অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি - আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়
Olive Oil সব সময়ই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের চাহিদা সম্পন্ন একটি তেল। বিশেষ উপকারি হওয়ার কারণে অলিভ অয়েলকে লিকুইড গোল্ড অর্থাৎ তরল সোনা বলা হয়। আর এই তেল ব্যবহার করা সুন্নত। তিরমিজি শরীফের হাদিস থেকে জানতে পারা যায় যে এই তেল ব্যবহারের ব্যাপারে নবীজি (সা) বলেছেন -তোমরা জয়তুনের তেল খাও এবং শরীরে ব্যবহার কর , কারণেই তেল বরকতময় গাছ থেকে আসে। আর আজকে আমরা এই তেলের গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানবো।
শুধুমাত্র অলিভ অয়েলের উপকারিতা সম্পর্কে জানলেই চলবে না, পাশাপাশি জানতে হবে
আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়।কারণ খাঁটি অলিভ অয়েল ছাড়া এই তেলের উপকারিতা পাওয়া
কোন মতেই সম্ভব নয়। রান্না বা খাওয়ার কাজে সব সময় Extra virgin olive
oil ব্যবহার করা উচিত কেন না এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের এসিডিটির পরিমাণ
1% এর থাকে। আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন অলিভ অয়েল তেলের চাহিদা
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে কেন এত বেশি , অর্থাৎ এর উপকারিতা সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি - আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়
অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি
যুগ যুগ ধরেই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের পছন্দের শীর্ষে থাকে অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল।কিন্তু প্রশ্ন হলো দামে অন্য তেলের তুলনায় বেশি হওয়ার পরেও এই তেলের চাহিদা এত বেশি কেন ? অলিভ অয়েল তেলের চাহিদা বেশি হওয়ার পেছনের কারন হলো এর উপকারি দিক গুলো। স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হল অলিভ অয়েল। শুধু স্বাস্থ্য ভালো রাখতেই নয় রূপচর্চার কাজে , স্কিন ভালো রাখতে ও স্কিনের যত্ন নিতে এবং চুলের যত্নেও সমান ভাবে কার্যকরী অলিভ অয়েল।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ ওমেগা ৬ ,ওমেগা ৩ ও ফ্যাটি এ্যাসিডের পাশাপাশি অলিভ অয়েলে আছে এ্যলিক এসিড নামক মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা প্রদাহনাশক হওয়ার পাশাপাশি ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে।অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমানে এ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় এই তেল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে। অলিভ অয়েলের ভেতরে থাকা যৌবগুলো ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ক্যান্সারের সেল গুলো ড্যামেজ করতে কার্যকরী।
স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমায়ঃ বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল হিসেবে জানতে পারা যায় যে অলিভ অয়েল স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। বিশ্বের প্রায় ৮ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষকে নিয়ে করা একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে অলিভ অয়েলের ভেতরে থাকা মনসেচুরেটেড ফ্যাট রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে যার ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
উপকারী কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করেঃ অলিভ অয়েলের ভেতরে থাকা উপাদান গুলো আমাদের রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে এবং উপকারী কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রায় 25 million মানুষকে নিয়ে গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে যে রক্তের খারাপ কোলেস্ট্রল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছে।
দুরারোগ্য ব্যাধি দূর করেঃ অলিভ অয়েল এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এলিক এসিড এর পাশাপাশি ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে এর দারুন একটি উৎস , আর অলিভ অয়েলে থাকা এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলো শরীরের কোলেস্টেরল জারণ এর মাত্রা কমানোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধি যেমন হার্টের অসুখ , ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ গুলোর হাত থেকে আমাদের দেহকে রক্ষা করে।
হার্ট ভালো রাখেঃ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অন্যান্য
তেলের পরিবর্তে ব্যবহার করুন অলিভ অয়েল। আপনারা আগেও জেনেছেন অলিভ অয়েল এ
রয়েছে মনসা সেচুরেটেড ফ্যাট যা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে , আর যেহেতু
অলিভ অয়েল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় তাই এই তেল খেলে হৃদরোগ হওয়ার
সম্ভাবনা কম থাকে এবং হার্ট ভালো থাকে আর এ কারণে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ
অয়েলকে হার্টের রক্ষাকবচ হিসেবেও গণ্য করা হয়, কারণ অলিভ
অয়েল হার্টের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- হার্ট অ্যাটাক , হার্ট ব্লক , হার্ট
