থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না - থাইরয়েড কমানোর ১০টি উপায়
থাইরয়েড হলো এক ধরনের জটিল হরমোনাল সমস্যা। আর এই রোগটি হলে আক্রান্ত ব্যক্তির ভোগান্তির কোন ঘাটতি থাকে না তাছাড়াও হরমোনাল এই সমস্যাটির কারণে যৌন ক্ষমতা অনেক কমে যায় তাই অনেকের মনে বাচ্চা হওয়ার নিয়ে আশঙ্কা থাকে এবং সেই আশঙ্কা থেকেই একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সেটি হলো থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না ? এই প্রশ্নটি। তাই আজকে আপনাদেরকে এই প্রশ্নটির পাশাপাশি থাইরয়েড কমানোর উপায় জানাবো। আজকে আপনাদেরকে জানাবো থাইরয়েড কমানোর ১০টি উপায় সম্পর্কে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে থাইরয়েডের আক্রান্ত হতে নারীদেরকে দেখা গেলেও এই রোগে আক্রান্ত পুরুষদের সংখ্যাও কম নয় তবে পুরুষদের তুলনায় থাইরয়েডে আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা প্রায় 8 গুণ বেশি কিন্তু যেহেতু পুরুষরা এই রোগে আক্রান্ত হয় তাই এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন পুরুষের থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয় এই বিষয়টি। আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব থাইরোড সম্পর্কিত মোট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আর এই বিষয়গুলো হল -থাইরয়েড কমানোর উপায় , থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না এবং পুরুষের থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়। আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে জানতে পারছেন থাইরয়েড কমানোর ১০টি উপায়। তাহলে চলুন থাইরয়েড কমানোর উপায় জানার জন্য এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে নেয়া যাক।
থাইরয়েড কমানোর উপায়
আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা থাইরয়েড আক্রান্ত রুগী। থাইরয়েড যেহেতু একটি অত্যন্ত জটিল একটি হরমোনার সমস্যা তাই এই সমস্যার সমাধান হিসেবে আজকে আপনাদের জানাবো থাইরয়েড কমানোর উপায় সম্পর্কে। থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলো জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই এই টিপস গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলো জারা জানেন না তারা অবশ্যই থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলো জেনে রাখুন। এখন আপনাদের থাইরয়েড কমানোর ১০টি উপায় জানাবো। তাই নিচের অংশটি ভালোভাবে পড়ুন এবং জেনে নিন থাইরয়েড কমানোর ১০টি উপায়।
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবারঃ ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ
, এই ভিটামিন ডি এর অভাবে থাইরয়েড এর সমস্যা ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ
হয়ে থাকে। এ কারণে থাইরয়েডের সমস্যার সমাধানের জন্য ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার
গুলো পরিণত পরিমাণে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন এবং পাশাপাশি প্রতিদিন
অন্ততপক্ষে ১০-১৫ মিনিট রোদে থাকায় অভ্যাস করতে পারেন
আয়োডিনযুক্ত খাবার খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুনঃ যারা অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণের কারণে সমস্যাই রয়েছেন অথবা বলতে পারেন যাদের হাইপারথায়রয়েডিজম আছে তাদের উচিত আরডিনযুক্ত খাবারগুলো অল্প পরিমানে খাওয়া কেননা এই খাবারগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর এইজন্য বিশেষজ্ঞগন মনে করেন , আয়োডিনযুক্ত খাবার খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
আপেল সিডার ভিনেগারঃ আপেল সিডার ভিনেগারের কার্যকরিতা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের হরমোনাল প্রবলেম গুলো সলভ করতে এই ভিনেগার বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। তাই থাইরয়েডের মাত্রা কমানোর জন্য নিয়মিত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারেন এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের সাথে মধু মিশিয়ে।
আদাঃ আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রবাহের সাথে লড়াই করতে এবং শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে বিশেষ সাহায্যকারী এই আবার। নিয়মিতভাবে সকালবেলা আদার রস খেলে অথবা চিনি ছাড়া আদা চা খেলে এটি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর পাশাপাশি থাইরয়েডের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ
থাইরয়েড নরমাল কত
নিয়মিত শরীর চর্চা করাঃ শরীর সুস্থ রাখতে এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হলে নিয়মিত শরীর চর্চা কতটা জরুরি এই বিষয়ে মনে হয় নতুন করে আর কাউকে কিছু বলার নেই , কেননা এ বিষয়টি আমরা কম বেশি তাই সকলেই জানি। নিয়মিতভাবে শরীর চর্চার অভ্যাস করলে এটি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর পাশাপাশি থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তাই থাইরয়েড কমানোর উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন নিয়মিত শরীরচর্চাকে।
