তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ - গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন
নারীদের জীবনে অত্যন্ত ক্রিটিকাল একটি টাইম হল প্রেগনেন্সি পুরো সময়টি। প্রেগনেন্সির এই টাইমটি যেমন ক্রিটিকাল ঠিক তেমনি সেনসিটি তাই এই সময়ের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা প্রত্যেকটি গর্ভবতী মহিলারই দায়িত্ব। প্রেগনেন্সির সময় নিয়ে অনেকেরই একটি প্রশ্ন থাকে আর সেটি হল তলপেট ব্যথা কি প্রেগনেন্সির লক্ষণ , যদি তাই হয় তাহলে গর্ব অবস্থায় তলপেট ব্যথা কেন হয়।
গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথা নিয়ে আজকে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো এবং পেট ব্যথা কমাতে হলে করণীয় কি সে বিষয়েও আপনাদের জানিয়ে দেবো। কারণ প্রেগনেন্সির সময়ে বিভিন্ন সমস্যা বা অসুবিধ গুলো সঠিকভাবে জানা থাকলে তবেই এ সম্পর্কে সচেতন হওয়া সম্ভব আর গর্ভবতী মহিলারা যখন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হবে তখনই গর্বের সন্তান সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ পাবে।সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন - তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ
- তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ
- গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন
- গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা হলে করণীয়
তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ
যারা বিবাহিত এবং বাচ্চা নেয়ার কথা চিন্তা করছেন তাদের তলপেট ব্যথা কি প্রেগনেন্সির লক্ষণ ? এর উত্তর হল হ্যাঁ - তলপেট ব্যথা
হওয়া প্রেগনেন্সির সাধারণ লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় শরীরের
অভ্যন্তরে হরমোন , জরায়ুর প্রসারণ সহ বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটতে থাকে তাই এই
সময় বিভিন্ন কারণে তলপেটে ব্যথা হয়। তবে তলপেট ব্যথা শুধু যে প্রেগনেন্সির
লক্ষণ তাও নয় আরো অনেক সমস্যার লক্ষণ হিসেবে তলপেট ব্যথা হতে পারে। তলপেট ব্যথা
প্রেগনেন্সির লক্ষণ হিসেবে হচ্ছে কিনা বা অন্য কোন সমস্যার কারণে হচ্ছে কিনা সেটা
নিশ্চিত হওয়ার জন্য যারা বিবাহিত রয়েছে এবং যাদের কনসেভ করার পসিবিলিটি
রয়েছে তারা অবশ্যই প্রথমে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর পরেই নিশ্চিত হতে পারেন যে
তলপেট ব্যথাটি প্রেগনেন্সির লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে না এর পেছনে অন্য কোন
সমস্যা হয়েছে।
কারণ প্রেগনেন্সি ছাড়াও তলপেট ব্যথা হতে পারে - মাসিকের কারণে , লুব্রিকেশন
এর অভাব অর্থাৎ যৌন মিলনের সময় মহিলাদের যৌনাঙ্গ যে পিচ্ছিল পদার্থটি বের
হয় সেটি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে না নিঃসরিত হয় তাহলে এই সমস্যাটিকে বলা হয়
লুব্রিকেশন যার কারনে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও সেক্স পজিশন ঠিক না থাকা
,জরায়ুর ইনফেকশন বা জরায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা , ডিম্বোনালি ফেটে যাওয়ার,
এসিডিটি , কোষ্ঠকাঠিন্য , ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন ইত্যাদির কারণে তলপেটে ব্যথা
হতে পারে ।আবার বেশ কিছু জটিল রোগের লক্ষণ যেমন অ্যাপেন্ডিসাইটিস , ফাইব্রয়েড,
কোলন বা মূত্র থলির ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের কারণেও তলপেট ব্যথা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
সুতরাং বুঝতে পারছেন তলপেট ব্যথা প্রেগনেন্সির একটি লক্ষণ হলেও , এই
ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরীক্ষা করাতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল
দেখার পরেই তলপেট ব্যথার কারণনিশ্চিত হতে হবে। কারণ প্রেগনেন্সি ছাড়াও বিভিন্ন
কারণ এবং বিভিন্ন রোগের জন্য তলপেটে ব্যথার সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়াও তলপেটে
তীব্র ব্যথা হলে এ ব্যাপারে অবহেলা না করে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ
গ্রহণ করে নিতে হবে। বিবাহিত অনেকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি ভুল করে থাকেন সেটি
হল দাম্পত্য লাইফে মাসিক বন্ধ হলে এবং তলপেটে ব্যথা হলে তারা মনে করেন এটি হয়তো
প্রেগনেন্সির কারণে , এ ধারণাটি অনেক সময় সত্যি প্রমাণ হলেও , সব সময় যে
এমনটাই হবে তার কোন মানে নেই। তাই তলপেট ব্যথা হলে অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার
মাধ্যমে তবে নিশ্চিত হন ব্যথার কারণ সম্পর্কে।
গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন
গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় অধিকাংশেরই , কারণ তলপেটে হওয়া প্রেগনেন্সির একটি সাধারণ লক্ষন।কিন্তু গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন হয় তা হয়ত অনেকেই জানেন না । গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটতে থাকে আর যার কারণে পেট ব্যথা এই সময় অস্বাভাবিক কোন ব্যাপার নয়।গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকে। যেমন,
জরায়ু বড় হওয়াঃ মেয়েরা গর্ভবতী হলে , সময়ের সাথে সাথে ভ্রুনের বৃদ্ধির কারণে জরায়ু প্রসারিত হতে থাকে। স্বাভাবিক অবস্থায় মেয়েদের জরায়ুর সাধারণত ৬ সেন্টিমিটার হয় ,কিন্তু গর্ভাবস্থায় জরায়ুর আকার প্রসারিত হতে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত এর আকার দিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। গর্ভাবস্থায় জরায়ু প্রসারিত বা বড় হওয়ার কারণে এই সময়ে তলপেটে ব্যথা হয়। ইউটেরাস বড় হওয়ার কারণে সাধারণত গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথা হওয়ার অন্যতম প্রধান একটি কারণ।
পেটে অ্যাসিডিটিঃ প্রেগন্যান্ট অবস্থায় শরীরের অভ্যন্তরে নানান ধরনের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং এই সময় মহিলাদের শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের স্বাভাবিকের তুলনায় মাত্রা বেড়ে যায় যার কারণে ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে চাপ পড়ে। এই সময় শরীরের অভ্যন্তরে হরমোন সহ বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে হজম প্রক্রিয়ার উপরে চাপ পড়ে এবং হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না যার কারণে দেখা যাই , গর্ভবতী মহিলারা যে খাবারগুলো গ্রহণ করে সেগুলো ভালোভাবে ডাইজেস্ট হয় না এবং পেটে এসিডিটির সৃষ্টি আর সেখান থেকেই অনেক সময় তলপেটে ব্যথা হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন হজম প্রক্রিয়া কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ায় প্রেগন্যান্ট অবস্থায় পেটে এসিডিটির কারণে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্যঃ প্রেগন্যান্ট মহিলাদের আরেকটি কমন সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য, অধিকাংশ মহিলাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা যায়। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হলো খাদ্যে সঠিক মাত্রায় ফাইবার না থাকা , মানসিক চাপ এবং পর্যাপ্ত পানি না পান করা এছাড়াও এই সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের আরেকটি মূল কারণ হলো হরমোনের তারতম্যতা। প্রেগনেন্সিতে এই সকল কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় আর কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে তলপেটে ব্যথা অনুভব হয়।
ইউরিন ইনফেকশানঃ ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন এটি প্রেগন্যান্ট মহিলাদের কমন একটি সমস্যা। গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ মেয়েদেরই ইউরিন ইনফেকশন হয়ে থাকে এর কারণ হলো এই সময় শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের পরিবর্তন এবং নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং এই পরিস্থিতিতে মূত্রনালীতে সহজে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন কারণে মূত্রনালীতে বা থলিতে সংক্রমণ জরায়ুর প্রসারনের কারণে এই সময় মূত্র থলিতে চাপ পড়া সহ আরও বিভিন্ন কারণে গর্ভাবস্থায় ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয় , আর ইউরিন ইনফেকশন হলে সেখান থেকেই তলপেটে ব্যথা , প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়।
লিগামেন্টে টানঃ শরীরের হাড় এবং গিরা গুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সুতার মতন কিছু টিস্যু থাকে এই টিস্যুগুলোকে বলা হয় লিগামেন্ট। গর্ভাবস্থায় জরায়ু প্রসারনের কারণে এর আশেপাশে থাকা লিগামেন্ট গুলোর ওপরে চাপ পড়ে এবং এগুলো পুরু হয়ে যায় , যার কারনে অনেক সময় লিগামেন্ট গুলো টান খাওয়ার জন্য তলপেটে ব্যথা , খোঁচা লাগা বা টান লাগার মতন অনুভব হয়
শিশুর বৃদ্ধিঃ সময়ের সাথে সাথে গর্ভে শিশুর বৃদ্ধির কারণে জরায়ু বড় হয়ে যাওয়া এবং শিশু বড় হওয়ার কারণে এর ওজন বৃদ্ধি পাওয়া জন্য ইউরিনারি ব্লাডারে চাপ পড়ে। ইউরিনারি ব্লাডারে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ঠিকমতন প্রসাব হয় না যার কারণে অনেক সময় পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। মূলত সময়ের সাথে সাথে গর্ভে বাচ্চার বৃদ্ধি এবং শারীরিক ওজন বাড়তে থাকার কারণে তলপেট ভারি এবং ব্যথা হয়।