ফেইলর ইত্যাদি সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
আরো পড়ুন ঃ
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ অলিভ অয়েল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমিয়ে হার্ট সুস্থ রাখার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে
থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিতভাবে রান্নার কাজে অলিভ অয়েল ব্যবহার
করে তাদের উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা কম থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
থাকে আর এর কারণ হলো অলিভ অয়েল তেলে থাকা আন-স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং
পলিফেনাল নামক উপাদান। অলিভ অয়েলে থাকা আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পলিফেনাল উপাদান
দুটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করেঃ স্পেনিশ কলেজের প্রায় সাত হাজার
শিক্ষার্থীর ওপরে কয়েক মাস ধরে একটি গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে , অলিভ অয়েল
তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খেয়েও তাদের ওজন বাড়েনি এবং রক্তে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বেড়েছে। যদিও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে জলপাইয়ের
তেলেরকোন ভূমিকা নেই , কিন্তু জলপাইয়ের তেল যেহেতু রক্তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর
মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং কোলেস্টেরল জারন কমায় তাই এই তেল খেলে ওজন বাড়াল
সম্ভাবনা থাকে না। তাই যারা অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে রয়েছেন তারা
অন্যান্য তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েল তেলর তৈরি খাবার খেলে শরীরের ওজন কমানোর
ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন।
অ্যামাইলোয়েড বিটা বৃদ্ধি কমায়ঃ অ্যামাইলোয়েড বিটা হলো এক ধরনের প্রোটিন যা মস্তিষ্কের কোষের ভেতরে বৃদ্ধি পেতে থাকে বয়স ৪০ এর পর থেকে এবং এর প্রভাবে মেমোরি লস হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় আর এই রোগটিকে বলা হয় আলঝেইমার । এই আলঝেইমার রোগটি হল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হওয়া নিউরডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার গুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে ৪০ এর পর থেকে মেমরি লস হওয়া বা সবকিছু ধীরে ধীরে ভুলে যাওয়ার এই রোগটির হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে অলিভ অয়েল , কেননা অলিভ অয়েলের ভেতরে থাকা উপাদান গুলো মস্তিষ্কের কোষের ভেতরে অ্যামাইলোয়েড বিটা নামক প্রোটিনের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে পারে।
টাইপ 2 ডায়াবেটিস প্রতিহত করেঃ প্রায় ৪০০ জন ব্যক্তির উপরে গবেষণা
চালিয়ে এই ফলাফলটি পাওয়া গিয়েছে যে নিয়মিত অলিভ অয়েল টাইপ 2 ডায়াবেটিস
এর ঝুঁকি কমাতেও বিশেষভাবে কার্যকরি এবং গবেষণা চালানো ৪০০ জনের ভেতরে ৪০
শতাংশেরই দেখা গিয়েছে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম হতে। অলিভ অয়েলের ভেতরে
থাকা উপাদান গুলো ইন্সুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং রক্তের শর্করার মাত্রা
কমাতে সাহায্য করে।
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ দূর করেঃ এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকায়
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ গুলো থেকেও মুক্তি দিতে পারে অলিভ অয়েল।দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ
বলতে শুধু বাহ্যিক ব্যথায় নয়, এই তেল সাহায্য করে- রিউমাইটেড
আর্থ্রাইটিস বা বাপের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে।
পেটের সমস্যা দূর করেঃ অলিভ অয়েল বিপাকীয় সিনড্রোম গুলো দূর করার
পাশাপাশি পেটের আলসার এর জীবাণু অর্থাৎ হেলিকোবেক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া
ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে এবং ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় যেকোনো ধরনের
ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে এই তেল। পেটের সমস্যা দূর করার
পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুন সাহায্য করে অলিভ অয়েল তেল।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখেঃ অলিভ অয়েল ভিটামিন এ এর একটি বড় উৎস , আর
ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে এবং চোখ ভালো রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অলিভয়েলে থাকা ভিটামিন এ চোখের বিভিন্ন সমস্যা বা রোগ , যেমন - রাতকানা ,
গ্লুকোমা , দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি সহ যেকোনো ধরনের চোখের সমস্যা
দূর করতে পারে।
নাক ডাকা বন্ধ করেঃ যাদের নাক ডাকার সমস্যা আছে তারা এই সমস্যা দূর
করতে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল কারণ অলিভ অয়েলের ভেতরে ঔষধি গুন বিদ্যমান
রয়েছে। রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস করলে এটি আপনার নাক
ডাকা রোধ করতে সাহায্য করবে।
