গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করণীয়
অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের প্রেসার লো হওয়ার সমস্যা দেখা যায়। গর্ভবতী মায়েদের যদি প্রেসার লো হওয়ার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে শুরু থেকে এর ব্যাপারে সাবধান হতে হবে কারণ, গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো থাকলে এটি বাচ্চার উপরে প্রভাব ফেলতে পারে বা অনেক সময় দুর্বল শিশু প্রসব এবং মৃত শিশু প্রসব করতেও দেখা যায়। এ কারণে গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে অবশ্যই এর ব্যাপারে অবহেলা না করে ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।
গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করণীয় হিসেবে খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার যুক্ত করতে পারেন এবং একই স্থানে শুয়ে বসে না থেকে গর্ভকালীন ব্যায়ামগুলো নিয়মিত ভাবে করতে পারেন। গর্ভ অবস্থায় প্রেসার লো হলে সেই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আপনি যে খাবারগুলো গ্রহণ করবেন সেগুলো সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হলো।
তুলসী পাতাঃ গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে আপনি তুলসী পাতার রস খেতে পারেন কারণ তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ভিটামিন সি জাতীয় উপাদান আর এ উপাদান গুলো গর্ভাবস্থায় প্রেসার এর লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। তুলসী পাতা খাওয়ার জন্য আপনি কয়েকটি পাতা দিয়ে খেতে পারেন অথবা তুলসী পাতা থেকে রস বের করে এর সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।
লবণ অথবা লবণ সমৃদ্ধ খাবারঃ যেসব খাবারের লবণ বেশি থাকে সেই ধরনের খাবার গুলো গর্ভ অবস্থায় প্রেসার লো এর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এ ধরনের খাবার গুলোর মধ্যে আচার জাতীয় খাবার, সামুদ্রিক মাছ বেশি খান। অথবা মাঝে মাঝে খাবার স্যালাইন খেয়ে নিতে পারেন।
মৌরিঃ রক্তচাপ বাড়াতে মৌরি বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে। আর এই কারণে গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো থাকলে সেটি বাড়াতে মৌরি, গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। মৌরিতে রয়েছে পটাশিয়াম , ক্যালসিয়াম , আয়রন ,ম্যাঙ্গানিজ, জিংক এজন্য বিভিন্ন খাবার প্রস্তুত এর সময় মসলার সাথে মৌরি অ্যাড করলে এটি গর্ভাবস্থায় আপনার প্রেসার স্বাভাবিক রাখতে অনেকটাই কাজে দেবে।
গাজরের রসঃ প্রতিদিন যদি এক গ্লাস অথবা হাফ গ্লাস গাজরের রস মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে একটি গন্ধ অবস্থায় লো প্রেসারের সমস্যা দূর করবে, কারণ গাজর পেশার এর চাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
লেবু পানিঃ আমরা আগেও জেনেছি প্রেসার লো হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে একটি কারণ হলো পানি শুন্যতা। যেহেতু পানি শূন্যতা থেকে লো প্রেসার এর সৃষ্টি হতে পারে আর শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত জরুরী, তাই আপনি যদি মাঝে মাঝে লেবু পানি পান করেন তাহলে এটি আপনাকে সারের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করেবে এবং পানি শূন্যতা দূর করব।
আদাঃ গর্ভাবস্থায় প্রেসার থাকলে মসলা জাতীয় খাবারের মধ্যে আদার পরিমাণ একটু বেশি রাখুন কারণ আদা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন যাদের প্রেশার হাই আছে তারা আদা খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকতো।
কিসমিসঃ গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে খালি কিসমিস অথবা ভেজানো কিসমিস খেতে পারেন। নিয়মিত ১-২ সপ্তাহ এভাবে খালি পেটে সকাল বেলা কিসমিস খেলে, গর্ভাবস্থায় প্রেসার এর মাত্রা ঠিক থাকবে।
মন্তব্য, আশা করছি পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার মাধ্যমে লো প্রেসার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নিয়েছেন। আমাদের মধ্যে অনেকেরই এমন মনোভাব থাকে যে প্রেসার লো হলে সাময়িকভাবে একটা ডিম সিদ্ধ, একটু খাবার স্যালাইন খেলেই প্রেসার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, কিন্তু খালি ডিম ও খাবার স্যালাইন খেয়েই লো প্রেসার এর বিষয়টি এড়িয়ে গেলে চলবে না। মনে রাখতে হবে হাই প্রেসার এর মতন লো প্রেসারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। প্রেসার লো থেকে অনেক সময় মৃত্যুর মতন ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই অবশ্যই লো প্রেসার কে অবহেলা না করে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং সচেতন হন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url