গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময় - গ্রিন টি তৈরির নিয়ম

গ্রিন টি অনেকেই উপকারী পানীয় হিসেবে পান করে থাকেন তবে এর গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জ্ঞান খুব কম মানুষেরই রয়েছে। আর সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকেই গ্রিন টি পানের সুফল থেকে বঞ্চিত হন। তাই গ্রিন টি পানের পূর্বে অবশ্যই জানতে হবে এর সঠিক নিয়ম। 

গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময়

গ্রিন টি খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে। আমরা যদি গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময় না জেনে যখন তখন গ্রিন টি পান করি তাহলে এটি আমাদের শরীরের জন্য খুব একটা উপকারিতা বয়ে আনবে না বরঞ্চ কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ বা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তারা অবশ্যই দিনটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে প্রথমে জেনে নিন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই দেখা যায় যে সকালবেলা উঠে খালি পেটে অথবা দিনের যেকোনো সময় পেট যখন খালি থাকে তখন গ্রিন টি পান করে আবার অনেকে দেখা যায় খাবার খাওয়ার পরপরই গ্রিন টি পান করে থাকে। কিন্তু এটি গ্রিন টি পানের সঠিক নিয়ম নয় গ্রিন টি খালি পেটে পান করলে অথবা একদম ভরা পেটে খেলে উপকারের চাইতে অপকারিতা পরিমাণ বেশি হতে পারে। তাই গ্রিন টিপান করতে হবে ভারী খাবার খাওয়ার অন্ততপক্ষে ২-৩ ঘন্টা পরে অথবা দুটি ভারী খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে। আমরা যদি ভারী খাবার খাওয়ার পরপরই গ্রিন টি পান করি তাহলে এটি আমাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে একদম খালি পেটে কখনোই গ্রিন টি পান করা যাবে না। কারণ গ্রিন টির ভেতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী অক্সিজেন পনিফেলন। এই উপাদান দুটি খালি পেটে গ্রিন টি পান করার ফলে ইমিউন সিস্টেম কে বাধাগ্রস্ত করতে পারে যার ফলে হজমের অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। আর এ কারণে সকালবেলা গ্রিন টি পান করতে হলে অবশ্যই নাস্তা করার ১/২ ঘন্টা পরে পান করতে হবে এছাড়াও গ্রিন টি পান করতে পারেন শরীর চর্চা করার কিছুক্ষণ আগে এতে আপনার শরীরের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আরো সহজ ভাবে যদি বলতে হয় তাহলে গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময় হল,

  • খাবার বা নাস্তা খাওয়ার একঘন্টা পরে
  • শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করার পূর্বে
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১-২ ঘন্টা আগে

গ্রিন টি তৈরির নিয়ম

এবার আমরা গ্রিন টি তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে জানবে। গ্রিন টির মাধ্যমে স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে হলে আমাদেরকে প্রথমে জানতে হবে গ্রিন টি তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে। কারণ আমরা যদি সঠিক নিয়মে গ্রীন তৈরি করতে না পারি তাহলে কখনোই পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবো না। তাই চলুন আজকে গ্রিন টি তৈরির নিয়ম জেনে নেয়া যায়। দেশের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টি ব্যাগ আকারে গ্রিন টি পাওয়া যায়। তবে এই গ্রীন টিটগুলোর চাইতে প্যাকেট বা ওজন করে কিনা গ্রিনটিগুলো বেশি স্বাস্থ্যকর।টি ব্যাগ গ্রিন টি বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি, একটি চায়ের পাতিলে পানি গরম করে সেই গরম পানি কাপে ঢেলে নিতে হয় এবং এই কাপের মধ্যে গ্রিন টির টি ব্যাগ কিছুক্ষণ ভেজালে পানি যখন সবুজ আকার ধারণ করে তখন উঠিয়ে নিতে হয়।
টি ব্যাগ ছাড়া যদি আপনি প্যাকেট বা ওজন করে কেনা গ্রিন টি তৈরি করতে চান তাহলে প্রথমে একটি পাত্রে পানি গরম করে নিতে হবে তারপর সেই পানি একটি কাঁচের পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। গরম পানি কাঁচের পাত্রে নেয়ার পরে পরিমাণ মতো গ্রিন টি সেই পাত্রে দিয়ে কিছুক্ষণ ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে এই অবস্থাতে খেয়াল রাখতে হবে গ্রিন টি তৈরীর জন্য যে গরম পানি নেওয়া হয়েছে সেটির তাপমাত্রা যদি ৮০° সেলসিয়াস হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। কাঁচের পাত্রে ভিজিয়ে রাখা গ্রিন টি দুই থেকে তিন মিনিট পর ছেকে নিয়ে এবার আপনি খেতে পারবেন।
তবে অবশ্যই মনে রাখবেন গ্রিন টি তৈরি করার সময় কখনই এর সাথে চা পাতা অথবা দুধ মেশানো যাবে না। এগুলোর পরিবর্তে আপনি চাইলে দারুচিনি , এলাচ , চ আদা , লেবুর রস মিশাতে পারেন। আশা করি গ্রিন টি তৈরির নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
মন্তব্য , উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে শরীরের জন্য উপকারী পানীয় বলেই , যখন তখন বেশি বেশি গ্রিন টি পান করা যাবে না। গ্রিন টি পান করতে হবে সময় মেনে সঠিক নিয়ম। তাই সুস্থ থাকতে সঠিক নিয়মে সঠিক সময় গ্রিন টি পান করার চেষ্টা করুন এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url