ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে - ফিতরা আদায়ের নিয়ম কানুন
সূচিপত্রঃ ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে - ফিতরা আদায়ের নিয়ম কানুন
ফিতরার পরিমান
ফিতরা কারা দেবে
গৃহকর্তা ফিতরা দেবে নিজ পরিবারের পক্ষে। নিজের দরিদ্র নাবালেক সন্তান-সন্ততিগণের পক্ষ থেকে এটা গৃহকর্তাকে আদায় করে দিতে হবে। ঈদের দিন ফজরের নামাজের পূর্বে যদি কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে তার পক্ষ থেকেও ফিতরা আদায় করতে হবে। তবে যদি ওই সময় কেউ মারা যায় তাহলে তার পক্ষ থেকে ফিতরা দিতে হবে না। আদায় করতে হবে না। কিন্তু কেউ যদি মারা যায় তাহলে তার পক্ষে ফিতরা আদায় করা লাগবে। সন্তান সম্পতি বা স্ত্রী যদি নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয় তাহলে তাদের নিজেদের ফিতরা নিজেরাই আদায় করবে।
ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে
আমাদের অনেকেরই জানা নেই অথবা জানা থাকলেও হয়তো বছর ঘুরে আসতে আসতে সেটি
আমাদের মনে থাকে না যে ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে। ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে
সেটি জানতে হলে অবশ্যই পোস্টের এই অংশটি ভালোভাবে পড়ুন। ফিতরা কাকে দেওয়া
যাবে সে বিষয়টি নিয়ে তুলে ধরা হল।
- দরিদ্র ভাইবোন থাকলে তারা ফিতরা গ্রহণ করতে পারবে
- গরিব প্রতিবেশী
- কাছে বা দূরের ফকির মিসকিন
- গরিব বা আমলে ওলামাগণ
- একজন ব্যক্তির ফিতরা একজনকেই দেওয়া উত্তম তবে একাধিক ব্যক্তিকে দেওয়ার নিয়ম আছে।
- বহু মানুষের ফিতরা একজনকে দেওয়া যায়
- কোন প্রতিষ্ঠান বা মসজিদ মাদ্রাসা রাস্তাঘাট ইত্যাদি তৈরির কাজে ফিতরা দেওয়া জায়েজ নাই
ফিতরা আদায়ের নিয়ম
ফিতরা কাদের উপরে ওয়াজিব
ফিতরা আদায়ের কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই, যে কোন বয়সের সামর্থ্যবান ব্যক্তি তার নিজের ফিতরা আদায় করতে পারবে। আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে ফিতরা কাদের উপরে ওয়াজিব। নিচে জেনে নিন ফিতরা কাদের ওপর ওয়াজিব। সব পরিমাণ সম্পদের প্রত্যেকটি মালিক অথবা নর-নারী ক্ষেত্রে ঈদুল ফিতরের নামাজের পূর্বে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। এখানে নিসাব পরিমাণ বলতে বোঝানো হয়েছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা এর সমমূল্য পরিমাণ ব্যবসার পণ্য বা নগদ অর্থ এবং সম্পত্তির মালিক হওয়াকে। কেউ নিসাব পরিমাণ অর্থের মালিক হলে । তার নিজের ও তার পরিবারের সকলের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব।
অবশ্যই গৃহকর্তা তার নিজের এবং তার পরিবারের ব্যক্তিবর্গ যদি
অসামর্থ্যবান হয় তাহলে তাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করবে।
নিজের গরিব ছেলে মেয়ের পক্ষ থেকে এটা পরিবারের প্রধান কে
আদায় করতে হবে। ঈদের দিন এর আগে অর্থাৎ ফজরের নামাজের আগে যদি কোন
বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে তবে তার পক্ষ থেকেও ফিতরা আদায় করতে হবে, তবে সেই
সময় যদি কেউ পরলোক গমন করে তাহলে তার কক্ষের ফিতরা আদায় করার প্রয়োজন
নেই। ফিতরা যেহেতু রমজান মাসে আদায় করতে হয় এই কারণে ঈদের দিন
সূর্যাস্তের পরে যদি কোন বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় তাহলে তার পক্ষে ফিতরা আদায়
করার প্রয়োজন হয় না।
কোন ব্যক্তির স্ত্রী অথবা ছেলে মেয়ে যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তাহলে তাদেরকে নিজের ফিতরা নিজেদের আদায় করতে হবে সেই ক্ষেত্রে গৃহকর্তা অথবা বাড়ির প্রধান ফিতরা আদায় করে দিলে সেটির জায়েজ হবে না।
মন্তব্য , আমাদের ঈমান পূর্বের নবী-রাসূল এবং উম্মতগণের মতন অতটা শক্তিশালী না হওয়ার কারণে , রমজান মাসেও রোজা থেকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বা দুর্ভাগ্যবশত নিজেদের অজান্তেই অনেক ধরনের গুনাহ বা পাপ হয়ে থাকে , আর এই ফিতরা রোজার ভুল ত্রুটির কাফফারা স্বরূপ কাজ করে এবং মনে রাখবেন, রোজাদারের রোজা আসমানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে এবং তারা আদায় করা মাত্র আল্লাহর কাছে আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url