মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় - মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া
প্রতি মাসে মেয়েদের মাসিক হওয়া প্রাকৃতিক একটি নিয়ম। কিন্তু মাসিকের এই দিনগুলোতে প্রায় প্রতিটি মেয়েকেই যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয় , কারণ এই সময় শরীরের অভ্যন্তরে হরমোনাল পরিবর্তন সহ আরো বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে থাকে।মাসেকের সময় মেয়েদেরকে যে বিষয়টির জন্য বেশি কষ্ট করতে হয় সেটি হল সেই সময় হওয়া পেট ব্যথা। আর এই পেট ব্যথার দূর করার জন্য আজ আপনাদের জানাবো মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় ও মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় - মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া
- মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হয় কেন
- মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায়
- মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া
- মাসিকের ব্যাথা কমানোর ঔষধ
মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হয় কেন
মাসিকের সময় প্রায় প্রতিটি মেয়েরই পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। হাতে গোনা হয়তো দু একজন থাকতে পারে যাদের এ ধরনের কোন সমস্যা হয় না। মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হওয়ার বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক কেননা এই সময় শরীরের অভ্যন্তরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটতে থাকে এবং জরায়ুতে প্রচুর চাপ পড়ে আর এই চাপের কারণে জরায়ুর সংকুচিত এবং প্রসারিত হওয়ার কারণেই মূলত মাসিকের সময় পেটে ব্যথার বিষয়টি ঘটে থাকে। মাসিকের সময় মহিলাদের শুধু পেটেই নয় শরীরের বিভিন্ন অংশে কম অথবা বেশি ব্যথা হতে পারে।
**
মাসিকের সময় প্রোস্টাগ্ল্যানডিনস নামক এক ধরনের চর্বিযুক্ত যৌগ উৎপন্ন হয় এবং এই যৌগটি জরায়ুর পেশীকে সংকুচিত করে এবং জড়ায়ুতে প্রদাহের সৃষ্টি করে যার ফলে মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হয়ে থাকে।প্রোস্টাগ্ল্যানডিনস কোন হরমোন নয় তবে এর বৈশিষ্ট্য অনেকটা হরমোনের মতই। মাসিকের সময় নির্দিষ্ট এই দিনগুলোতে জরায়ু তার ভেতরে উৎপন্ন হওয়া অনিষিক্ত ডিম্বানু , মিউকাস এবং বেশ কিছু এপিথেলিয়াল কোষ রক্তের মাধ্যমে থেকে বের করে দেয়। আর এই প্রক্রিয়াটির জন্যই সাধারণত মাসিকের সময় মেয়েদের পেটে ব্যথা হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কারণ যেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জরায়ু তার ভেতর থেকে এই উপাদান গুলো বের করে দেয় সেই প্রক্রিয়াতে ক্রমাগত ভাবে জরায়ুর বেশি গুলো সংকুচিত এবং প্রসারিত হতে থাকে।
আরো পড়ুন ঃ জরায়ু ব্যাথার কারণ
আমরা প্রায় প্রত্যেকেই জানি যে মাসিকের সময় নির্দিষ্টাবের কারণে প্রত্যেকটি
মেয়েদের পেটে ব্যথা হয়ে থাকে, এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ মাধ্যমে
ইংল্যান্ড অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ও প্রজনন স্বাস্থ্যের গবেষক ড. কেটি
ভিন্সেন্ট জানিয়েছেন প্রায় ৫০ শতাংশ মহিলা রায় এই সময় পেটে ব্যথা অনুভব করে
