রাতে বিছানায় শোবার পরে কিছুক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সেটি মাথার কাছে রেখেই ঘুমিয়ে পড়ার , এই অভ্যাসটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যুবক যুবতী বয়সে ছেলে মেয়েদের বেশি দেখা যায় কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার এই অভ্যাসটি কতটা ক্ষতিকর ? রাতে মোবাইল ফোন মাথার কাছে নিয়ে ঘুমালে এর রেডিয়েশনের কারণে কতবার এর ভেতর থেকে নির্গত হওয়া গ্যাসের কারণে ব্রেন স্ট্রোক , ব্রেন ক্যান্সার সহ মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যা এবং স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার মতন সমস্যাও দেখা যায়। তাই আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে ঘুমানোর সময় মোবাইল ল্যাপটপ মাথার কাছে থেকে অন্ততপক্ষে ৩ মিটার দূরে রাখুন এবং এই ধরনের ডিভাইস গুলো পারোতোপক্ষে জানালা বা খোলা জায়গার পাশে রাখার চেষ্টা করুন।
পায়ের তালু এবং আঙ্গুল ম্যাসাজ করুনঃ স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করার বিশেষ আরেকটি উপায় হল পায়ের আঙ্গুল এবং পায়ের তালু মাসাজ করা। পায়ের তালু এবং আঙুল হল নিয়মিত মাসাজ করলে এটি আমাদের সম্পূর্ণ শরীর সহ মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ক্রিয়েটিভ জিনিস নিয়ে চিন্তাভাবনা করুনঃ আপনারা হয়তো সবাই একটি বিষয় জানেন আর বিষয়টি হলো যে যে বিষয়টি নিয়ে বেশি গবেষণা বা সার্চ করবে সে বিষয়ে তার জ্ঞান বাড়তে থাকবে এবং সে ওই বিষয়টিতে দক্ষ বা পারদর্শী হয়ে উঠবে। তাই আপনি যদি প্রতিদিন এক বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা না করে বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে থাকেন অথবা কোন কিছু তৈরি বা আবিষ্কারের পরে সেই বস্তুটিকে আরো আপডেট করার বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন তাহলে আপনার মেমোরি একটিভ থাকবে এবং সে ক্ষেত্রে আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়বে বইকি কমবে না। আর আপনি যদি ক্রিয়েটিভ বিষয়গুলো চিন্তাভাবনা না করে সব সময় অলস জীবন যাপন করেন সে ক্ষেত্রে আপনার মেমোরি ধীরে ধীরে তার কার্যকারিতা হারাতে থাকবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ক্রিয়েটিভ কিছু নিয়ে চিন্তাভাবনা করাও স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির আরেকটি উপায়।
মেন্টাল রিফ্রেশমেন্টের জন্য ব্যবস্থা করুন ঃ যদিও পড়াশোনা থেকে শুরু করে সাংসারিক অথবা অফিসিয়াল দৈনিক প্রত্যেকটি কাজের নির্দিষ্ট একটি রুটিন থাকা দরকার কিন্তু তারপরেও প্রতিনিয়ত যদি এইরকম রুটিন মাফিক কর্মব্যস্ত জীবনের মধ্যে ডুবে থাকা যায় তাহলে শরীর , মন , মস্তিষ্কে সবই ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং ক্রিয়েটিভ চিন্তা , স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার ক্ষমতা সবই কমতে থাকে কেননা এইরকম ভাবে চলতে থাকলে জীবন যাপনের উপরে একটা একঘেয়েমি ভাব চলে আসে আর এই কারণে মাঝে মাঝেই মেন্টাল রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য রুটিন ব্রেক করে কিছুটা সময় বের করা উচিত এবং এই সময়টি নিজের পছন্দের মতন কাজ করার মাধ্যমে কাটানো উচিত হতে পারে সেই কাজটি বাগান করা , বই পড়া , ভ্রমণ করা , বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া ইত্যাদি। এতে একঘেয়েমি ভাব দূর হয় , মানসিক চাপ কমে এবং মেন্টালের রিপ্লেসমেন্ট হয়। আর মেন্টালি রিফ্রেশমেন্ট এর কারণে আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো নতুনভাবে উদ্দীপিত হওয়ার সুযোগ পাই এবং এর ফলে মনে রাখার ক্ষমতা অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
চুইংগাম চিবানোঃশুনতে বেশ কিছুটা অবাক করার মতন হলেও এই কথাটি গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত যে , চুইংগাম চিবানো স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কিছু সংখ্যক মানুষের ওপরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে চুইংগাম চিবানোর সময় মেমরি অনেক একটিভ থাকে এবং এই সময় কোন কিছু শিখলে খুব সহজে সেটি মনে রাখা যায়। তাই আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এবং নতুন কিছু শেখার সময় চুইংগাম চিবান কারণ এতে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে , যার ফলে আপনি খুব সহজে শিক্ষনীয় বিষয়টি মনে রাখতে পারবেন
মেডিটেশনঃ মেডিটেশন বা মনঃসংযোগ। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর আরেকটি কার্যকরী উপায় মনে করা হয় মেডিটেশনকে। সাধারণত মনের ব্যায়াম কে মেডিটেশন বলা হয়। স্মৃতি ধরে রাখার ক্ষমতা যে বৃদ্ধি করে মেডিটেশন এবং একাগ্র চিত্তে কোন কিছু চিন্তা ভাবনা বা আয়ত্তে আনার জন্য মেডিটেশন পদ্ধতিটি বহুকাল আগে থেকে প্রচলিত। তবে আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রেই মেডিটেশন এর ব্যাপারে ইসলাম কি বলে বা ইসলামের মেডিটেশন জায়েজ কিনা সেই বিষয়টি প্রথমে ক্লিয়ার ভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম
ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই-বোন শিক্ষার্থীদের জন্য আজকে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম এই বিষয়েও কিছু টিপস জানাবো ,এবং পোস্টের এই অংশটি পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে ইসলামিক উপায়ে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা যায় সেই সম্পর্কে। আপনারা জানেন কুরআন এবং হাদিসে মধ্যে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সকল আর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়ও এর বাইরে নয়। আপনারা অনেকেই হয়তো স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম সম্পর্কে জানেন না। তাই আজকে আপনাদেরকে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম সম্পর্কে জানাবো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম নামক এই অংশটি করে ফেলা যাক এবং ইসলামিকভাবে স্মরণশক্তির বৃদ্ধির উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক। স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির ইসলামিক উপায় গুলো হলো,
দোয়াঃ ইসলামিক ভাবে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কয়েকটি দোয়া রয়েছে এই দোয়াগুলো নিয়মিত আমলের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি এবং এলোম বৃদ্ধি করা যায়। তাই স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য কুরআন এবং হাদিসের আলোকে পাওয়া এই দোয়াগুলো জেনে নিয়ে বেশি বেশি আমল করার মাধ্যমে ইসলামিক ভাবে আপনি মেমোরি বৃদ্ধি করতে পারেন।
জিকিরঃ দোয়া ছাড়াও ইসলামিক ভাবে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করতে পারেন। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ পাক সূরা কাহাফ এর মধ্যে ২৪ নম্বর আয়াতে বলেছেন - যখন ভুলে যাও , তখন বেশি বেশি তোমার প্রতিপালকের জিকির করতে থাক। তাই আমাদের সকলের উচিত স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করা এবং আল্লাহর জিকির হিসেবে যত বেশি পারা যায় সুবহানাল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ , আল্লাহু আকবার , লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এই তাসবীহগুলো পড়া উচিত।
যে কোন প্রকার পাপ থেকে দূরে থাকাঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে যে কোন সাহায্য বা ইসলামিক ভাবে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি সুফল পাওয়ার জন্য দোয়া এবং জিকিরের পাশাপাশি আরো যে কাজটি করা অত্যন্ত জরুরী সেটি হল সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে দূরে থাকা। পাপ কাজ মানুষকে ভেতর থেকে কলুষিত করে তোলে যার ফলে স্মৃতিশক্তি দিন দিন লোপ পেতে থাকে।
নামাজ আদায় করাঃ আপনারা জানেন নামাজ হলো সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত কিন্তু নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর হুকুম পালন করা ছাড়াও অনেক শারীরিক উপকারিতা ও পেয়ে থাকি। ইবাদত ছাড়াও নামাজ হলো এক ধরনের শারীরিক ব্যায়াম এবং এই নামাজের প্রত্যেকটি পদক্ষেপে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী কিছু দিক। যেমন আমরা যখন সেজদা করি তখন আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহিত হয় এবং রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় আর এর ফলে বাড়ে আমাদের স্মৃতিশক্তিও। তাই আমরা যদি বেশি বেশি নামাজ অথবা সেজদা করি তাহলে এটি আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও বিশেষ সহায়ক হবে।
চর্চা করাঃ আল্লাহ পাক আমাদের ভাগ্যে অনেক কিছুই পূর্ব থেকে নির্ধারণ করে রেখেছেন আবার অনেক কিছু রেখেছেন যেগুলো আমরা নিজেদের প্রচেষ্টা এবং সাথে দোয়ার মাধ্যমে পরিবর্তন করে নিতে পারি আর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিও কিছুটা এইরকম। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য কেবল দোয়া বা জিকিরের উপরে নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলেই চলবে না এর জন্য আমাদের পাশাপাশি প্রচেষ্টাও চালাতে হবে। যেমন আমরা যদি কোন কিছু শিখতে চাই বা মনে রাখতে চাই তাহলে এই বিষয়টি আমাদেরকে বারবার প্রচেষ্টার মাধ্যমে চর্চার ভেতরে নিয়ে আসতে হবে আমরা যখন আমাদের কাঙ্খিত বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াস ভাবে চিন্তা ভাবনা করি এবং নিষ্ঠার সাথে প্রতিষ্ঠা চালিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আল্লাহ পাক আমাদের সাহায্য করবেন। আশা করি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
মন্তব্য , আজকে আপনাদেরকে সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির ১২টি বিশেষ উপায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম এই বিষয়ে দুটির উপরে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয় আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে শুধুমাত্র স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার টিপস অথবা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া বা জিকিরের উপরে নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে চলবে না পাশাপাশি এর জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। আপনি যখন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় গুলো সঠিকভাবে ফলো করবেন এবং নিজের কনফিডেন্স এর উপরে আস্থা রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তখনই কেবল সফলতা আপনার কাছে ধরা দিবে। আশা করছি স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় গুলো জানতে পেরে আপনি উপকৃত হয়েছেন
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url