এক কথায় প্রকাশ (২০০+) - বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা এক কথায় প্রকাশ
দুই বা ততদিন পথ বা শব্দ এক পদে মিলিত হয়ে পুরো বাক্য বা অক্ষাংশের অর্থ প্রকাশ করলে সেটাকে বাক্য সংকোচন বলে আর বাক্য সংকোচন এরই আরেক নাম হল এক কথায় প্রকাশ।
এক কথায় প্রকাশ বা বাক্য সংকোচন বাক্যকে সংক্ষিপ্ত এবং শ্রুতি মধুর করে
তোলে এ কারণে সাধারণ ভাসি থেকে শুরু করে কবি-সাহিত্যিক , উপন্যাসিক সবাই ভাষা
ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাক্য সংকোচন ব্যবহার করে থাকেন।আজকে আপনাদের
জানাবো বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ এর তালিকা।
এক কথায় প্রকাশ - বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা এক কথায় প্রকাশ
- অনুকরণ করার ইচ্ছা - অনুচিকীর্ষা।
- অনেকের মধ্যে একজন - অন্যতম।
- অপকার করার ইচ্ছা - অপচিকীর্ষা।
- অমৃতের ন্যায় মধুর - অমৃতমধুর।
- অক্ষির অগোচরে - পরোক্ষ।
- অকালে যে পেকেছে - অকালপক্ব।
- অক্ষির সম্মুখে - প্রত্যক্ষ।
- অভিনয় করে যে - অভিনেতা।
- অন্য উপায় না থাকা - অনন্যোপায়।
- অপকার করতে ইচ্ছুক - অপচিকীর্ষু।
- অনেকের মধ্যে বেশি -অধিকতর।
- অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক - অনুসন্ধিৎসু।
- অনুভব হচ্ছে এমন - প্রতীয়মান।
- অনুমানের দ্বারা জ্ঞাত - অনুমিত।
- অন্য কাল - কালান্তর।
- অকালে বা অসময়ে জাত কুষ্মাণ্ড - অকালকুষ্মণ্ড।
- অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা - প্রত্যুদগমন।
- অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয় - নাতিশীতোষ্ণ।
- অগ্রে জন্মগ্রহণ করে যে - অগ্রজ। ।
- অতি দীর্ঘ নয় যা - নাতিদীর্ঘ।
- অন্য দিকে মন নেই যার - অনন্যমনা।
- অতি ক্ষুদ্র বস্তুর দর্শন যন্ত্র - অণুবীক্ষণ।
- অপরাধ নেই যার - নিরাপরাধ।
- আল্লাহর উপর বিশ্বাস আছে যার - আস্তিক।
- আল্লাহর উপর বিশ্বাস নাই যার - নাস্তিক।
- আয় অনুসারে ব্যয়কারী - মিতব্যয়ী।
- আচারে নিষ্ঠা আছে যার - আচারনিষ্ঠ।
- আদি হতে অন্ত পর্যন্ত - আদ্যোপান্ত।
- আদরের সঙ্গে - সদরে।
- আট মাস মাতৃগর্ভে থেকে যে জন্মে - আটাশে।
- আপনার বর্ণ যে লুকায় - বর্ণচোরা।
- আপনাকে যে পন্ডিত মনে করে - পণ্ডিতম্মন্য।
- আপাত যা মধুর - আপাতমধুর।
- আলোচনার যোগ্য - আলচ্য।
- আমিষের অভাব - নিরামিষ।
- আপনাকে ভুলে থাকে যে - আত্মভোলা।
- আকাশে চরে বেড়ায় যে - খেচর।