এবং এই ব্যথা কারো ক্ষেত্রে এতটাই তীব্র হয় যে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত
করে। কিন্তু মাসিকের সময় মেয়েদের পেট ব্যথার বিষয়টি অত্যন্ত স্বাভাবিক হলেও ,
এই ব্যথা যদি অতিরিক্ত আকার ধারণ করে তাহলে এর পেছনে থাকতে পারে বেশ কিছু রোগের
হাত। মাসিকের সময় পেটে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়ার কারণ হতে পারে,
**
- এন্ডোমেট্রিওসিস
- ফাইব্রয়েড
- সার্ভাইকাল স্টেনোসিস
- অ্যাডেনোমায়োসিস
- পেভলিক ইনফেকশন
- পলিসিস ওভারি সিনড্রোম
- জরায়ুতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
মাসিকের সময় পেট ব্যথা যদি স্বাভাবিক বা নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে থাকে তবে এ
ব্যাপারে চিন্তার কোন কারণ নেই কিন্তু ,যদি এই ব্যথা অতিরিক্ত বা অসহ্য
পর্যায়ে চলে যায় তাহলে এই ব্যাপারে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের
শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায়
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে অধিকাংশ মেয়েরাই মাসিকের সময়
পেটের ব্যথা অনুভব করে এবং অনেকের ক্ষেত্রে এই ব্যথাটি এতটাই বেশি হয়
যে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধা গ্রস্ত হয়ে পড়ে। মাসিকের সময় যারা
পেটে অত্যন্ত ব্যথা ফেস করেন তাদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য
আজকে জানাবো মাসিকের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে। মাসিকের সময় পেটের ব্যথার
যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই পেইন কিনার জাতীয় মেডিসিন গ্রহণ
করে থাকেন যা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয় তাই আজকে আপনাদেরকে এমন কিছু উপায় জানাবো
যেগুলোর মাধ্যমে পেন কিলার ছাড়াই মাসিকের ব্যথা কমানো সম্ভব। তাহলে চলুন
আর দেরি না করে মাসিকের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো জেনে নেয়া যাক । ঘরোয়া ভাবে
মাসিকের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো হলো,
**
হট ওয়াটার ব্যাগঃ মাসিকের সময় পেট ব্যথা হলে এই ব্যথা কমানোর জন্য
ব্যবহার করুন হট ওয়াটার ব্যাগ।পেটে হট ওয়াটার ব্যাগ এর সাহায্যে
সেঁক দিলে মাসিকের সময় হওয়া পেট ব্যথা থেকে অনেকটা উপশম পাওয়া যায়।
যাদের হাতের কাছে এই ব্যাগ নেই তারা বোতলে গরম পানি পূর্ণ করে ওয়াটার
ব্যাগের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
পর্যাপ্ত পান করাঃ মাসিকের সময় যদি শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকে বা
শরীর হাইড্রেট থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে পেট ব্যথার সমস্যা অনেক কম হয় , আর এই
কারণে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকে মাসিকের পেট ব্যথা হলে পর্যাপ্ত পানি পান
করার। মাসিকের সময় পেট ব্যথা কমাতে শুধু পর্যাপ্ত পানি নয় যেকোনো ধরনের তরল
খাবার গুলো খাওয়া উচিত তবে সফটওয়্যার ড্রিংক , অ্যালকোহল , ক্যাফেইন যুক্ত
খাবার গুলো পরিহার করে স্যুপ জাতীয় খাবার গুলো বেশি বেশি খাওয়া উচিত।
ল্যাভেন্ডার অয়েল মাসাজ করাঃ লেভেন্ডার অয়েল দিয়ে ১০-১৫ মিনিট
পেটে ম্যাসাজ করলে মাসিকের কারণে হওয়া পেট ব্যথা থেকে খুব সহজে রেহাই
পাওয়া যায়। তাই এসেনশিয়াল ওয়েল হিসেবে লেভেন্ডার অয়েল মাসাজ করতে পারেন