ফুলকপি ,পাতাকপি , ব্রকলি না খাওয়াঃ থাইরয়েড ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সবজি আছে যেগুলো থাইরয়েডের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে আর এই জাতীয় সবজিগুলোর মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য হল ফুলকপি , পাতা কপি , ব্রকলি ইত্যাদি। সুতরাং যারা থাইরয়েড কমাতে চান এবং যাদের হাইপার থাইরয়েড রয়েছে তারা অবশ্যই সবজিগুলো এড়িয়ে চলুন।
প্রসেস ফুড এড়িয়ে চলুনঃ প্রসেস ফুড জাতীয় খাবার গুলো আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই খাবারগুলো জন্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি হরমোনাল প্রবলেমগুলো বাড়াতেও সাহায্য করে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মনে করেন থাইরয়েড আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে প্যাকেটজাত বা কৌটা জাত খাবার গুলো না খাওয়াই ভালো, কেননা এই খাবারগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লবণ এবং সোডিয়াম থাকে এবং খাবার গুলো সংরক্ষণের জন্য উচ্চমাত্রায় প্রিজারভেটিভ ইউজ করা হয় যা শরীরের অন্যান্য সমস্যা বাড়ানোর পাশাপাশি থাইরয়েড সমস্যা ও বাড়িয়ে দিতে পারে।
**
দুধ বা দুধের তৈরি খাবার না খাওয়াঃ হাইপার থাইরয়েডিজম এর রোগীদের দুধ বা দুধের তৈরি খাবার গুলো খেতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞগণ কারণ দুধ বা দুধের তৈরি খাবার গুলো হরমোনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে এরা আওতায় টক দই পড়ে কিনা এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার কারণে থাইরয়েড রোগীদের খাওয়া যাবে কিনা এই ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাঃ চিনির তৈরি খাবার বা মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে , আর হাইপারথাইরয়েডিজম থাকলে শরীরের ওজন অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে তাই এই অবস্থায় যদি অতিরিক্ত মিষ্টি বা চিনি তিনি জাতীয় খাবার খাওয়া হয় সে ক্ষেত্রে শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে এবং রোগের জটিলতাও বেড়ে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে তাই যারা থাইরয়েড কমাতে চাই তারা অবশ্যই মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলুন।
খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন সয়াবিন ঃ সয়াবড়ি বা সয়াবিন জাতীয় খাবার গুলোও ডেকে আনতে পারে থায়রয়েড রুগীদের জন্য বিপদ কারণ এ জাতীয় খাবার গুলো থায়রয়েড ঔষধের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয় যার ফলে যারা থাইরয়েড এর ঔষধ সেবন করেন তাদের শরীরে এই ঔষধ গুলো কাজ করতে পারেনা বিধায় থাইরয়েডের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই থাইরয়েড রোগীদের সয়াবিন জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলা অথবা খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করায় ভালো।
থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না
থাইরয়েড হরমোন যেহেতু আমাদের যৌন স্বাস্থ্যের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে এইজন্য অনেকের মধ্যে একটি প্রশ্ন আসে এবং এই প্রশ্নটি নিয়ে অনেকেই বেশ দুশ্চিন্তায় থাকেন আর সেই প্রশ্নটি হল থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না ? তাই এখন আপনাদেরকে থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না এই প্রশ্নের উত্তরটি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করব। থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না এর উত্তরটি যাদের জানা নেই অথবা যারা জানতে চাচ্ছেন তারা উদ্বিগ্ন না হয়ে সঠিক ভাবে এর উত্তরটি জেনে নিন। শরীরের বিভিন্ন অবস্থা অনুযায়ী থাইরয়েড হরমোনের সমস্যাগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে বিধায় এই প্রশ্নের উত্তরটি একটু বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করা হলো,
**
আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা নারী পুরুষ উভয়েরই হয়ে থাকলে
এই সমস্যাটি বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় এবং সেই হরমোন জনিত
সমস্যাটি যে কোন বয়সে এবং যেকোনো সময় দেখা দিতে পারে। হরমোন জনিত থাইরয়েড
সমস্যা প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হল হাইপো থাইরয়েড এবং অপরটি হাইপার
থাইরয়েড , তবে এই দুইটির মধ্যে হাইপোথাইরয়েড এর সমস্যাটি অর্থাৎ শরীরে থাইরয়েড
হরমোনের ঘাটতি এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। এবং এর কারণে নারী এবং পুরুষ উভয়ের
ক্ষেত্রেই বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে কেননা থাইরয়েড হরমোন নারী ও
পুরুষ উভয়েরই যৌন স্বাস্থ্য এবং প্রজনন স্বাস্থ্য উপরে রয়েছে বিশেষ প্রভাব
। তবে শুধু এইটুকু শুনে ঘাবড়ে যাবেন না কারণ, বর্তমানে চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক
উন্নত হওয়ায় থাইরয়েড হরমোন জনিত সমস্যা গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব একটা কঠিন
কাজ নয়। চিকিৎসার মাধ্যমে খুব সহজেই এই হরমোনি নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে আপনি
গর্ভধারণ করতে পারেন অথবা পিতৃত্বের স্বাদ নিতে পারেন।
