30+ Interesting Psychological Facts - সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্টস

হিউম্যান সাইকোলজি হল এমন একটি বিষয় যা জানা থাকলে , আপনার জীবনের অধিকাংশ সমস্যায় সহজে কাটিয়ে উঠতে পারবেন। এছাড়াও সাইকোলজিকে কাজে লাগিয়ে অন্য কেউ আমাদের কে ইউজ করছে কিনা অন্যের কাছে আমরা বোকা হয়ে যাচ্ছি কিনা সে বিষয়েও বুঝতে পারবেন। এছাড়াও সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্টগুলো যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কিভাবে বড় বড় মার্কেটিং কোম্পানিগুলো আমাদের সাইকোলজিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ফায়দা হাসিল করে নিচ্ছে। আর আজকে আপনাদের এরকমই বেশ কিছু সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট সম্পর্কে জানাবো।

Psychological Facts 

#  বিভিন্ন পণ্যের প্রাইস ট্যগ 499 বা 999 এভাবে লেখা থাকে। এ ধরনের প্রাইস ট্যাগ সিলেক্ট করা হয়ে থাকে আমাদের সাইকোলজিক্যাল ফুল বানানোর জন্য। কারণ যখন আমরা কোন প্রাইস কে দেখি তখন আমাদের মনোযোগ সেই প্রাইসের ফার্স্ট ডিজিজ এর উপরে পড়ে। এবং এই ফার্স্ট ডিজিজ দেখে আমরা তার 50% সম্পর্ক ধারণা করি যেমন - 1999 কে আমরা 1000 এর রেঞ্জ মনে করি। এখানে যদি 1 টাকা না কমিয়ে 2000 লিখা থাকতো তাহলে সেই প্রাইস কে আমরা  2000 এর রেঞ্জে দেখতাম ।

# মানুষ যখন ক্যাশ টাকার পরিবর্তে কার্ড এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে তখন দেখা যায় নিজের অজান্তেই অনেক বেশি খরচ ফেলে। এর কারণ হলো কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে তার হাত থেকে টাকা যে অন্যের হাতে চলে যায় এ ব্যাপারটি তখন মানুষ সাইকোলজিক্যালি ফিল করতে পারে না।

# মানুষের মনে কি চলছে তার ৫৫% বোঝা যায় বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে , ৩৮ % বোঝা যায় তার কন্ঠ থেকে এবং ৭% বোঝা যায় তার ভাষার দেখে।

# যারা কম কথা বলে , তারা মানসিকভাবে অত্যন্ত স্ট্রং হয়ে থাকে।

# আমাদের সাব কনসিয়াস মাইন্ড এর ঠিক ভুল বোঝার ক্ষমতা নেই - আর এই কারণেই , আমরা যখন বেশি নেগেটিভ চিন্তাভাবনা করি তখন সবকিছুতেই নেগেটিভ খেয়াল আসে এবং পজেটিভ চিন্তাভাবনা করতে থাকলে পজেটিভ খেয়াল আসতে থাকে।

# কনভারসেশনের সময় সামনে থাকা ব্যক্তির নাম ইউজ করে কথা বললে সে ব্যক্তি আপনার সাথে কানেক্টেড ফিল করে - আর এই সাইকোলজিটিকে বলা হয় Name game. কারণ অন্যের মুখে আমরা আমাদের নাম শুনতে পছন্দ করি।

# চোখে চোখ রেখে কথা বললে মানুষের স্মার্টনেস এবং এট্রাকশন বৃদ্ধি পায়। এইজন্য অবশ্যই পছন্দের মানুষের সাথে কথা বলার সময় Eye Contact মেনটেইন করুন

# মানুষ যখন তার পছন্দের ড্রেস তৈরি করে তখন সে স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ % বেশি কনফিডেন্স ফিল করে।

# সাইকোলজি অফ  অ্যাট্রাকশন এর হিসেবে হিউম্যান ন্যাচার সেই সব লোকেদের বেশি পছন্দ করে যাদের পছন্দ আমাদের পছন্দের সাথে মিলে যায়।

