টক দই খাওয়ার উপযুক্ত সময় - টক দই খাওয়ার নিয়ম

টক দই খাওয়ার উপযুক্ত সময়

সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার জন্য টক দই খাওয়ার উপযুক্ত এবং আদর্শ সময় হল দিনের বেলা। রাতে টক দই খেলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা সহ শরীরে মিউকাস এবং এসিডিটির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই সকালবেলা হলো টক দই খাওয়ার উত্তম সময়। এখন প্রশ্ন হল দিনের কোন ভাগে টক দই খেতে হবে - ডায়েটিশিয়ানদের পরামর্শ অনুযায়ী সকালের নাস্তা এবং দুপুরের মধ্যবর্তী সময় যদি টক দই খাওয়া হয় তবে শরীরে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় এবং এর জন্য এসিডিটিসহ অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি একেবারে কম থাকে। তবে আপনারা চাইলে দুপুরের খাবার পরেও টক দই খেতে পারেন ,এতে খুব একটা সমস্যা হবে না।

টক দই খাওয়ার নিয়ম

অনেকেই রাতে টক দই খেয়ে থাকেন , কিন্তু টক দই খাওয়ার জন্য আদর্শ সময়ে হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে দিনের বেলা। রাতের বেলা টক দই খেলে অনেক সময় ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় এবং শরীরে মিউকাস জন্মানোর ঝুঁকি থাকে। যদিও টক দই সরাসরি খাওয়া যায় , তবে ওজন কমাতে এবং টক দইয়ের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে কালোজিরা , মধু , চিয়া সিড , ড্রাই ফ্রুট , বিভিন্ন মৌসুমী ফল ইত্যাদির সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। খালি মুখে টক দই খাওয়ার চেয়ে এর সাথে যদি মধু, সামান্য একটু একটু (একেবারে অল্প পরিমাণে) চিনি , গোলমরিচ , দারুচিনি ইত্যাদি উপকরণ গুলোর সাথে মিশিয়ে খেলে টক দইয়ের কারণে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তাই টক দই খাওয়ার সময় এসব উপসর কারণগুলো মিশিয়ে নিতে হবে , বিশেষ করে তাদের যাদের টকদইয়ে গ্যাসের সম্ভাবনা রয়েছে। 
অনেক পুষ্টিবিদের মধ্যে টক দই দৈনিক অর্থাৎ প্রতিদিন না খাওয়াই ভালো , কেননা এতে শরীরে মিউকাসের সংক্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায় , তাই অধিকাংশ ডায়টেশিয়ানরা প্রতিদিন টক দই না খেয়ে মাঝে একদিন করে গ্যাপ দিয়ে খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেক সময় আবার দেখা যায় অনেক মানুষ ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে টক দইকে হালকা গরম করে নেন খাওয়ার পূর্বে । টক দই খাওয়ার পূর্বে গরম করে নেয়ার বিষয়টি একেবারে স্বাস্থ্যসম্মত নয় , কারণ টক দই গরম করলে এর মধ্যে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু তাই বলে একেবারে ফ্রিজ থেকে বের করে সাথে সাথে টক দই খাওয়াও এর সঠিক নিয়ম নয় খেতে হবে রুম টেম্পারেচারের তাপমাত্রায়। অর্থাৎ টক দই কে ফ্রিজে রাখলেও খাওয়ার পূর্বেই একে রুম টেম্পারেচারে নিয়ে আসতে হবে এবং তারপরে খেতে হবে। সুতরাং পারছেন টক দই খাওয়ার নিয়ম আপনারা বুঝতেই পারছেন - রুম টেম্পারেচারে টক দই দিনের বেলা বিভিন্ন উপকরণের সাথে খেতে পারবেন।
টক দই উপকারী বলেই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবেনা , কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় টকটাই খেলে উপকারিতার পরিবর্তে দেখা দিবে পার্শ্বপ্রিক্রিয়া তাই ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম টক দই একদিনে খাওয়া যেতে পারে এর বেশি নয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url