আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয় - আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত
সূচিপত্রঃ আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয় - আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত
আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত
আয়াতুল কুরসি ফজিলত অনেক বেশি , কুরআন মাজিদের সবচেয়ে মর্যাদা পূর্ণ আয়াত হল আয়াতুল কুরসি। আজকে আপনাদের কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত অর্থাৎ আয়াতুল কুরসি ফজিলত সম্পর্কে জানাবো। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা সুন্নত। কেউ যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাড়াতাড়ি তাড়াতাড়ি পাঠ করে তাহলে এই আয়াতুল কুরসি ফজিলত এর বরকতে সকাল পর্যন্ত শয়তান তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না এবং তার হেফাজতের জন্য আল্লাহ পাক সকাল পর্যন্ত একজন ফেরেশতা নিয়োজিত রাখবেন। এছাড়াও আয়াতুল কুরসি ফজিলত এর বদৌলতে আল্লাহ পাক বিভিন্ন প্রকার বালা মুসিবত এবং অভাব অনটন দূর করবেন।
আয়াতুল কুরসি কোন সূরার আয়াত
আপনাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে যারা হয়তো জানেন না যে আয়াতুল কুরসির কোরআনের কোন সূরা নয় , এটি একটি আয়াত এবং এই আয়াতটিকে পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত বলা হয়। যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আপনাদেরকে জানাবো আয়াতুল কুরসি কোন সূরার আয়াত। তাহলে চলুন আর দেরি না করে যারা আয়াতুল কুরসি কোন সূরার আয়াত এ বিষয়টি জানেন না তারা জেনে নিন। আয়াতুল কুরসি হল -কুরআনের ২ নং সূরা , আল বাকারা এর ২৫৫ নম্বর আয়াত। সূরা বাকারা মদিনায় অবতীর্ণ হয় বলে এই সূরাকে মাদানী সূরা বলা হয়। সূরা বাকারা হল কুরআনের সবচেয়ে বড় সূরা। সূরা বাকারার আয়াতের সংখ্যা হল ২৮৬ এবং এই সূরার ২৫৫ নম্বর আয়াতকে বলা হয় আয়াতুল কুরসি।
আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয়
আপনারা কি জানেন আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয় বা আয়াতুল কুরসি কখন আমল করা উত্তম? যদি না জেনে থাকেন তাহলে , এই বিষয়টিও সঠিকভাবে জেনে নিন। আয়াতুল কুরসি যেহেতু অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ একটি আয়াত তাই আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয় এই বিষয়েও আপনাদের সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আয়াতুল কুরসি পড়ার বা আমল করার উত্তম সময় গুলো হল,
- প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে
- আয়াতুল কুরসী আমল করুন সকাল এবং সন্ধ্যায়
- ফজরের নামাজের পরে
- মাগরিবের নামাজের পর
- এছাড়াও যেকোনো সময় বেশি বেশি আয়তুল কুরসি পাঠ করার মাধ্যমে অসে সওয়াব হাসিল করা যায়
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url