# যদি কারো কপালের দিকে তাকিয়ে কথা বলা হয় তাহলে সে ব্যক্তি নার্ভাস ফিল করে শুরু করে।

# যখন কাউকে তার পছন্দের মানুষ অবজারভ করা শুরু করে তখন সাময়িকভাবে তার ব্রেনের কার্যকরিতা কমে যায়।

# কান্না আমাদের মুড ভালো করার থেরাপি হিসেবে কাজ করে , কোন কারনে দুঃখ বা কষ্ট পেয়ে কান্না করলে এরপর দেখা যায় 88.8% পর্যন্ত ভালো করতে পারে।

# রাতের বেলা মানুষের সাব কন্সিয়াস মাইন্ড বেশি একটিভ থাকে , যার কারনে রাতের বেলা মানুষ ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা করতে পারে।

# অতিরিক্ত চিন্তা আমাদের একাকীত্ব , ডিপ্রেশন বাড়িয়ে তোলে। যারা কাজকর্মে ব্যস্ত থাকে তারা সাধারণত হতাশা এবং একাকিত্বে কম ভোগে। তাই একাকীত্ব বা হতাশা দূর করতে হলে কাজের প্রতি কনসেনট্রেট করা উচিত।

# একদল লোক যদি কোন কারণে হাসতে থাকে তাহলে , কোন ব্যক্তি ওই ব্যক্তির দিকে সবচেয়ে প্রথমে তাকাবে যাকে সে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে।

# আমাদের ব্রেন যা ভাবে সেই অনুযায়ী আমাদের শরীরের কোষগুলো প্রতিক্রিয়া দেখাতে থাকে।

# নীল এবং সবুজ রং আমাদের ক্রিয়েটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করে।

# লাল হলুদ এবং কমলা রং গুলো আমাদের Carving বাড়িয়ে তোলে , আর এ কারণেই সাধারণত রেস্টুরেন্টের ওয়াল ও লোগোতে এই রং গুলো বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

# লালা রং কে বলা হয় -  Official colour of attraction.

# মানুষকে কঠিন রুলস দিলে , তা সে ব্রেক করতে চায়।

# আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা মানুষের কনফিডেন্স লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে , যার ফলে  পাবলিক স্পিকিং এবং প্রেজেন্টেশন অনেক সহজ হয়ে যায়।

# সামনে থাকা মানুষটি কি চিন্তা ভাবনা করছে তা সম্পর্কে আপনি যদি অনুমান করতে চান তাহলে , ঠিক তার মতন অঙ্গভঙ্গি করুন। এতে তার ভেতরে যে চিন্তা-ভাবনা চলছে , সেগুলো আপনার ভেতরেও দেখা দিবে।

# যখন কেউ আমাদেরকে ইগনোর করে তখন আমরা সেই ব্যক্তির উপরে বেশি করে কনসেনট্রেট দেয়া শুরু করি এর কারণ, আমাদের মস্তিষ্ক না শুনতে পছন্দ করে না এবং আনফ্রেন্ডলিনেস কে একটা চ্যালেঞ্জ বা গোল হিসেবে দেখা শুরু করে। এবং এই চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে সফল করার জন্য সেদিকে অধিক মনোযোগী হয়ে ওঠে।

# আমাদের ব্রেনের স্মৃতি ধরে রাখার অংশের সাথে ঘ্রাণ ইন্দ্রের সংযোগ রয়েছে আর এই কারণে অনেক সময় -কোন পরিচিত ঘ্রাণ আমাদের অতীতের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।

# কোন কাজ মানুষের অভ্যাসের পরিণত হতে ৬৬ দিন সময় লাগে। গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ যদি নিয়মিতভাবে কোন কাজ ৬৬ করে তাহলে সেই কাজটি তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। শুধু তাই নয় কোন অভ্যাস থেকে বের হতে হলেও মিনিমাম ৬৬ কষ্ট করতে হয়।

