ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন এ হল শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ধরনের উপাদান যার রাসায়নিক
নাম হলো " রেটিনাল"। ভিটামিন এ হলো এক প্রকারের জৈব অনু, যে অনুটি বিভিন্ন
খাবারের মাধ্যমে আমরা পেতে পারি। বিভিন্ন খাবার ছাড়াও সাপ্লিমেন্টারি হিসেবেও
ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার পূর্বে
এর নিয়ম কানুন এবং উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
কারণ শরীরের জন্য উপকারী বলে যে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে না বিষয়টি
কিন্তু এমন নয়।
সূচিপত্রঃ ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
তোমরা জেনে নিব ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি যদি ভিটামিন এ
ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে না জানেন তাহলে, বিষয়টি এই পোস্টের মাধ্যমে
জেনে নিতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম এবং
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার বয়স সম্পর্কে। শিশুদেরকে সাধারণত ৬ মাঠ থেকে শুরু
করে পাঁচ বছর পর্যন্ত বছরের বিভিন্ন সময় ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন গুলোর মাধ্যমে,
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে।
আপনার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ভিটামিন এ ক্যাপসুল
খাওয়ার নিয়ম-কানুন গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল
খাওয়ার আগে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন খালি পেটে কোনভাবে খাওয়া না হয়।
খালি পেটে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেলে শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা
ভিটামিন এ শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ কথাটি আমরা আগেও জেনেছি এবার
আমরা জন্ম ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা সম্পর্কে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল
গ্রহণের মাধ্যমে আপনি যে সকল উপকারিতা গুলো পাবেন সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি হলো শরীরে ভিটামিন এর চাহিদা বা ঘাটতি পূরণ হওয়া।
দৈনিক শারীরিক চাহিদার যে অংশটিতে ভিটামিন এ এর অভাব থাকে, ভিটামিন এ ক্যাপসুল
গ্রহণের মাধ্যমে এই অভাবটি আমরা পূরণ করে ফেলতে পারি।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল যখন আমরা গ্রহণ করবো তখন শরীরে ভিটামিন এ এর ঘাটতি থাকবে না
এবং যার ফলে আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা রাতকানা রোগ থেকে
মুক্ত থাকতে থাকতে পারবো। এছাড়াও ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণের পরে শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণের ফলে শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে
জীবাণু সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণ করলে ত্বকের জেলা
বৃদ্ধি পাবে এবং এটি আমাদের কোষ এবং অস্থির গঠন করতে সাহায্য করবে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণের ফলে শরীরে ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি,
ভিটামিন এ ক্যাপসুল শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত বা ইনফেকশন ভালো করতে কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণের ফলে শরীরে যে কোন ধরনের কাটা
বা ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর অপকারিতা
যেকোনো ওষুধেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে হয়তো বা পার্থক্য এটুকুই যে কোন
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একটু বেশি বা মারাত্মক আর কোন ঔষধের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া একটু কম। ভিটামিন এ জাতীয় ক্যাপসুলের মারাত্মক বা জটিল কোন
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকলেও, শারীরিক চাহিদার অনুপাতে যদি ভিটামিন এ
ক্যাপসুল গ্রহণের মাত্রা বেশি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনি বেশ কিছু সমস্যা
উপলব্ধি করবেন। ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর অপকারিতা গুলো মারাত্মক বা অত্যন্ত
ক্ষতির কারণ না হলেও সামান্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এবার আমরা জানব
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে আপনার কি কি
সমস্যা হতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর অপকারিতা
গুলো
আপনি যদি চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত ভিটামিন এই ক্যাপসুল গ্রহণ করেন তাহলে,
আপনার শরীরে ক্লান্তি আসতে পারে এবং আপনি দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন। ভিটামিন এ
ক্যাপসুল গ্রহণের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের জন্য এবং গর্বের
সন্তানের জন্য এটি ক্ষতির কারণ হতে পারে। ক্যাপসুল এর মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে
অনেক সময় পেট ব্যথা ,মাথাব্যথা , চোখে ঝাপসা দেখা , হাত দেওয়া রুচি , মাথা
ঘোরা সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা হতে দেখা যায়।
অতিরিক্ত ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণের ফলে আপনার ত্বক ও ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে
পারে এবং ঘন ঘন ঠোঁট এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়ার অসুবিধা হতে পারে। ভিটামিন এর
অপকারিতা হিসেবে অনেক সময় হাতের নখের ভঙ্গুরতা বেড়ে যেতে পারে ,অতিরিক্ত ঘাম
হতে পারে এবং চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে মাথার বিভিন্ন
স্থান ফুলে যেতে পারে এবং বাচ্চাদের স্বাভাবিক রোধ কমে যেতে পারে এর সাথে সাথে
দেখা দিতে পারে রক্তস্বল্পতা। স্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়ার সমস্যাটি অনেক সময়
দেখা দেয়। ভিটামিন এ ক্যাপসুল অতিরিক্ত খেলে লিভারের ওপরে খারাপ প্রভাব ফেলতে
পারে এবং যারা ধূমপান করে তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মাত্রা দীর্ঘ
ক্যান্সার এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url