- আহারের অযোগ্য - অখাদ্য।
- আট প্রহর - অষ্টপ্রহর।
- আদব জানে না যে - বেআদব।
- আশাকে অতিক্রম করে - আশাতীত।
- আট প্রহরে যা পরা যায় - আটপৌরে।
- আপনার বশে আনিত - অধিকৃত। ।
- ইতিহাস রচনা করেন যিনি - ঐতিহাসিক।
- ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে - জিতেন্দ্রিয়।
- ইতোমধ্যকার ঘটনা - ইদানিং।
- ইন্দ্রকে জয় করেছেন যিনি - ইন্দ্রজিৎ।
- ইদের দিনে একসঙ্গে উপাসনা করার স্থান -ইদগাহ।
- ঈষৎ আমিষ গন্ধ যার - আঁশটে।
- ঈষৎ বম্কিম দৃষ্টি - কটাক্ষ।
- উপস্থিত বুদ্ধি আছে যার - প্রত্যুৎপন্নমতি।
- উপকার করার ইচ্ছা - উপচিকীর্ষা।
- উপকার করতে ইচ্ছুক - উপচিকীর্ষু।
- উপায় নেই যার - নিরুপায়।
- উপকারীর অপকার করে যে - কৃতঘ্ন।
- উৎপন্ন হচ্ছে যা - উৎপন্নমান
- ঋণ মোচনের জন্য যে দাসত্ব স্বীকার করে - ঋণদাস।
- এক থেকে আরম্ভ করে - একাদিক্রমে।
- একই মায়ের সন্তান - সহোদর।
- একই গুরুর শিষ্য - সতীর্থ।
- এক বিষয়ে যার চিত্ত নিবিষ্ট - একাগ্রচিত্ত।
- এক দিকে দৃষ্টি যার - একচোখা।
- একই সময়ে বর্তমান - সামসময়িক।
- এখন পর্যন্ত যার শত্রু জন্মেনি - অজাতশত্রু।
- এখন বশে আছে যা - বশীভূত।
- এ পর্যন্ত যার দাড়ি - গোঁফ জন্মায়নি - অজাতশ্মশ্রু।
- একই সময়ে - যুগপৎ।
- একবার ফল দিয়ে যে গাছ মরে যায় - ওষধি।
- কর্ণ পর্যন্ত বিস্তৃত - আকর্ণ।
- কণ্ঠ পর্যন্ত - আকণ্ঠ।
- কী করতে হবে বুঝতে পারে না যে - কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
- কর্মে অতিশয় কুশল - কর্মঠ।
- কোনো কিছুতে বা কোথাও ভয় নেই যার - অকুতোভয়।
- কর দান করে যে - করদ।
- কোনোক্রমেই যা নিবারন করা যায় না - অনিবার্য।
- কাঠের দ্বারা নির্মিত - কাষ্ঠ নির্মিত।
- কানে কানে যে কথা - কানাকানি।
- কোথাও উঁচু কোথাও নিচু - বন্ধুর।
- কষ্টে লাভ করা যায় যা - দুর্লভ।
- কষ্টে জয় করা যায় যা - দুর্জয়।
- কবিতা লেখেন যিনি - কবি।
- কাঁচা তরকারি - আনাজ।
- কূলের সমীপে - উপকূল।
- কচি পাতার মতো নরম ঠোঁট দুটি - অধরপল্লব।
- কথায় যা বর্ণনা করা যায় না - অবর্ণণীয় ।
- ক্ষমার যোগ্য - ক্ষমার্হ।
- ক্ষমা করার ইচ্ছা - তিতিক্ষা।
- ক্ষয় প্রাপ্ত এমন - ক্ষীয়মান।
- ক্ষুধা দ্বারা পীড়িত - ক্ষুৎপীড়িত।
- খাবার ইচ্ছা - ক্ষুদা।
- খাবার অযোগ্য - অখাদ্য।
- খারাপ যে খাদ্য - কুখাদ্য।
- খরচের হিসাব নেই যার - বেহিসেবি।
- খাবার যোগ্য - খাদ্য।
