নিজের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
বাস্তব জীবনে আমি দারুন একজন অসফল মানুষ।জীবনের শুরু থাকে আজ পর্যন্ত আমি আমার ভাগ্যকে মানে নিলেও ভাগ্য আমাকে কখন মেনে নেয়নি।তাই এবার আর ভাগ্য কে মেনে নিয়ে না ,আল্লাহ্ উপর ভরসা করে ভাগ্যকে গড়ে নেয়ার পালা।চলুন নিচে আপনাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সংক্ষেপে একটু আলোচনা করি।
আলোচনায় যা যা থাকছে তার তালিকা বা সূচিপত্রঃ
নাম ও ঠিকানা ঃ
আমি মোসাঃরায়হানা হাসান রিজা ,আমি ২৪ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা ,আমার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা নিচে দেয়া হলো, আমি বাড়ির হোল্ডিং নং ভূলে গেছি তাই সবার কাছে খুবি দুঃখিত😁
গ্রামঃ রামচঁন্দ্রপুর [কেদুর মোড়]
থানাঃবোয়ালিয়া
পোঃঘোড়ামারা
জেলাঃরাজশাহী
জন্মগত পরিচয়
আমি মৃত রফিকুল হাসান [x আর্মি ওয়ারেন্ট অফিসার] এবং ফিরোজা বেগম এর তৃতীয় কন্যা ।আমি একজন মুসলিম পরিবারের মেয়ে।আমি জন্মগত ভাবে বাংলাদেশী। আমার হোম টাউন রাজশাহী । রাজশাহী শহরে আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা।
ফ্যমিলি স্ট্যটাস
আমি একজন সাধারন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে । আমরা চার বোন ।আমার বোনদের নাম হলো
- রিনা
- রিয়া
- আমি রিজা
- রিফা
আমার পিতা যেহেতু একজন সৎ আর্মি অফিসার ছিলেন তাই তিনি কখন অসৎ ভাবে টাকা পয়সা উপার্জন করেননি ,তাই অনেক সময় অভাব অনটন এর মধ্যে দিয়ে আমাদের দিন গেছে। তবে আল্লাহ্র কাছে শুকরিয়া যে আমার আব্বুর টাকার ঘাটতি থাকলেও সন্মানের দিক থেকে কোন ঘাটতি ছিলনা আব্বুর পর আমার বড় বোনের অবদান আমার এবং আমাদের পরিবারের উপর সবচেয়ে বেশি ।আমার একটা ভাই থাকলেও মনেহয় এত দায়ীত্ব পালন করত না।
শিক্ষাগত যোগত্য
আমি ডিগ্রী পাশ ।আমি খাদেমুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে স্কুল জীবন শেষ করি।রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ থেকে HSC পাশ করি।তারপর রাজশাহী কলেজ থাকে ডিগ্রি পাশ করি।
আমার ছোটবেলা
এই রাজশাহী তেই কেটেছে আমার ছেলেবেলা।আমি ছোট থেকেই আমার আব্বুর ভিষন ভক্ত।আমার আব্বুও অনেক ভালোবাসত আমাকে ।যখন বড় আপু পড়ার জন্য মারতো,আব্বু বাধা দিতেন বলতেন "ওকে মারিস না ওর কান্না আমি সহ্য করতে পারিনা"।ছোটবেলাই স্কুলেও থাকতে পারতাম না একা কান্না করতাম ,যতক্ষন আব্বু ক্লাসের বাইরে দাঁড়ায় থাকত ততক্ষন ক্লাস করতাম।আমাকে ভাত,রুটি খাওয়ানো আমনকি রাতে ঘুমও পাড়ায় দিতে হত আব্বুকে ।ছোটবেলাই অসুখ হলেও আব্বু সারারাত মাথার কাছে বসে থাকত।যখন ছোট ছিলাম আব্বু বল্তো বাড়িতে না বোলে কথাও যাবা না,কিন্তু তিনি নিজেই আমাকে না বলে এমন জাগায় চলে গেলো যেখান থাকে কেও আর ফিরে আসেনা।
পছান্দ ও অপছন্দ