মাসিকের পেট ব্যথা কমানোর জন্য।
আদা চা পান করাঃ মাসিকের ব্যথা কমাতে ব্যবহার করতে পারেন ঔষধি গুন
সম্পন্ন মসলা জাতীয় দ্রব্য আদা। আদার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে এন্টি
ইনফ্লামেটরি উপাদান। আর এই এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকায় যেকোনো
ধরনের প্রদাহ ও ব্যথা দূর করতে সাহায্য করতে পারে আদা। তাই মাসিকের পেট
ব্যথার সময় ঘন ঘন আদা চা পান করলে , পেটের ব্যথা থেকে অনেকটা আরাম পাওয়া
যায়।
ক্যামোমাইল টি পান করাঃ ক্যামোমাইল এক ধরনের ভেষজ ফুল। এই ফুল দিয়ে বানানো চা কে বলা হয় ক্যামোমাইল টি। এই চা পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাসিকের সময় হওয়া পেটের ব্যথা কম হয়। শুধু মাসিকের সময় হওয়া পেট ব্যথা কমাতেই নয় গ্যাস্ট্রিক বা পেটের অন্য যেকোনো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে এই ক্যামোমাইল টি। তাই পিরিয়ডের সময় হওয়া পেট ব্যথা কমাতে এই চা পান করতে পারেন।
পান করুন এলোভেরার জুসঃ অ্যালোভেরার ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুন।
শারীরিক বিভিন্ন ধরনের জটিলতা কাটাতে এলোভেরার রসের জুড়ি নেই। হরমোনাল প্রবলেম
গুলো সলভ করা ছাড়াও এলোভেরার জুসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য
উপকারিতা হল এই জুস পান করলে মাসিকের সময় পেটের ব্যথা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া
যায়। মাসিকের যন্ত্রণায় যারা দিশেহারা হয়ে যান তারা যদি দিনে
২-৩ বার এলোভেরার জুস খান তাহলে এই ব্যথা থেকে খুব দ্রুত আরাম পাবেন। কিন্তু
এলোভেরার জুস খাওয়া একটু কষ্টসাধ্য , যাদের এলোভেরা জুস খেতে অসুবিধা
হয় তারা সাদ বৃদ্ধির জন্য অ্যালোভেরার রসের সাথে মধু মিশিয়ে জুস তৈরি করে খেয়ে
নিন।
হালকা ব্যায়ামঃ মাসিক বা পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা দূর করতে সবসময়
শুয়ে বসে না থেকে হাটাহাটি ঘরের ছোটখাটো কাজ , যোগব্যায়াম ইত্যাদি ধরনের
হালকা শরীর চর্চা গুলো করতে পারেন। কারণ মাসিকের ব্যথা কমাতে হালকা ধরনের এই
ব্যায়ামগুলো অনেক সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন মাসিকের সময় কোন ভারী কাজ বা
ভারী ব্যায়ামগুলো না করাই শরীরের জন্য ভালো।
গরম দুধ পান করুনঃ গরম দুধ পান করলেও মাসিকের সময় পেটব্যথা অনেকটা কম হয়।
দুধ ভালো ভাবে ফুটিয়ে কিছুটা ঠান্ডা করে কুসুম গরম অবস্থায় পান করুন , এতে
আপনার পিরিয়ডের সময় হওয়া ক্র্যাম্প দূর হবে এবং পাশাপাশি পিরিয়ডের সময়
হওয়া রক্তক্ষরণের কারণে শরীরে যে আয়রনের ঘাটতি পরে সেই ঘাটতিও দূর হবে।
কুসুম গরম পানিতে গোসল করুনঃ মাসিকের সময় হওয়া পেট ব্যথা ও কোমর ব্যথা
কমাতে অথবা অন্য যেকোনো কারণে হওয়া পেট ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে
সাহায্য করে কুসুম গরম পানিতে গোসল। হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে যে কোন
ধরনের পেট ব্যথা কমাতে এই টিপসটি অনেক ভালো কাজ করে। কুসুম গরম পানিতে গোসল শুধু
মাসিকের সময় পেট ব্যথা কমাতে নয় এই সময় হওয়া মানসিক চাপ থেকেও অনেকটা মুক্ত
রাখতে সাহায্য করে। গরম পানি দিয়ে গোসল করা হলো পিরিয়ডের বা মাসিকের পেট
ব্যথা কমানোর সহজ একটি উপায়।