- খেয়া পার করে যে - পাটনি।
- খ্যাতি আছে যার - খ্যাতিমান।
- গোপন করার ইচ্ছা - জুগুপ্সা।
- গভীর রাত্রি - নিশীথ।
- গাছে উঠতে পটু - গেছো।
- গোলাপের মতো রং যার - গোলাপি।
- গাছে পাকা - গাছপাকা।
- গ্রাস করা হয়েছে এমন - কবলিত।
- গতি নাই যার - অগত্যা।
- গমন করে না যে - নগ।
- ঘাম ঝরে পড়েছে এমন - গলদঘর্ম।
- ঘৃণার যোগ্য - ঘৃণ্য।
- ঘর নেই যার - হাঘরে।
- ঘরে আশ্রিত যে জামাই - ঘরজামাই।
- ঘোড়ার ডাক - হ্রেষা।
- চেটে খেতে হয় এমন - লেহ্য।
- চোখে যার লজ্জা নেই - বেহায়া।
- চোখের সম্মুখে - প্রত্যক্ষ।
- চৈত্র মাসের ফসল - চৈতালি।
- চিরকাল ধরে স্থায়ী - চিরস্থায়ী।
- চিবিয়ে ও চুষে খেতে হয় এমন - চর্ব্যচুষ্য।
- চাষের কাজ হতে উদ্ভুত - কৃষিজাত
- ছুড়ে ফেলা হয়েছে এমন - নিক্ষিপ্ত।
- ছড়ানো হয়েছে এমন - বিকীর্ণ।
- ছোট ছোট গাছ - গাছড়া।
- ছল করে কান্না - মায়াকান্না।
- জানবার ইচ্ছা - জিজ্ঞাসা।
- জানতে ইচ্ছুক - জিজ্ঞাসু।
- জীবন পর্যন্ত - আজীবন।
- জন্ম হতে - আজন্ম।
- জলে ও স্থলে যে বিচরণ করে - উভচর।
- জীবিত থেকেও মৃত - জীবন্মৃত।
- জয় করতে ইচ্ছুক - জিগীষু।
- জলে চরে যে - জলচর।
- জ্বলজ্বল করছে যা - জাজ্বল্যমান।
- তবলায় যে দক্ষ - তবলচি।
- তল স্পর্শ করা যায় না যার - অতলস্পর্শ।
- তন্তু দিয়ে বয়ন করে যে - তাঁতি, তন্তুবায়।
- তিনটি ফলের সমাহার - ত্রিফলা।
- তুলা দিয়ে তৈরি - তুলট।
- দেখার ইচ্ছা - দিদৃক্ষা।
- দেখা যায় না যা - দৃশ্যমান।
- দর্শনে যিনি পারদর্শী - দার্শনিক।
- বছরে দুবার ফসল জন্মেছে এমন - দো-ফসলি।
- দিনের প্রথম ভাগ - পূর্বাহ্ণ।
- ধন নাই যার - নির্ধন।
- ধার আছে যাতে - ধারালো।
- ধূলি - ধূসরিত হয়ে যে উৎসব সম্পন্ন হয় - ধুলোট।
- নগরের উপকন্ঠ - উপনগর।
- নিশাকালে যে চরে বেড়ায় - নিশাচর।
- নিজের জীবন বৃত্তান্ত - আত্মকাহিনী।
- নৌকা দিয়ে জীবন নির্বাহ করে - নাবিক।
- প্রিয় কথা বলে যে নারী - প্রয়ংবদা।
- পূর্বে বশ ছিলো না, এখন বশ হয়েছে - বশীভূত।
- পা হতে মাথা পর্যন্ত - আপাদমস্তক।
- পান করার ইচ্ছা - পিপাসা।
- পুনঃপুন দুলছে যা - দোদুল্যমান।
- পুনঃপুন জ্বলছে যা - জাজ্বল্যমান।
- পুনঃপুন কাঁদছে যা - রোরুদ্যমান।
- পূর্বে যা কখনো ঘটেনি - অভূতপূর্ব।
- ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়- ওষধি
- ফুল হতে জাত- ফুলেল
- ফাঁস গলায় পরিয়ে প্রাণ বধ করে যে- ফাসুড়ে
- বাঘের চামড়া- কৃত্তি