খাবার তালিকায় আমার পছন্দের জিনিসগুলো হলো প্রথমেই, চকলেট ও আইস ক্রিম তারপর একে একে ফুচকা,কেক,পিজ্জা,বার্গার,চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি ইত্যাদি এক কথায় যত রকম ফাস্ট ফুড আছে সব আমার পছান্দের এক নম্বরে।তারপর বিরিয়ানি,রোস্ট ,গরুর মাংস আমি পছন্দ করি।
বৃষ্টি আর শীতকাল আমার ভিষন পছান্দ। মন খারাপ থাকলেও বৃষ্টি ভালো লাগে, ভালো থাকলেও ভাল লাগে,ভিজতেও ভাল লাগে ,দেখতেও ভাল লাগে। গরমকাল আমার অপছন্দে তালিকায় নাম্বার ওয়ান।
আরও পড়ুন ঃ আমার সম্পর্কে
মাঝেমাঝে একা থাকতে ভাললাগে,মানুষ কে বিরক্ত করতে আমার খুবি ভাললাগে।তবে বেশি বকবক করা মানুষগুলো খুবই বিরক্তিকর আমার কাছে।
আমার কালো কালার পছন্দ হলেও মাঝে মাঝে অন্য কালারও ভাললাগে।ডিপ কালার আমি পছন্দ করিনা, আমার সব সময় হাল্কা কালার পছন্দ।
আমার ব্যক্তিগত জীবন
সফলতা বলে আমার জীবনে কিছু নাই তবে আমি অসম্ভব ধৈর্যশীল ।কখন কখন তো আমি আমার নিজের ধৈর্য দেখে ,নিজের উপর নিজেই ফীদা হয়ে যায়। জীবনে না চাইতেই অনেক কিছু আল্লাহ আমাক দিয়েছেন।কিন্তু যেটা বা যেগুলা চাইছি সেগুলাই পায়নি।যেহেতু না চাইতেই অনেক কিছু পেয়ে গেছি তাই লাইফটা ভারী হয়ে গেছিল ,মোবাইল যেমন ভারি হয়ে গেলে কিছু অপ্রয়জনীয় অ্যাপ , ছবি,ভিডিও ডিলিট করতে হই তেমনি নিজের সন্মানের কথা মাথায় রেখে জীবন থেকে কিছু মানুষকে ডিলিট করে দেয়েছি।বাংলায় যেমন একটা প্রবাদ আছে - দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল ঠিক তেমন
আমার বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে আমার মত এত অসহায়,ফকিন্নি আর কেও আছে কিনা আমার জানা নাই ।এখন আমি ফকিন্নি না শুধু আমিতো ফকিন্নি আল্ট্রা প্রো ম্যাক্স।আমি যে অবস্থায় আছি এখন ,আমাকে প্রচুর ধৈর্য ধরতে হবে,অনেকের কথাকে ইগনোর করতে হবে,সামনে এগিয়ে যেতে হবে,নিজেকে নিজেই মোটিভেট করতে হবে।আমার শিখতেই হবে কিছু একটা করতেই হবে।
আমি যা চায় আর যা পায়
আমার চাওয়া পাওয়া গুলোর সাথে আমার বরাবরই পাক-বাংলা দূরত্ব।মানে পাকের থেকে বাংলা যতটা দূর আমার চাওয়া থেকে পাওয়াটা ঠিক এতটা দুর।পাক -বাংলা যেমন আর এক হবেনা তেমন আমার চাওয়া গুলোও আর এ জন্মে পাওয়া হবে না।
অরডিনারি আইটি তে এডমিশন ও এর কারন
গত ২/৩ বছর ধরে বিভিন্ন বালা মুসিবত ফেস করার পর নিজের ইনকাম করার প্রয়োজনীয়তা খুবই কঠোর ভাবে অনুভব করি ।মূলত আর্থিক প্রয়োজনেই এই অরডিনারি আইটি তে কাজ শিখতে আসা।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আমার এখন একটাই লক্ষ্য বৈধ উপায়ে টাকা-পয়সা ইনকাম করা।তারপর যখন আমি বড়লোক্স হয়ে যাব তখন কিছু মানুষকে খুঁজে খুঁজে,হাই লাইটার দিয়ে মার্ক করে করে আমার প্রতিটা অপমানের জবাব দেয়া।যাদের কথা এখন আমি শুধু শুনি আর মনে মনে বলি "আপনা টাইম আয়ে গা" । আমি ভবিষ্যৎ এ একটা কালো কার কিনব In-sha-Allah যেটা আমি নিজে ড্রাইভ করব।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url