সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ - সূরা ফাতিহা অর্থ
"সূরা ফাতিহা" পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনের প্রথম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয় এবং এই সূরার আয়াত সংখ্যা মোট সাতটি। নির্ভরযোগ্য হাদিস থেকে জানতে পারা যায় যে নবুয়ত লাভের পরে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু আয়াত নাজিল হলেও সুরা ফাতিহা সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা হিসেবে নাযিল হয়েছিল।
সূরা ফাতিহা হলো অত্যন্ত বরকতময় এবং ফজিলতপূর্ণ একটি সূরা এবং এই সূরার ভেতরেই সম্পূর্ণ কুরআনের সারমর লুকিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ সমগ্র কুরআনে যা বিস্তারিতভাবে বলা রয়েছে তা সংক্ষেপে বলা আছে সূরা ফাতিহার ভেতরে। প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য এই সূরাটি অপরিহার্য। এই সূরাটি শুধু একটি বরকতময় সূরা নয় পাশাপাশি এটি একটি উত্তম দোয়াও এবং সূরা ফাতিহা হল যে কোন রোগের মহা ঔষধ। আর এ কারণেই মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা উচিত সূরা ফাতিহা আরবি , সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ এর অর্থ এবং সূরা ফাতিহার ফজিলত সম্পর্কে।সূচিপত্রঃ সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ - সূরা ফাতিহা অর্থ
- সূরা ফাতিহার ফজিলত
- সূরা ফাতিহা আরবি
- সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ
- সূরা ফাতিহা অর্থ
- সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি
সূরা ফাতিহার ফজিলত
• সূরা ফাতিহাকে উম্মুল কুরআন বা কুরআনের জননী বলা হয়। এর ফজীলত অফুরন্ত। পবিত্র অবস্থায় এই সূরা পড়ে রোগীকে ফুঁক দিলে রোগারোগ্য হয়।
• এ সূরা লিখে গৃহের দরজায় ঝুলিয়ে রাখলে সে গৃহে কোন বিপদ আসে না নিদ্রার পূর্বে পাঠ করলে মৃত্যুর ব্যতীত আর কোনো বিপদে পতিত হবে না।
• এ সূরা বিসমিল্লাহর মিলিয়ে পাঠ করে প্লেগ ও কলেরা রোগীর শরীরে ফুঁক দিলে আশ্চর্যরূপে আরোগ্য হয়। নিঃসন্তান দম্পতি যদি ৪০ দিন একাধারে এই বরকতময় সূরা আমল করে তাহলে আল্লাহর রহমতে সন্তান লাভ করবে।
• এ সূরা প্রত্যহ শেষ রাতের ৫১ বার পড়লে সংসারে উন্নতির দিকে অগ্রসর হবে ও সকল কাজ সহজসাধ্য হবে।
• ফজরের নামাজের পর যে ব্যক্তি এ সূরা ১২৫বার পড়বে, নিঃসন্দেহে তার বৈধ ইচ্ছা পূরণ হবে। • কোন কারারুদ্ধ ব্যক্তি যদি এ সূরা হাতকড়া ও পায়ের বেড়ির ওপর ফুঁক দেয়, তা হলে, তাহলে শীঘ্রই তার মুক্তির ব্যবস্থা হবে।
• যদি কেউ প্রবাসে যাওয়ার সময় ও প্রবাস থেকে ফিরবার সময় ৪১বার পাঠ করে শরীরে ফুঁক দেয়, ইনশাল্লাহ পরে তার কোন বিপদ হবে না।
• সূরা ফাতিহা ৪১ বার পড়ে চোখে ফুঁক দিলে চক্ষুরোগ ভালো হয় ও দাঁতের ফুঁক দিলে দাঁতের বেদনা উপশম হয় , প্লেট বা কলেরা রোগ দূর হয় , মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। এছাড়াও হাদিস শরীফের বর্ণনায় জানতে পারা যায় যে ৪১ বার সূরা ফাতিহা তেলাওয়া করে ফু দিলে সাপের বিষ নষ্ট হয় , মৃগী রোগ ভালো হয় , বহুমূত্র , বাত , কাশি সহ বিভিন্ন রোগ থেকে আরোগ্য পাওয়া যায় এবং জীবনে উন্নতি লাভ করা যায়।
• জ্বরের রোগীমে এ সূরা পড়ে পানিতে ফুঁক দিয়ে ঐ পানি খাওয়ালে আল্লাহর রহমতে জ্বর ভালো হয়ে যাবে ।
• নেশাগ্রস্ত সন্তানের মা কিংবা বাবা ফজর ও মাগরিবের নামাজান্তে এ সূরা ৩বার পড়ে ফুঁ দিয়ে হাতে সামান্য থুতু নিয়ে ঐ সন্তানের সমস্ত শরীরে বুলিয়ে দিবে, ইনশাআল্লাহ সে খারাপ পথ থেকে ফিরে আসবে।
সূরা ফাতিহা আরবি
- الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
- الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
- مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
- إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
- اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
- صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ
- غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ
- আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন।
- আররহমা-নির রাহি-ম।
- মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।
- ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন
- ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম
- সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম
- গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।(আমিন)
সূরা ফাতিহা অর্থ
ফাতিহা শব্দের অর্থ হলো ভূমিকা , সূচনা , প্রারম্ভিকা। আর
কুরআনের প্রথম সূরা আল ফাতিহার সম্পূর্ণ অর্থ হলো,
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
- যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা
- যিনি দয়াময় ও মেহেরবান
- যিনি বিচার দিনের মালিক
- আমরা কেবল তোমার ইবাদত করি এবং কেবল তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি
- আমাদেরকে সরল ও সঠিক পথ প্রদর্শন কর
- তাদের পথে পরিচালিত করো যাদের তুমি পুরস্কৃত করেছ
- তাদের পথে নয়, যারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url