শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় ১৩ টি বিষয় - শ্বাসকষ্ট কেন হয়

শ্বাসকষ্ট অত্যন্ত জটিল একটি সমস্যা , বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ এই সমস্যাই ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট সাধারণত কোন রোগ নয় , এটি হলো রোগের উপসর্গ। বিশেষ কিছু জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায় শাসকষ্ট। শুধু জটিল রোগের জন্যই নয় শ্বাসকষ্টের পেছনে ঠান্ডা লাগা সহ সাধারণ কিছু কারণ থাকতে পারে তাই শ্বাসকষ্ট সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখা উচিত।

অধিকাংশ মানুষই মনে করে শ্বাসকষ্ট মানেই হলো অ্যাজমা বা হাঁপানি , কিন্তু এই ধারণাটি সঠিক নয়। তবে একথা সত্য যে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের প্রধান লক্ষণ হল শ্বাসকষ্ট। আজকে আমরা জানবো শ্বাসকষ্ট সম্পর্কে এবং শ্বাসকষ্ট রোগীদের জানাবো শ্বাসকষ্ট শুরু হলে কিভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে শ্বাসকষ্ট কমাতে হলে এ পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়গুলো জানার আগে জানতে হবে শ্বাসকষ্ট কেন হয় সেই বিষয়ে। যেহেতু শ্বাসকষ্টের পেছনে অনেকগুলো থাকতে পারে তাই নিশ্চিতভাবে সনাক্ত করা উচিত কোন কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।

সূচিপত্রঃশ্বাসকষ্ট হলে করণীয় ১৩ টি বিষয় - শ্বাসকষ্ট কেন হয়

শ্বাসকষ্ট

শ্বাসকষ্ট হল মূলত শ্বাসনালী এবং ফুসফুস সংক্রান্ত একটি সমস্যা। আমাদের দেশের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এই শ্বাসকষ্ট নামক রোগে আক্রান্ত। শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকা অসম্ভব , আর একজন সুস্থ মানুষ কোন অসুবিধা বা কষ্ট ছাড়াই শ্বাস-প্রশ্বাস এর কাজটি সম্পন্ন করতে পারে, কিন্তু শ্বাস প্রশ্বাসের এই প্রক্রিয়াটি যখন স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয় না তখন শ্বাস-প্রশ্বাস এর সময় কষ্ট অনুভব হয় , আর এটাই হল শ্বাসকষ্ট। শ্বাসকষ্ট হলে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং এই সময় প্রচুর শক্তি খরচ হয়।অন্যভাবে বলা যায়, কোন কারন ছাড়াই যদি আপনার নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে  হয় তবে এই পরিস্থিতিরকে বলা হয় শ্বাসকষ্ট। শ্বাসকষ্ট ক্লিনিক্যালি রেসপিরাটরি ডিসস্ট্রেস নামে পরিচিত , আর স্বাভাবিক কাজকর্ম অথবা স্বাভাবিক অবস্থাতে যদি আপনি এরকম অসুবিধা অনুভব করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন হওয়া এবং ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

শ্বাসকষ্ট কেন হয়

শ্বাসকষ্টের সমস্যা যেকোনো সময় হতে পারে তবে শীতকালে এই সমস্যার প্রাদুর্ভাব ভাব বেড়ে যায় দ্বিগুণ হারে। প্রধানত শ্বাসনালী এবং ফুসফুসের সমস্যার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলেও , এর পেছনে থাকতে পারেনি আরও বিভিন্ন কারণ। শ্বাসকষ্ট হতে পারে -