এছাড়াও জরায়ুতে ভ্রুণ যখন নিজের অবস্থান তৈরি করে সেই সময় অর্থাৎ ইমপ্লান্টেশন এর কারণে তলপেটে ব্যথা হতে পারে আবার দু একটি ক্ষেত্রে দেখা যায় অস্বাভাবিক গর্ভধারণ অর্থাৎ জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণের কারণে তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়। তবে মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথা করা স্বাভাবিক একটি কারণ হলেও যদি এই ব্যথা অতিমাত্রায় অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ মত চেকআপ করিয়ে নেওয়া উচিত , উপযুক্ত চেকআপের পরেই নিশ্চিত হতে হবে এই ব্যথাটি প্রেগনেন্সির স্বাভাবিক ব্যথা না কোন জটিলতা রয়েছে সে বিষয়ে। কেননা প্রেগনেন্সিতে প্রচন্ড তলপেট ব্যথা দু একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বা জটিলতার কারণেও ঘটতে পারে। আর প্রেগনেন্সির একদম শেষের দিকে তলপেটে যে ব্যথাটি হয়ে থাকে সেটি মূলত প্রসবের ব্যথা। প্রসব বা ডেলিভারির সময় ঘনিয়া আসলে তার কিছুদিন আগে থেকে হালকা এবং মাঝারি তলপেট ব্যথা অনুভব হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা হলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় কোন কারণগুলোর জন্য তলপেট ব্যথা হয় তা আপনারা পোস্টের উপরের অংশে
জেনেছেন। প্রেগনেন্সিতে তলপেট ব্যথা কোন অস্বাভাবিক কারণ নয় তবে এই সময়টি
যেহেতু অত্যন্ত ক্রিটিকাল এবং সেনসিটিভ তাই এই সময় যে কোন সমস্যা হলে , এ
ব্যাপারেএকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে প্রথমে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত এবং
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যে সাজেশন দেয় সেই মোতাবেক চলা চলতে হবে।
গর্ভাবস্থায় যে কারণেই তলপেট ব্যথা বা পেট ব্যথা সমস্যা হোক না কেন
এই সময় হুটহাট করে কোন ঔষধ বা পেনকিলার খাওয়া যাবে না। পেন কিলার বা কোন
ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ কেননা এই সেনসিটিভ সময়ে
যদি নিয়ম না মেনে ঔষধ খাওয়া হয় বা অসুখের তীব্রতা অনুযায়ী ঔষধের
ডোজ বেশি হয় তাহলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে , অনেক সময়
মিসক্যারেজের মতন ঘটনা ঘটতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডানপাশে ঘুমালে কি হয়
গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হলে প্রথমে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন করতে হবে , কারণ আপনারা
জানেন এই সময় পর্যাপ্ত পানি না পান করা ও ফাইবার জাতীয় খাবার কম খাওয়ার কারণে
পেটে এসিডিটি , কোষ্ঠকাঠিন্য , ডিহাইড্রেশন এ জাতীয় সমস্যা হতে পারে আর
এই জাতীয় সমস্যা থেকে পেট ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। তাই প্রেগনেন্সিতে পেট
ব্যথা কমাতে পর্যাপ্ত পানি এবং ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যদি ইউরিনারি
ট্র্যাক ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলেও পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে কারণ পর্যাপ্ত পানি
পান করলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কম হবে এবং ব্যথার মাত্রা কমবে।
অনেক সময় আশেপাশে থাকা লিগমন্ট গুলো যখন প্রসারিত হওয়া জরায়ুকে সাপোর্ট দেয় তখন তলপেটে টান লাগার মতন ব্যথা অনুভব হয় এই পরিস্থিতিতে ব্যথা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে এবং সময় সাবধানতার সাথে আস্তে আস্তে হাঁটাচলা , ওঠা বসার করতে হবে , হাঁচি কাশির সময় তলপেটে হাত রেখতে হবে। গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হলে হালকা কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন এতে ব্যাথার তীব্রতা অনেকটা কমে যাবে। এক কথায় বলতে গেলে প্রেগনেন্সিতে পেট ব্যথা ভালো করার স্থায়ী কোন সমাধান নেই তবে এই সময় পেটে ব্যথা হলে যতটা সম্ভব খাদ্যি খাবারে সতর্ক , পর্যাপ্ত পানি পান , পর্যাপ্ত বিশ্রাম , প্রেগনেন্সি টাইমের নির্দিষ্ট ব্যায়াম ইত্যাদির মাধ্যমে এই সময়ে হওয়া পেট ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে যদি প্রেগনেন্সিতে অসহ্য বা অতিরিক্ত পেটে ব্যথা হয় তাহলে এ ব্যাপারে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব হতে হবে এবং উপযুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ব্যথা কমানোর জন্য ট্রিটমেন্ট করাতে হবে।
মন্তব্য , এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা তলপেট দেখা প্রেগনেন্সির লক্ষণ কিনা
এবং গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথা কেন হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিয়েছে।
পেটব্যথা ব্যথার তীব্রতা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে অবশ্যই এই ব্যাপারটি
হালকাভাবে না নিয়ে শুরু থেকে সচেতন হন , কারণ গর্ভাবস্থার সামান্য অসচেতনতাও বড়
ধরনের বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url