# নিজের জীবনের লক্ষ্য কখনো কাউকে বলতে নেই কারণ, কেউ যখন জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে মানুষকে বলে দেয় তখন মস্তিষ্ক থেকে এমন এক ধরনের হরমোন রিলিজ হয় যা কাজের সফলতা পাওয়ার অনুভূতি দেয় এবং এই কারণেই পরবর্তীতে লক্ষ্য অর্জনের প্রতি মোটিভেশন কমে যায় আর যার কারণেই মানুষ তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।

# সূর্যের আলো মনের সুস্থতার জন্য বিশেষ কার্যকরী। সূর্যের আলো আমাদের শরীরের সুখ হরমোন রিলিজ হতে সাহায্য করে। আর এই কারণে কাজের ফাঁকে ফাঁকে সূর্যের আলোতে কিছুক্ষণ বের হওয়া উচিত, এতে শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে আর কাজের উপর মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

# অন্য ভাষায় চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিলে তুলনামূলকভাবে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় , কেননা যখন আমরা মাতৃভাষায় চিন্তা করি তখন আমাদের ব্রেনের লজিক্যাল পার্টের তুলনায় , ইমোশনাল পার্টটা বেশি সক্রিয় থাকে আর এই কারণে মাতৃভাষায় চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিলে লজিকের তুলনায় ইমোশনকে আমরা বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি।

# মানুষ মারা যাওয়ার পরেও তার ব্রেন সাত মিনিট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আর এই 7 মিনিট সময়ে ব্রেন তার জীবনের ঘটে যাওয়া স্মৃতিগুলোকে স্বপ্ন আকারে মনে করতে থাকে।

# কাউকে দিয়ে কোন কাজ করাতে হলে তাকে জিজ্ঞেস না করে অনুরোধ করলে বিষয়টি বেশি কার্যকরী হয়। কাউকে দেখা করে সরাসরি  যখন কোন কাজের জন্য অনুরোধ করা হয় তখন , বিপরীত দিকে থাকা মানুষটি কাজটি করার জন্য সহজে না বলতে সংকোচ বোধ করে।

# ফোন বা ম্যসেজে কারো কাছে হেল্প না চেয়ে ,সরাসরি দেখা করে হেল্প চাইলে এ ক্ষেত্রে বেসিরভাগ মানুষ না বলতে পারে না এবং হেল্প করতে রাজি হয়ে যায়। 

# বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে কথার সত্যতা যাচাই করা যায় কেননা ৯০% মানুষ মিথ্যা বলার সময় হাত পা বেশি নড়া চড়া করায় , কারণ মিথ্যা বলার সময়ই মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে আর যার কারণে স্বস্তি পেতে স্বাভাবিকের তুলনায় হাত-পা বেশি নড়া চড়া করাতে থাকে। এছাড়াও যখন কেউ মিথ্যা কথা বলে তখন সামনে থাকা ব্যক্তি চোখের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারে না। এর কারণ হলো মন মিথ্যা বলাই সঙ্গ দিলেও মস্তিষ্ক মিথ্যা বলতে সংকোচ বোধ করে।

# যেকোনো কাজের ফাঁকে ফাঁকে সম্ভব হলে ২০ মিনিট পর পর অল্প কিছু সময় হলেও ব্রেক না হওয়া উচিত , এর কারণ হলো যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই আমরা ২০ মিনিট পর্যন্ত আমাদের মনোযোগ ঠিকঠাক ধরে রাখতে পারি আর এই সময়টুকুর পর আমাদের মনোযোগ অটোমেটিকলি আস্তে আস্তে অন্যান্য চিন্তা করতে শুরু করে। তাই যদি কোন কাজে ১০০% মনোযোগ রাখতে হয় তাহলে ১০ মিনিট পরপর অল্প কিছু সময়ের জন্য বিরতি নেওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url