  • এলার্জি 
  •  অ্যাজমা বা হাঁপানি
  •  সর্দি লাগা
  • সাইনোসাইটিস
  • হার্ট ফেইলিওর
  • নিউমোনিয়া
  • ব্রংকাইটিস
  • স্লিপ অ্যাপনিয়া
  • ফুসফুসে পানি জমা বা রক্ত জমাট বাধা
  • অ্যাডিনয়েড
  • অতিরিক্ত শারীরিক ওজন
  • অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা
  • মানসিক চাপ ও টেনশন
  • পেতে এসিডিটির সমস্যা
  • দূষিত আবহাওয়া বা ধুলোবালি নাকে প্রবেশ
এই কারণগুলো ছাড়াও অনেক সময় প্যানিক অ্যাটাক এর কারণে শ্বাসকষ্ট হতে দেখা যায়। শরীরের মেটাবলিজম বেড়ে গেলে নিঃশ্বাসের হার বেড়ে যায় আর এ সময় রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। শ্বাসকষ্ট হওয়ার পেছনে যদি শারীরিক কারণ পাওয়া না গেলে সে ক্ষেত্রে মনে করা হয় এটি সম্পূর্ণ রোগীর মানসিক রোগ বা প্যানিক অ্যাটাকে কারণে হচ্ছে। যেহেতু শ্বাসকষ্ট হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকে তাই ঠিক কোন কারণে রোগী শ্বাসকষ্টে ভুগছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে।

শ্বাসকষ্টের লক্ষণ

অনেক কারণেই নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে তবে নিঃশ্বাসের অসুবিধা মানেই শ্বাসকষ্ট নয়। শ্বাসকষ্টের বিশেষ কিছু লক্ষণ রয়েছে আর এই লক্ষণগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শনাক্ত করা হয় তবে নিশ্চিতভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শনাক্ত করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করানো। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে নিঃশ্বাসে অসুবিধা সাথেসাথে আরো যেসব উপসর্গগুলো প্রকাশ পায় বা অনুভব হয় সেগুলো হলো,

  • বুক চাপ ধরে থাকা
  • বুকের ভেতরে সাঁই-শুঁই শব্দ হওয়া
  • হার্টবিট বেড়ে যাওয়া ও বুক ধরফর করা
  • নিঃশ্বাস আটকে যাওয়ার মতন অনুভূতি হওয়া
  • ঘন ঘন নিঃশ্বাস নেয়া ও নিঃশ্বাস ছাড়া
  • শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে প্রচুর শক্তি খরচ হওয়া
  • ঠান্ডা এবং গরমে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া
  • একসাথে অনেকগুলো হাঁচি হওয়া 
  • সর্দি লাগার মতন নাক দিয়ে পানি ঝরা

শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়

অনেক মানুষই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগে থাকেন , কিন্তু অনেকেই হয়তো জানে না যে শ্বাসকষ্টের এই সমস্যা দূর করার জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা  সাধারণত শীতকালে বেশি দেখা যায়। তবে শ্বাসকষ্ট যে শুধু শীতকালেই হবে এমন কোন কথা নাই বছরে যে কোন সময়ই বিভিন্ন কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই এবার আপনাদের জানাবো শ্বাসকষ্ট হলে এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা কি করতে পারেন সেই বিষয়ে। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে যে পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে অনেকটা আরামবোধ করবেন , তার কার্যকরী পদ্ধতি গুলো হলো,

সামনে ঝুঁকে বসাঃ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সামনের দিকে ঝুঁকে বসলে অনেকটা স্বস্তি পাওয়া যায় এবং নিঃশ্বাস নিতে সুবিধা হয়। চেয়ারের উপরে সামনের দিকে ঝুকে বসে পা মেঝেতে বা মাটিতে রাখলে এই অবস্থান টি আমাদের ফুসফুস এবং হার্টের উপরে চাপ প্রয়োগ করে যার ফলে শ্বাসকষ্টের সময় নিঃশ্বাস নেয়া সহজ হয়। শ্বাসকষ্টের সময় শরীর এবং কাঁধের পেশিগুলোকে রিলাক্সে রাখতে পারলে অনেকটা আরম বোধ হয়, আর এক্ষেত্রে সামনের দিকে ঝুঁকে বসলে শ্বাসকষ্ট কম হয় এবং অনেকটা স্বস্তি ও আরাম পাওয়া যায়।

লিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজঃ শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য লিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ অনেক হেল্পফুল। কারো যদি অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা স্ট্রেস এর কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় তাহলে লিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ করলে অনেক রিলাক্স পাওয়া যায়।লিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ করার জন্য প্রথমে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস গ্রহণ করে মুখ খোলা রেখে কয়েক সেকেন্ডের জন্য শ্বাস আটকে রাখতে হবে , এরপর দুই ঠোঁটের মাঝখানে হালকা ফাঁকা রেখে অর্থাৎ ঠোট দুটো শীষ দেওয়ার মতন আকৃতিতে রেখে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস কারণ। এভাবে লিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্বাসকষ্ট থেকে অনেকটা আরাম বোধ করবেন।

আরো পড়ুনঃ নাকের এলার্জির কারণ এবং নাকের এলার্জি দূর করার উপায়

স্টিম ইনহেলার ব্যবহার করাঃ শ্বাসকষ্ট যদি শ্বাসনালী বন্ধ হওয়ার কারণে বা শাসনালীতে শ্লেষ্মা জমার কারণে হয়ে থাকে তাহলে স্টিম ইনহেলার ব্যবহার করলে অনেক আরাম পাওয়া যায় কারণ স্ট্রিম ইনহেলার ব্যবহারের ফলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়।

দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে পান করাঃ শ্বাসকষ্ট কমাতে দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়। হলুদের ভেতরের রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা ফুসফুসের প্রদাহ কমিয়ে শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে । হলুদের গুঁড়া , কুশরের গুড় এবং খাঁটি সরিষার তেল ভালোভাবে মিশিয়ে খেলে দ্রুত শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি রোগের থেকে উপশম পাওয়া যায়। হলুদ শ্বাসনালী কে পরিষ্কার রাখে যার ফলে শ্বাসকষ্ট , হাঁপানি বা অ্যাজমা জাতীয় সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। এছাড়াও এন্টিহিস্টামিন হওয়ার কারণে কুসুম গরম দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আদার রস বা আদা চাঃ ফুসফুসের প্রদাহ কমানোর আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হলো আদা আদার ভেতরেও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুসের প্রবাহ সহ শরীরের যে কোন প্রদাহ কমাতে বিশেষ কার্যকরী , তাই আদা চা বা আদার রস পান করলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হয়

গরম পানির ভাপ নেয়াঃ ঠান্ডা লাগার কারণে যদি আপনার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন।গরম পানির ভাপ অনেকটা স্টিম ইনহেলারের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। গরম পানির ভাব গ্রহণ করলে ফুসফুসে জমা হওয়া শ্লেষ্মা তরলে পরিণত হয় এবং শাসনালী পরিষ্কার থাকে। আর শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকলে শ্বাস প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াটি সহজেই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।

ধূমপান পরিহার করুনঃ ধূমপান ফুসফুসের ওপর প্রচুর পরিমাণে চাপ সৃষ্টি করে, তাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার জন্য ধূমপান পরিহার করা অত্যন্ত জরুরী। শুধু শ্বাসকষ্টই নয় ফুসফুসের যে কোন সমস্যার জন্য মারাত্মকভাবে দায়ী ধূমপান তাই ফুসফুস ভালো রাখতে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে হলে অবশ্যই ধূমপান পরিহার করতে হয়।

মুক্ত বাতাস গ্রহণ করাঃ অতিরিক্ত গরমের কারণে অস্বস্তি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা যদি শুরু হয় তাহলে , মুক্ত বাতাস গ্রহণ করলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই কমে আসে। গরমের অস্বস্তিতে শ্বাসকষ্ট অনুভূত হতে লাগলে খোলাস স্থানে গিয়ে মুক্ত বাতাস গ্রহণের চেষ্টা করুন অথবা ফ্যানের কাছাকাছি  বসলেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে অনেকটা স্বস্তি পাওয়া যায়।

