ঘি এর উপকারিতা
ঘি এর উপকারিতা
রান্নার স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়ানো ছাড়াও ঘি এর রয়েছেন নানান ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা , যা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। কিন্তু আমরা যদি খাঁটি ঘি সংগ্রহ করার মাধ্যমে নিয়মিত এই ঘি খেতে পারি তাহলে খুব সহজেই পেতে পারি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার একটি সহজ মাধ্যম। তাহলে চলুন আর দেরি না করে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ঘি রাখলে কি কি স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ঘি খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা আমরা পাবো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো।
হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করেঃ ঘি আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফেট নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে হাড়ের ক্ষয় রোধ ও হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি দাঁত এবং শরীরের মাসল গঠনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পুষ্টি ঘাটতি দূর করেঃ ঘি খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো , এটি আমাদের শরীরের পুষ্টি ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে। ঘি এর ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যেগুলো আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে অত্যন্ত জরুরী । তাই যদি নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি খাওয়া যায় তাহলে , এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের শরীরের পুষ্টি ঘাটতি চাহিদা অনেকাংশে মিটাতে পারি খুব সহজে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করেঃ হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও রয়েছে ঘি এর অবদান। হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে দৈনিক খাদ্য তালিকায় খাঁটি ঘি রাখতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার পেছনে রয়েছে পুষ্টি ঘাটতি। ঘি যেহেতু আমাদের শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে তাই ঘি খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়। পুষ্টি ঘাটতি পূরণ ছাড়াও ঘিয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি - অক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
নার্ভ ও ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়ঃ ঘিয়ের মধ্যে মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে ওমেগা 6 এবং ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড। এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান দুটি আমাদের ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং নার্ভ ভালো রাখতে সাহায্য করে , পাশাপাশি একাধিক গবেষণায় এটাও দেখা গেছে যে এই উপাদান দুটি - অ্যালঝেইমার এবং ডিমেনশিয়া রোগগুলোকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ঘি তে রয়েছে এসেনশিয়াল অ্যামাইনো এসিড , এই উপাদানটি আমাদের দেহে জমে থাকা টেক্সট্রা ফ্যাট দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আপনি যদি নিয়মিত পরিণত পরিমাণে খাদ্য তালিকায় ঘি রাখতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে এটি বিশেষ সাহায্য করবে। কিন্তু অনেকেই মনে করে থাকেন যে ঘি খেলে শরীরের চর্বি জমে , এটি একেবারেই ভুল ধারণা কারণ নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি শরীরের ওজন বাড়াতে নয় বরং কমাতে সাহায্য করে।
শক্তি বৃদ্ধি করেঃ ঘি খেলে এর ভেতরে থাকা ফ্যাটি এসিড এবং ল্যারিক অ্যাসিড এর কারণে আমাদের শরীর শক্তির ঘাটতি অনুভব করে না। সুতরাং বলা যেতে পারে যে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক ব্যাধি গুলোর হাত থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি , ঘি আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করতেও সক্ষম। সুতরাং আপনি যদি নিয়মিতভাবে ঘি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে এটি আপনার শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করেঃ শুধু শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি নয় , ঘি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে। এ কারণে শীতকালে ঘি খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর গরম থাকবে। তবে , ঘি যেহেতু শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে তাই গরমকালে বুঝেশুনে খেতে হবে।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url