কিন্তু এই হরমোন জনিত সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠার জন্য আপনার প্রয়োজন কিছু সতর্কতা এবং সাবধানতা। অনেক মহিলারায় পূর্বে সুস্থ থাকলেও দেখা যায় যে প্রেগনেন্ট হওয়ার পরে থাইরয়েডে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। অনেক মহিলার ক্ষেত্রেই এইরকম সমস্যার দেখা যায় , মায়ের শরীরের থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি গর্ভে থাকা ভ্রুণের বুদ্ধি বিকাশ, স্নায়বিক বৃদ্ধি ইত্যাদির উপরে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর পাশাপাশি থেকে যায় নিরাপদ প্রসবের ঝুঁকি। তাই প্রেগনেন্ট মহিলাদের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী প্রেগনেন্সির বিভিন্ন স্টেজে থাইরয়েড টেস্ট করিয়ে সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত এতে শরীরে থাইরয়েডের সমস্যা সহজে কাটিয়ে ওঠা যাবে এবং মা ও সন্তানের উভয়ে নিরাপদ থাকার পাশাপাশি থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
**
এছাড়াও , পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের উপরে থাইরয়েড হরমোনের প্রভাব অনেক বেশি। এই
হরমোনের ঘাটতির কারণে যৌন ইচ্ছা সহ সকলের শুক্রাণুর গুণগত মানো অনেক কমে
যায় কেমন কি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করানোর কারণে ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর
সমস্যাও সৃষ্টি হয়ে থাকে। নারীদের মতোই পুরুষদের শরীরেও থাইরয়েড হরমোনের
ঘাটতি থাকলে সঠিক সময়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সে ক্ষেত্রে দেখা
হতে পারে বন্ধ্যাত্ব। তবে যেসব পুরুষ থাইরয়েড হরমনের সমস্যায় রয়েছেন
তারা সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে খুব সহজেই এই থাইরয়েডের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন
বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
সুতরাং এতক্ষণের আলোচনায় নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন শরীরের থাইরয়েডের ঘাটতি থাকলে এটি প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপরে যথেষ্ট প্রভাব ফেললেও চিকিৎসার মাধ্যমে এই হরমোন এর মাত্রা শরীরে বাড়ানোর মাধ্যমে বাচ্চা নেয়া সম্ভব ,এতে কোন সমস্যা নেই।এতক্ষন আপনাদের চেয়ে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলাম শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি থাকলে বাচ্চা হয় কিনা। এবার আপনাদেরকে জানাবো শরীরে যদি থাইরয়েডের মাত্রা অধিক পরিমাণে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে কিনা। আপনার শরীরে যদি থাইরয়েডের মাত্রা বেশি থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রেও শরীরের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি হতে পারে গর্ভধারণের সমস্যা , তাই এই পরিস্থিতিতেও হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আপনার দরকার সঠিক চিকিৎসা। এছাড়াও এই বিষয়টি যেহেতু জেনেটিক সেক্ষেত্রে শিশু পিতা-মাতা যদি থাইরয়েডে আক্রান্ত থাকে অথবা উভয়ের মধ্যে কোন একজনের যদি থাইরয়েড থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে অনেক সময় শিশুর জন্মের পর পরই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দেয়। আর এই শিশুর পিতা মাতাকে পূর্বে থেকে সচেতন হতে হবে এবং তাদের থাইরয়েডের সমস্যা চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করার পরেই গর্ভধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।আশা করছি , আপনারা নিশ্চয়ই থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না এই প্রশ্নের উত্তরটি বুঝতে পেরেছেন
পুরুষের থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে থাইরয়েডের সমস্যা মেয়েদের দেখা গেলেও পুরুষরা এই রোগের আয়তার বাইরে নয়, তাই পুরুষের থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয় হয় এ বিষয়েও জেনে রাখা উচিত। তাই এখন আপনাদের জানাবো পুরুষের থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়। পুরুষেরদের থাইরয়েড হওয়ার প্রধান কারনগুলো হল , অনিমিত ঘুম ও খাবার খাওয়া , মদ ও ধুমপান করা বেশি রাত ধরে জেগে থাকা ইত্যাদি আর পুরুষের থাইরয়েড হলে যে সমস্যা গুলো হয় সেগুলো হয় সেগুল হলো,
- অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়া
- যৌন ইচ্ছা ও ক্ষমতা কমে যাওয়া
- ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া
- ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
- কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন
- শীতকাতরতা এবং গরমে কাতর হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া
- স্নায়ুবিক দুর্বলতা অনুভব করা
মন্তব্য, আজকের আলোচনাটির মাধ্যমে আপনারা নিশ্চয়ই থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না এবং থাইরয়েড কমানোর ১০টি উপায় উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনেছেন। এবং এতক্ষণে নিশ্চয়ই এ ব্যাপারটিও ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পেরেছেন যে থাইরয়েড রোগটি জটিল হলেও এই রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব কিছু নয়। সামান্য কিছু সতর্কতা বা সাবধানতা অবলম্বন করলে আপনি খুব সহজে এই জটিল হরমোনাল রোগটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন অথবা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। সুতরাং থাইরয়েড থেকে সুস্থ থাকতে অবশ্যই উপরের দেওয়া ঠিক হলো ভালোভাবে অনুসরণের চেষ্টা করুন , এই টিপসগুলো থাইরয়েড নিরাময়ের ক্ষেত্রে আপনার অনেকটা সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url