ব্ল্যাক কফি পান করাঃ শ্বাসনালীর পেশিগুলোকে আরাম প্রদান করতে বিশেষভাবে কার্যকরী ক্যাফাইন নামক উপাদান , যা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় কফির মধ্যে। তাই শ্বাসকষ্টের সময় কফি পান করলে এর মধ্যে থাকা ক্যাফেইন নামক উপাদান শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে।

মধুঃ যুগ যুগ ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করার জন্য মধু ব্যবহার হয়ে আসছে মধু। কারো যদি শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হয় তাহলে খাঁটি মধুর নাখের কাছে এনে শ্বাস টানলে অথবা মধু ও হলুদ একত্রে পান করলে এই রেমিডিটি শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

কালোজিরাঃ শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করুন। কালোজিরা শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে। কালোজিরা ,মধু , দুধ অথবা চায়ের সাথে মিশিয়ে খেলে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সরিষার তেল ম্যাসাজঃ শ্বাসকষ্ট কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া উপাদান গুলোর মধ্যে রয়েছে সরিষার তেলও। শ্বাসকষ্টের সময় হালকা গরম করা সরিষার তেল রোগীর গলায় , বুকে পিঠে ভালোভাবে মাসাজ করে দিলে শ্বাসকষ্ট কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

আরো পড়ুনঃ কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে

মাস্ক বা গরম কাপড় পরিধানঃ শীতকালে ঠান্ডা বাতাস এবং বাতাসে থাকা ধুলোবালি , ফুলের রেনু নাকের ভেতর দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে , আর এই ঠান্ডা বাতাস ও ধুলোবালি ফুসফুসে প্রবেশের কারণে হতে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যা এছাড়াও যাদের একটুতেই ঠান্ডা লাগার প্রবণতা আছে তাদের শীতকালের সময়টি শ্বাসকষ্টে কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে ঠান্ডা লাগা তাই এই সময় সব সময় গরম কাপড় পরিধান এবং বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক পরিধান করলে , ঠান্ডা লাগা জনিত শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই রোধ করা যাবে।

কোন বড় ধরনের সমস্যা ছাড়া বা অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট ছাড়া যদি সামান্য শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এই সব ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে শ্বাসকষ্ট যদি জটিল কোন রোগের কারণে হয় অথবা মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে সে ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না

বেশ কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো শ্বাসকষ্ট সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে তাই এই খাবারগুলো নাম জেনে রাখা উচিত এবং শ্বাসকষ্টের রোগীদের ও শ্বাসকষ্টের সময় এ ধরনের খাবারগুলো এড়িয়ে চলায় ভালো। যেসব খাবারগুলো শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়াতে পারে এই ধরনের খাবারগুলো হলো,

আরো পড়ুনঃ ফুসফুস ভালো আছে বোঝার উপায়

চিংড়ি মাছ , পনির , ঠান্ডা দুধ , আইসক্রিম , ড্রাই ফ্রুটস , ওমেগা ৬ ও ফাটি এসিড , অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার , গরুর মাংস , ইলিশ মাছ , ঘাসের মাংস , হাঁসের ডিম , বেগুন , মিষ্টি কুমড়া , কাঁকড়া , লাব স্টার , নারিকেল ইত্যাদি। এছাড়াও কৌটা জাত ও প্যাকেটজাতকরণ খাবার , প্রিজারভেটিভ যুক্ত খাবার , যেসব খাবারে সালফাইট অতিরিক্ত মাত্রায় থাকে এই ধরনের খাবার , এলার্জি যুক্ত খাবার, ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার ইত্যাদি।

মন্তব্য , করে আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনেছেন শ্বাসকষ্টের পেছনে সাধারণ কিছু কারণ ছাড়াও বিশেষ এবং জটিল কিছু রোগের হাত রয়েছে। ঠান্ডা লাগার সমস্যা বা এলার্জির সমস্যার কারণে সাময়িক শ্বাসকষ্ট হলে এই বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেয়া গেলেও যদি নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত মাত্রায় শ্বাসকষ্ট হতে থাকবে তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url