কানের সমস্যা বা কান পাকা বন্ধ করেঃ অনেকেরই কান পাকা সমস্যা অর্থাৎ কানের ভেতরে দুর্গন্ধ , পুঁজ , চুলকানি হতে দেখা যায়। যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা যদি কানের ভেতরে দু এক ফোঁটা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করেন তাহলে খুব দ্রুত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের কানে পানি বা তরল জাতীয় কিছু ঢোকার ফলে কান পাকলে বা কানে ব্যথা হলে কানের ভেতরে এক ফোঁটা অলিভ অয়েল দিলে দ্রুত এবং কার্যকরী ফল পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ মেছতা দূর করার উপায়
ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করেঃ অলিভ অয়েল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
ভিটামিন এ , ই , ডি এবং কে এর বড় উৎস। আর জলপাই তেলের ভিতরে থাকা এই উপাদান
গুলো আমাদের তরফ থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে এবং তাকে বয়সের ছাপ পড়তে
বাঁধা দেয়। এছাড়াও অলিভ অয়েল আমাদের ত্বকের ড্যামেজ হওয়া টিসুগুলোকে
পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
ব্রণ দূর করে ও ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখেঃ মুখের ব্রণ দূর করতে বিশেষ
কার্যকরী অলিভ অয়েল এবং পাশাপাশি অলিভ অয়েল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য
করে। শুধু ব্রণ নয় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার কারণে অলিভ অয়েল
রোজাসিয়া এবং সরিয়াসিসে রোগগুলো প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
চুলের যত্নেঃ চুলের যত্নেও সমান ভাবে কার্যকরী অলিভ অয়েল ।অলিভ
অয়েল চুলে লাগালে মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে , চুলের রুক্ষতা
দূর করে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তোলে , চুল ঝরা রোধ করে এবং চুল মজবুত করে।
আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়
অলিভ অয়েল থেকে উপকারিতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে আসল অলিভ অয়েল।
আর আপনি যদি আসলে অলিভ অয়েল সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হন তাহলে সে ক্ষেত্রে
উল্লেখযোগ্যভাবে এর উপকারিতা পাবেন না এমনকি উপকারিতার পরিবর্তে হতে পারে ক্ষতি।
তাই কেনার আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায় সম্পর্কে। অলিভ
অয়েল কেনার সময় যে বিষয়গুলো আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হলো ,
তেলের মেয়াদঃ অলিভ অয়েলের মেয়াদ দেখে আপনি ধারণা করতে পারেন এই তেলটি
আসল নাকি নকল এ বিষয়ে । আসল অলিভ অয়েল এর মেয়াদ মোটামুটি দুই বছর
থেকে থাকে , তাই আপনি যদি এই তেল কেনার সময় তেলের বোতলে উৎপাদন তারিখ থেকে
মেয়াদের তারিখ এর ডিফারেন্স ৩/৪ বছর দেখেন তাহলে এই তেলটি সম্পূর্ণ
আসন নয়,কেননা অরিজিনাল জলপাই তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই তেলের
মেয়াদ দুই বছরের ভেতরেই রাখেন , আর তারা ১৮ মাসের ভেতরে এই তেলের ব্যবহার
শেষ করতে বলেন।
তেলের ঘনত্বঃ অলিভ অয়েল এর ঘনত্ব দেখেও আপনি আসল নাকি নকল তা বুঝতে
পারবেন। অলিভ অয়েল তেলের ভেতরে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এর পার্সেন্টেজ বেশি থাকার
কারণে ঠান্ডার স্থানে রাখলে অন্যান্য তেলের তুলনায় এই তেলের ঘনত্ব বেড়ে যায়।
ঠান্ডা স্থানে রাখলে এই তেলটির ঘনত্ব বাড়ে কিন্তু পুরোপুরি জমে যায় না , এ
কারণে খাঁটি অলিভ কয়েল চেনার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে চেক করতে পারেন।
অলিভ অয়েল ডিপ ফ্রিজে রাখার ফলে যদি এই তেল সম্পন্নরূপে জমে যায় তাহলে বুঝবেন
তেলটি নকল অথবা এই তেলের ঘনত্বের কোনো পরিবর্তন না হয় বা ঘনত্ব বৃদ্ধি না
পায় তাহলেও বুঝতে হবে তেলটি আসল নয়।
আরো পড়ুনঃ আপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা
তেলের বোতলঃ অলিভ অয়েল সব সময় কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করা হয় ,
কেননা প্লাস্টিক বা টিনের কৌটায় এই তেলের কার্যকারিতা ও গুণগতমান নষ্ট হয়ে
যায়। তাই অলিভ অয়েল কেনার সময় সব সময় কাজের বোতলের মজুদকৃত তেল ক্রয়
করবেন। প্লাস্টিক বা টিনের কৌটায় মজুদকৃত অলিভ অয়েল গুলো আসল হয় না এবং
অরিজিনাল অলিভ অয়েল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় এই তেল প্লাস্টিকের
জারে মজুদ করে বাজারে সাপ্লাই করে।
শরীরে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
শরীরে অলিভ অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো নিয়ম নেই এই তেল সরাসরি শরীরে
বা ত্বকে ব্যবহার করা যায়। সরাসরি অলিভ অয়েল তেল শরীরে ব্যবহার ছাড়াও
এসেনশিয়াল ওয়েল মিশিয়ে এই তেল শরীরে ম্যাসাজ করতে পারেন।
মন্তব্য, এতক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে অলিভ অয়েল
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী তাতে কোন সন্দেহ নেই তবে , এই তেল ব্যবহারের
মাধ্যমে উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই সংগ্রহ করতে হবে খাঁটি অলিভ অয়েল । আসল অলিভ
অয়েল তেল ছাড়া কোনমতেই এর উপকারিতা পাওয়া অসম্ভব, তাই সম্ভব হলে
অলিভ অয়েল বাসায় তৈরি করুন অথবা এই তেল কেনার আগে আসল না নকল তা ভালোভাবে
পরীক্ষা করে নিন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url