সফট ড্রিংক , কফি , অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুনঃ মাসিকের সময় হওয়া পেট ব্যথা কমানোর জন্য সফট ড্রিংক , কফি , অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন , কেননা এই পানিওগুলো শরীরে পানি শূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে যার ফলে বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি পেট ব্যথার সমস্যা ও বেড়ে যেতে পারে। তাই এই সময় যতটা সম্ভব শরীরকে হাইড্রেট রাখার চেষ্টা করতে হবে
ব্যথা কমানোর খাবার খানঃ মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হলে এই সময় ফাস্টফুড বা ভাজাপোড়া খাবার অথবা তেল চর্বিযুক্ত খাবার গুলো না খেয়ে যেসব খাবারে মাসিকের ব্যথা কম হয় এ জাতীয় খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন যেমন - কমলা , কলা , আনারস , কাঁচা পেঁপে , ব্রকলি , বিট , পালং শাক, বাদাম , গ্রিন টি , সবুজ শাকসবজি ,ওটস , ডার্ক চকলেট ইত্যাদি।
মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া
- আল আ’জীমু -এক গ্লাস খাওয়ার পানি নিয়ে প্রথমে একবার দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করুন তারপর আল্লাহর এই গুণবাচক নামটি সাতবার পাঠ করে পানিতে ৩ বার ফু দিয়ে ,এই পানি পান করুন। এভাবে কয়েকবার আমল করলে ইনশাআল্লাহ ফল পাবেন।
- ইয়া মুতাআল বা ইয়া মুতায়ালী - মাসিকের যে কদিন ব্যথা থাকবে প্রতিদিন আল্লাহর এই গুণবাচক নাম কি ১২১ বার পাঠ করে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানিটি পান করুন। মাসিকের সময় পেট ব্যথার দিন গুলোতে রোজ ১ বার করে এই আমলটি করলে আল্লাহর রহমতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পেটের ব্যাথা থেকে মুক্তি মিলবে।
মাসিকের ব্যাথা কমানোর ঔষধ
আপনারা অনেকেই মাসিকের সময় হওয়া পেট ব্যথা কমানোর জন্য মাসিকের ব্যাথা কমানোর ঔষধ নাম জানতে চেয়ে থাকেন। তাই আজকে আপনাদেরকে মাসিকের ব্যাথা কমানোর ঔষধ গুলোর ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি কার্যকরী ওষধের নাম জানাবো। তবে আপনাদের জন্য পরামর্শ থাকবে কখনোই অতিরিক্ত মাত্রায় এই পেইন কিলার জাতীয় ঔষধ গুলো সেবন না করা। আপনাদের উচিত হবে প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া ভাবে মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় সঠিকভাবে ফলো করা তারপরেও যদি কাঙ্খিত ফলাফল না পাওয়া যায় তাহলে অবহেলা না করে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে নিচে দেওয়া ঔষধ গুলো সেবন করা। কেননা এই পেইন কিলার জাতীয় ওষুধগুলো শরীরের উপরে মারাত্মক এবং দীর্ঘমেয়াদি দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে, তাই অবশ্যই এই ওষুধগুলো সেবনের পূর্বে ভালো কোন গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
- paracetamol
- ibuprofen
- aspirin
- algin 50mg
মন্তব্য, চেষ্টা করুন মাসিকের ব্যাথা কমানোর জন্য ঔষধের পরিবর্তে ঘরোয়া টোটকা অবলম্বন করে অথবা ইসলামিক উপায়ে পেট ব্যাথা কমানোর। আর যদি কোন কারণবশত ব্যথা নাশক ওষুধগুলো সেবনের প্রয়োজন পড়ে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।শুধু ব্যাথা নাশক ঔষধঅই নয় যেকোন ঔষধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url