- বলার ইচ্ছা- বিবিক্ষা
- বিশ্বজনের জন্য হিতকর- বিশ্বজনীন
- বয়সে সকলের চেয়ে ছোট- কনিষ্ঠ
- ব্যাকরণ জানেন যিনি- বৈয়াকরণ
- বহুর মধ্যে একটি- অন্যতম
- বীর সন্তান প্রসব করেন যিনি- বীরপ্রসূ
- বলার যোগ্য নয় যা- অকথ্য
- বিবেচনা করে কাজ করে না যে- অবিমৃষ্যকারী
- বীরের ধ্বনি- হুংকার বাস্তু হতে উৎখাত করা হয়েছে যা- উদ্বাস্তু
- বলা হয়েছে যা- উক্তি
- বংশ পরিচয় জানা নেই যার- অজ্ঞাতকূলশীল
- বপন করা হয়েছে যা- উপ্ত
- ভোজন করার ইচ্ছা- বুভুক্ষা
- ভয় নাই যার- নির্ভিক
- ভাতের অভাব- হাভাত
- ভাসছে যা- ভাসমান
- মরার মতো- মৃতবৎ
- মর মর অবস্থা হয়েছে যার- মুমূর্ষ
- মমতা নেই যার- নির্মম
- যা হয়ে পারে না- অসম্ভব
- যার তুলনা নাই- অতুলনীয়
- যার অন্য উপায় নেই- অনন্যোপায়
- যা পূর্বে ছিল এখন নাই- ভূতপূর্ব
- যে অন্য দিকে মন দেয় না- অনন্যমনা
- যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে- কৃতজ্ঞ
- যার নাম কেউ জানে না- অজাতনামা
- যে গাছ অন্য গাছের উপর জন্মে- পরগাছা
- যে জামাই শ্বশুর বাড়িতে থাকে- ঘরজামাই
- যে দিনে মাত্র একবার আহার করে- একহারী
- রাত্রের শেষ ভাগ - শেষরাত্র।
- রাতের প্রথমভাগ - সন্ধ্যারাত।
- রাতের মধ্যভাগ - নিশিরাত্র।
- রস আছে যাতে - রসাল।
- রেশম দ্বারা তৈরি - রেশমি।
- লজ্জা বেশি যার - লাজুক।
- লজ্জা নেই যার - বেহায়া, নির্লজ্জ, বেলাজ।
- লাভ করার ইচ্ছা - লিপ্সা।
- লোক সম্বন্ধীয় - লৌকিক।
- শক্তিকে অতিক্রম না করিয়া - যথাশক্তি।
- শীতও নয়, উষ্ণও নয় এমন - নাতিশীতোষ্ণ।
- শুভক্ষণে জন্ম যার - ক্ষণজন্ম।
- শোনামাত্র যার মুখস্থ হয় - শ্রুতিধর।
- শ্রদ্ধার যোগ্য - শ্রদ্ধেয়।
- শত্রুকে দমন করেন যিনি - অরিন্দম।
- শত্রুকে হনন করে যে - শত্রুঘ্ন।
- সবচেয়ে বড়ো - জ্যেষ্ঠ।
- সবচেয়ে ছোট - কনিষ্ঠ।
- সর্বোৎকৃষ্ট যা - সর্বজনীন।
- সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ - সর্বশ্রেষ্ঠ।
- সহজে নষ্ট হয়ে যায় না যা - অবিনশ্বর।
- সেবা করেন যিনি - সেবক / সেবিকা।
- হত্যা করবার ইচ্ছা - জিঘাংসা।
- হরণ করার ইচ্ছা - জিহীর্ষা।
- হিসাব করে চলে না যিনি - বেহিসাবি।
- হরেক রকম বলে যে - হরবোলা।
- হয়তো হবে - সম্ভাব্য।
- হরিণের চামড়া - অজিন।
- হাতির ডাক - বৃংহিত।
- হিত কামনা করে যে - হিতৈষী।
- হৃত হয়েছে সর্বস্ব যার - হৃতসর্বস্ব।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url